বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দেশে-বিদেশে এখনো নানা ষড়যন্ত্র চলছে এবং এই চক্রান্তের বিষয়ে সকলকে সতর্ক ও সজাগ থাকতে হবে। রাজধানীর বাড্ডার মাদানি সড়কের বেরাইদা ঈদগাহ মাঠে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি ৪২ নম্বর ওয়ার্ডের উদ্যোগে নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন, সতর্ক থাকবেন। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শেষ হয়নি। সকল ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে জনগণের সরকার আমরা প্রতিষ্ঠা করবই ইনশাল্লাহ।”
তিনি অভিযোগ করেন, বিদেশে বসে বিভিন্ন মহল থেকে দেশে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। “খুব পরিষ্কার কথা, যে যেখানেই থাকেন—ইউনাইটেড স্টেটে, ফ্রান্সে বা আমেরিকায়—সেখান থেকে মানুষকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছেন, বিভাজন সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি, আমরা মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করছি। আমাদেরকে কেউ বিপথে পরিচালিত করতে পারবে না এবং বাংলাদেশের মানুষকেও কেউ বিপথে পরিচালিত করতে পারবে না।”
নিজ দলের অবস্থান পরিষ্কার করে মির্জা ফখরুল বলেন, “আমরা ভারতের পক্ষেও নই, পাকিস্তানের পক্ষেও নই, আমেরিকার পক্ষেও নই, ইংল্যান্ডের পক্ষেও নই। আমরা বাংলাদেশের পক্ষে। আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব খুব পরিষ্কার করে বলেছেন, সবার আগে বাংলাদেশ—আমরা বাংলাদেশী।”
বিএনপি মহাসচিব আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতনের চিত্র তুলে ধরে বলেন, “৯০ শতাংশ নেতা-কর্মীকে জেলে নেওয়া হয়েছিল। আমাদের প্রায় ২০ হাজার নেতা-কর্মীকে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার হত্যা করেছে। প্রায় ১৭০০ নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এ ধরনের নজির খুব কম।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা সেই ভয়াবহ অবস্থা পার করে এসেছি। আল্লাহর কাছে হাজারো শুকরিয়া আদায় করি যে তার অসীম রহমতে একদিন হঠাৎ করে আল্লাহ যেন হাসিনাকে গুম করে দিলেন। তিনি যা অত্যাচার-নির্যাতন করেছেন তার হাত থেকে আপাতত মুক্তি পেয়ে আমরা একটি মুক্ত পরিবেশে এসে দাঁড়িয়েছি।”
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তহিরুল ইসলাম তুহিনের সভাপতিত্বে মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুমসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর, আখতার হোসেন, আলফাজ উদ্দিন, এজিএম শামসুল হক এবং গাজী রেজাউনুল হোসেন রিয়াজ।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্য বিএনপির অবস্থানকে স্পষ্ট করেছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে তাদের আন্দোলনের প্রস্তুতি ও সংকল্পের দৃঢ়তাকে তুলে ধরেছে। একইসঙ্গে, তার বক্তব্য দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?