মিজানুর রহমান ,পটুয়াখালী প্রতিনিধি
দক্ষিণাঞ্চলের নদীবিধৌত ও সাগরপারের চার উপজেলা দশমিনা ও গলাচিপা নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-৩ এবং কলাপাড়া ও রাঙ্গাবালী নিয়ে গঠিত পটুয়াখালী-৪ নির্বাচনি এলাকা। আগামী নির্বাচন ঘিরে তাই আলোচনায় এখন এসব নির্বাচনি এলাকা। নেতাকর্মীদের মতে, ‘ক্লিন ইমেজের শক্তিশালী প্রার্থী না হলে এবারও মুশকিল হবে এসব আসনে ভোটে জয়লাভ করা। বর্তমান সময়ের সঙ্গে খাপ খেয়ে যারা এগোবে তারাই পারবে দলকে জয় এনে দিতে।’
পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা): ‘৯১-পরবর্তী ৪টি নির্বাচনেই এখানে জিতেছে আওয়ামী লীগ। কেবল ২০০১ সালে কিছুটা প্রতিদ্বন্দিতা করলেও বাকি নির্বাচনগুলোতে ধানের শীষকে বিপুল ভোটের ব্যবধানে হারিয়েছে নৌকা। এমনকি তখনকার সময়ে এলাকায় অনেকটাই অপরিচিত গোলাম মাওলা রনিকে মনোনয়ন দিয়েও ২০০৮-এর নির্বাচনে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। তিনি রাজনীতিতেও ছিলেন না সক্রিয়। তখনকার প্রায় অপরিচিত রনির কাছেও ৫৯ হাজার ভোটের ব্যবধানে হারে বিএনপি।
নদী-সমুদ্রে ঘেরা চরাঞ্চল নিয়ে গঠিত এই এলাকায় রয়েছে আওয়ামী লীগের শক্তিশালী ভোটব্যাংক। যে কারণে ভোটে সুবিধা করতে পারেনি বিএনপিসহ কোনো দল। তবে এখনকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। বিএনপির মনোনয়ন চাইছেন দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান মামুন। তাঁর এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তাও রয়েছে। উলটাপালটা কিছু না হলে জিতবেন কর্মীবান্ধব ও তৃণমূলের আস্থা হাসান মামুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই সভাপতি ইতিমধ্যেই দক্ষিণের এই জনপদের অত্যন্ত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ছাত্রজীবন থেকেই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে রাজনীতি করেছেন। নিজের সাধ্যমত উপকার করার চেষ্টা করছেন। এজন্য তাঁকে মনোয়ন দিলেই জয় সম্ভব এমনটাই দাবি করছেন করছেন স্থানীয় বিএনপি।
পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী): সমুদ্রসৈকত কুয়াকাটা ঘেঁষে থাকা এই নির্বাচনি এলাকাতেও কখনো জয় পায়নি বিএনপি। নিম্নে ৯ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ২০ হাজার ভোটের ব্যবধানে এখানে নৌকার কাছে হারে ধানের শীষ। আওয়ামী লীগের ভোটের ঘাঁটি বলতে যা বোঝায় তার অন্যতম এটি। যদিও সেই ঘাঁটির অনেকটাই এখন দখলে রয়েছে বলে দাবি করছেন স্থানীয় বিএনপি। দলের নেতাকর্মীদের মতে, ১৬ বছরে আওয়ামী লীগের অত্যাচার-নির্যাতনে ভেঙেছে নৌকার দুর্গ। তাছাড়া গত ৩টি নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি সাধারণ মানুষ। তার ওপর রয়েছে নতুন ভোটারদের ভোট দিতে না পারার ক্ষোভ। জনগণ ও কর্মীবান্ধব সাবেক ছাত্রনেতা ও কেন্দীয় বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন স্থানীয় বিএনপি’র আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। এসব কারণে আওমীলীগের দূর্গখ্যাত এ আসনে এখন বিএনপিই এগিয়ে আছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?