বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কোনো নির্দিষ্ট দল বা গোষ্ঠীকে সুবিধা দিতে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র জনগণ কখনোই মেনে নেবে না। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, বিএনপি এ ধরনের কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেবে না এবং রাজপথে থেকে এর বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
রবিবার (২৩ মার্চ) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সুস্বাস্থ্য এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার আত্মার মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে এ মন্তব্য করেন ইশরাক হোসেন।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। কিন্তু এখনো আমরা সেই সরকার পাইনি। সেজন্য আমাদের লড়াই শেষ হয়ে যায়নি। প্রয়োজনে আমাদের দেশনায়ক তারেক রহমান যদি নির্দেশ দেন, আমরা আবারও জীবন দিতে প্রস্তুত রয়েছি। তবুও এই দেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না।”
ইশরাক হোসেন স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আগেও বলেছি, এখনো বলছি—এই দেশটা কারও বাবার সম্পত্তি নয়। জনগণই এই দেশের মালিক। আর তাই কোনো ষড়যন্ত্র আমাদের আন্দোলনকে দমন করতে পারবে না। রাজপথেই আমরা এর মোকাবেলা করব।”
তিনি আরও বলেন, “যে দলই ক্ষমতায় আসুক, জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হতে হবে। নতুন দল হোক, পুরোনো দল হোক, এ পার্টি হোক কিংবা বি পার্টি—যদি তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়, আমরা তা মেনে নেব। কিন্তু ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্রকে আমরা কখনোই মেনে নেব না। জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়া কেউ ক্ষমতায় বসতে পারবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসতে হবে এবং তারাই রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। এরপর যে দীর্ঘ মেয়াদী সংস্কারের প্রয়োজন আছে, তা বাস্তবায়ন করবে।”
ইশরাক হোসেন আরও অভিযোগ করেন যে, সরকার জনগণের ভোটাধিকার হরণ করে ক্ষমতায় টিকে থাকতে চায় এবং এই কারণে নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “জনগণের অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার যে কোনো ষড়যন্ত্র আমরা শক্ত হাতে প্রতিহত করব। জনগণই হবে এই দেশের প্রকৃত ক্ষমতার অধিকারী।”
অনুষ্ঠানে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের বহু নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন এবং ইফতারের পূর্বে বিশেষ মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। ইশরাক হোসেনের বক্তব্যে আন্দোলনকে তীব্র করার সংকল্প আবারো স্পষ্টভাবে প্রকাশিত হয়েছে।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?