গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, “চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে সেনাবাহিনী যদি সময়মতো জনগণের পাশে এসে দাঁড়াত না, তাহলে দেশে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হতো। এটি ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত, যেখানে সেনাবাহিনী’র ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কিন্তু কিছু স্বার্থান্বেষী বুদ্ধিজীবী উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই অবদানকে অস্বীকার করার মাধ্যমে বিভাজনের চেষ্টা করছে। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণেই দেশে আবারো নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।”
তিনি সবাইকে এই বিভাজনমূলক অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। রাজধানীর পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ ও চব্বিশের গণহত্যার বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ হলো সেই শক্তি, যারা গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তাদের অবৈধ শাসন জনগণের কণ্ঠরোধ করেছে এবং তাদের অপশাসন থেকে জাতিকে মুক্ত করতে চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান ছিল একটি অনিবার্য পরিণতি। যারা এই গণঅভ্যুত্থানের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়, তারা মূলত দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে।”
বিক্ষোভ সমাবেশের পর গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে আয়োজিত একটি বিশাল গণমিছিল পল্টন থেকে শুরু হয়ে পল্টন মোড় এবং জাতীয় প্রেসক্লাব প্রদক্ষিণ করে আবার গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়। মিছিলে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশ নেন এবং আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধকরণ ও চব্বিশের গণহত্যার বিচার দাবিতে সোচ্চার স্লোগান দেন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে জোরালো বক্তব্য দিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেন, “আওয়ামী লীগের রাজনীতি বন্ধের বিষয়ে নতুন করে জাতীয় ঐকমত্যের প্রয়োজন নেই। ৫ আগস্টেই জনগণ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের রায় দিয়েছে। আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করা মানে শহিদদের রক্তের সঙ্গে চরম বেইমানি করা।”
গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় এই সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফারুক হাসান, হাসান আল-মামুন, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমানসহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে গণঅধিকার পরিষদ আগামী শনিবার ঢাকাসহ সারা দেশে অবস্থান কর্মসূচি ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে।

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?