শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

ইউনূসের নেতৃত্বে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না আ.লীগ,হাসিনাই শেষ কথা : আরাফাত

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এবং দলটির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। সেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে দলের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই বলেও জোর গলায় জানান […]

ইউনূসের নেতৃত্বে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না আ.লীগ,হাসিনাই শেষ কথা : আরাফাত

ছবি: সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২২ মার্চ ২০২৫, ১১:৫৬

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার এবং দলটির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নিয়ে সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মুখ খুলেছেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত। সেখানে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে কোনো নির্বাচনে অংশ নেবে না আওয়ামী লীগ।

একই সঙ্গে দলের নেতৃত্বে শেখ হাসিনার বিকল্প কেউ নেই বলেও জোর গলায় জানান তিনি।
মোহাম্মদ এ আরাফাত মনে করেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব নিয়ে পুনর্গঠনের কোনো সুযোগ নেই। তার মতে, দলটির শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত সবাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আস্থাশীল।

শুক্রবার (২১ মার্চ) রাতে অজ্ঞাত স্থান থেকে টেলিফোনে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে-কে এসব কথা জানান তিনি।

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবির প্রসঙ্গে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন কোনো শক্তি নেই যে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারে। এ দেশের জন্ম দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এ দেশের কোনায় কোনায় আওয়ামী লীগের অবস্থান। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার কোনো শক্তি নেই বাংলাদেশে।

বাংলাদেশে রাজাকার, পাকিস্তানি ও পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা নিষিদ্ধ হবে; আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হবে না। যে দেশ জন্ম দেয়, তাকে নিষিদ্ধ করা যায় না। ’

তার দাবি, ইউনূস ও তার সহযোগীরা যেভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আচরণ করছেন, তাতে তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয়।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘তারা (ইউনূস সরকার) বলে আসছিল, আমরা (আওয়ামী লীগ) নাকি গত ১৫ বছর ধরে ভালো নির্বাচন করিনি, আমাদের সময় নাকি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। তাহলে এখন তারা প্রশাসনকে দলীয়করণ করছে কেন?

এক চিঠিতে এতগুলো লোক নিচ্ছে কেন? এখন কেন তারা একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে পারছে না? প্রতিটি কি পয়েন্টে বসিয়ে রেখেছে বিএনপি-জামায়াতের লোকজন। ’

সাক্ষাৎকারে মোহাম্মদ এ আরাফাত আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব এখনো বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার হাতে এবং আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদ থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যন্ত শতভাগ মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল।

কাজেই নেতৃত্ব নিয়ে পুনর্গঠনের কোনো সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। তবে দলীয়ভাবে দলকে পুনর্গঠন বা সংগঠিত করা অন্য বিষয়। ’

সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন আমরা ইউনূসের (ড. মোহাম্মদ ইউনূস) অধীনে করব না। ইউনূস ও তারা গ্যাং আওয়ামী লীগের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করছে তাতে তো মনে হচ্ছে নির্বাচন ও রকমভাবে হবে না। ’

তিনি আরো বলেন,‘তারা ৩২ নম্বর ভাঙলো ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা কর্মীদের বাসা ভাঙলো। তারপর যখন তাদের প্রতিরোধ করা হতো তখন সরকার ডেভিল হান্ট শুরু করল। যারা ভাঙছে তাদেরকে প্রটেকশন দিল। ’

জুলাই গণহত্যার ব্যাপারে আওয়ামী লীগ জাতির কাছে ক্ষমা চাইবে কিনা প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, ‘৫ আগস্টের পর যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেগুলোর পর কী তারা ক্ষমা চাইবে? তোফাজ্জল, মাসুদ ও রাজীব হত্যাকাণ্ডের জন্য কি তারা ক্ষমা চাইবে?

আমি এর আগেও বলেছি, আমরা ক্ষমতায় থাকার সময় যে ঘটনাই হয়েছে তার একটা দায় আমাদের আছে; কারণ আমরা সরকারে ছিলাম। এই দায় আমরা স্বীকার করেছি। ’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এটাকে (জুলাই আগস্টের গণহত্যা) একটি বিচার প্রক্রিয়ায় আনার চেষ্টা করেছিল। আমরা একটি কমিশন গঠন করেছিলাম। ৫ আগস্ট পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের বিচারও তো তারা করছে না। তারা এটাকে পলিটিক্যালি ব্যবহার করছে। এটার তো বিচার করতে হবে।

আজকে কেন গণহারে মামলা হচ্ছে। তারা এটাকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের উপর দমন-পীড়ন করছে। এর অবজেক্টিভ হলো আওয়ামী লীগকে শেষ করা। যেটা সম্ভব না। এরা কোন বিচার করছে না। বিচার করলে আওয়ামী লীগই করত। ’

উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার জানান, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের কোনো পরিকল্পনা অন্তর্বর্তী সরকারের নেই। তার এই বক্তব্যের পর ব্যাপক বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই বক্তব্যে নিন্দা জানিয়েছে নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।

এদিকে ‘রিফাইন্ড আওয়ামী লীগ’ তথা আওয়ামী লীগ পুনর্গঠনের কথা ভাসছে রাজনীতির মাঠে। শেখ হাসিনা এবং গণহত্যার মামলার আসামিদের বাদ দিয়ে আওয়ামী লীগ পুনর্গঠন হয়ে ফের রাজনীতির মাঠে নামতে পারে – এমন কথা শোনা যাচ্ছে। যে কারণে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের প্রসঙ্গ আবার আলোচনায় এসেছে।

২৮ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ১৪৩৮

রাজনীতি

আমার স্বামী’ র শেষ কথা ছিল,বিডিআরের পোশাকে ভারতীয়রা : নি হ ত মেজরের স্ত্রী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।

দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর‌্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।

আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২৭০

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়বেন, হাসনাত-সারজিসসহ অন্যরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই

নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা

শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারতের হস্তক্ষেপের আহ্বান

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?

মোট ভোট: ৮৮০

রাজনীতি

হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ‘ক্রসফায়ার’দেওয়া হতো : নজরুল ইসলাম

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৬

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।

এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।

তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।

তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।

আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২৭০