বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, ‘কেন গণপরিষদ দিতে হবে? বাংলাদেশ কি বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল? গণপরিষদ তখনই হয় যখন একটি দেশ নতুন স্বাধীন হয়, যেখানে আইন নেই, সংবিধান নেই, সরকার নেই। তখন একটি পরিষদ গঠন করে সংবিধান রচনা করা হয় এবং সরকার গঠন করা হয়। কিন্তু আমরা তো এই দেশ পেয়েছি ১৯৭১ সালে ৯ মাস যুদ্ধ করে। তাহলে এখন গণপরিষদের কথা কেন বলা হচ্ছে? কারা এই কথাগুলো বলছে?’
শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার তামাই এলাকায় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীমের উদ্যোগে আয়োজিত এক মানবিক সহায়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই অনুষ্ঠানে বেলকুচি-চৌহালী-এনায়েতপুর এলাকার ৭ হাজার দুঃস্থ মানুষের মধ্যে শাড়ি, লুঙ্গি, পাঞ্জাবি ও এক হাজার পরিবারের মাঝে ঈদসামগ্রী এবং দুইজন শহীদ পরিবারের মাঝে দুই লাখ টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।
রিজভী অভিযোগ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য নির্বাচন নিয়ে লুকোচুরি খেলছে। তিনি বলেন, “একবার বলে মার্চ, একবার বলে জুন, আবার বলে ডিসেম্বর। কেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই লুকোচুরি খেলছে? সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার। আপনারা শুধু সুপারিশ করতে পারেন।”
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের মিত্ররা এবং যারা অন্যায় করেছে, র্যাব-পুলিশ গুলি করে মানুষ হত্যা করেছে, হেলিকপ্টার থেকে গুলি করে শিশু ও তরুণদের হত্যা করা হয়েছে, সেই রক্তাক্ত জনপদ তৈরি করেছিলেন শেখ হাসিনা। তিনি প্রশ্ন করেন, “শেখ হাসিনাসহ দোষীদের বিচারের জন্য এতদিন লাগছে কেন? জনগণের অধিকার কেন কেড়ে নেওয়া হচ্ছে? জনগণ কেন তার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি করতে পারবে না?”
বেলকুচি উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জামাল ভূঁইয়া, সাবেক আহ্বায়ক নুরু ল ইসলাম গোলাম, সাবেক সদস্য সচিব বনী আমিন, পৌর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন প্রামাণিক, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজ্জাক মণ্ডলসহ অন্যান্য বিএনপি নেতাকর্মীরাও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রুহুল কবির রিজভীর এই বক্তব্য মূলত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে গভীর অসন্তোষের প্রকাশ। বিএনপি দৃঢ়ভাবে মনে করে, নির্বাচনী প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু করতে হলে গণপরিষদ নয়, বরং জনগণের নির্বাচিত সরকারের অধীনে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?