বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “ফ্যাসিবাদ বিরোধী ঐক্য নষ্ট হয় এমন কিছু করা যাবে না।”
তিনি মনে করেন, স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হলে দলমত নির্বিশেষে সব রাজনৈতিক শক্তিকে একত্রিত থাকতে হবে। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া কোনো স্বৈরাচারী সরকারের পতন সম্ভব নয়। তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় অনেকেই ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থে এমন কিছু করেন, যা ঐক্যকে দুর্বল করে দেয়।
তিনি সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “যদি আমরা বিভক্ত হয়ে যাই, তাহলে ফ্যাসিবাদ আরও শক্তিশালী হবে এবং জনগণের মুক্তির পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে।”
ফখরুল মনে করেন, স্বৈরাচারবিরোধী লড়াইয়ে সফলতা পেতে হলে দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতা প্রয়োজন। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে আন্দোলন পরিচালনা করতে হবে।
১. অভ্যন্তরীণ বিভক্তি দূর করা – আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর মধ্যে মতানৈক্য থাকতেই পারে, কিন্তু সেটাকে বড় করে দেখা যাবে না।
২. অভিন্ন লক্ষ্য নির্ধারণ – ফ্যাসিবাদ হটানোর জন্য অভিন্ন কর্মসূচি থাকা জরুরি।
3. ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুতি – গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যক্তিগত স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরও বলেন, বর্তমান সরকার গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে, মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে এবং বিরোধী দলকে দমন করতে ফ্যাসিবাদী কায়দায় শাসন চালাচ্ছে। তাই এই সরকারের পতন ছাড়া মুক্তি আসবে না। এজন্য ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনই একমাত্র পথ।
তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেন, “সরকার আমাদের মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়। তাই আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে, কৌশলগতভাবে এগোতে হবে এবং ঐক্য অটুট রাখতে হবে।”

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?