আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, “আওয়ামী ঘুড়ি আর বাংলাদেশে উড়তে দেওয়া হবে না। জনগণের উপর জগদ্দল পাথরের মতো চেপে বসা এই ফ্যাসিবাদী শক্তিকে প্রতিহত করতে সব গণতান্ত্রিক ও মুক্তিকামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের মাটিতে স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ আর কখনোই ঘাঁটি গাড়তে পারবে না। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ রক্ষার স্বার্থে আওয়ামী লীগের সকল ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জাতিকে সম্মিলিতভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। যে দলটি জনগণের রায়কে বারবার উপেক্ষা করেছে এবং ভোটাধিকার হরণ করে জনগণের কণ্ঠ রোধ করেছে, তাদের জন্য গণতান্ত্রিক রাজনীতির দরজা চিরতরে বন্ধ করতে হবে।”
আসিফ মাহমুদ এই মন্তব্য করেন তাঁর ব্যক্তিগত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে। তিনি এই বক্তব্য দেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের একটি স্ট্যাটাসের পরিপ্রেক্ষিতে। তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম তাঁর স্ট্যাটাসে আওয়ামী লীগের চরিত্র সম্পর্কে বলেন, “আওয়ামী লীগ কোনো দেশীয় শক্তি নয়; এটি মূলত বিদেশ থেকে ট্রান্সপ্লান্ট করা একটি শক্তি। এর সকল কর্মকাণ্ডের নির্দেশনা ও নেতৃত্ব পরিচালিত হয় বহির্বিশ্ব থেকে। এটি দিল্লি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত একটি ঘুড়ি, যা বাংলাদেশে উড়ে বেড়াচ্ছে। কিন্তু এই ঘুড়ি আর কখনোই বাংলাদেশের আকাশে উড়তে দেওয়া হবে না।”
মাহফুজ আলমের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়ে আসিফ মাহমুদ বলেন, “আওয়ামী লীগকে রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে সরিয়ে দিতে আমাদের ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনকে আরও সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে হবে। দলটি শুধু দেশের অভ্যন্তরে নয়, আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। বিদেশী শক্তির মদদে পরিচালিত আওয়ামী লীগকে প্রতিহত করার জন্য প্রতিটি নাগরিককে সজাগ ও সক্রিয় থাকতে হবে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা যারা জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করছি, আমাদের দায়িত্ব হলো আওয়ামী লীগের মতো দেশবিরোধী ও ফ্যাসিবাদী শক্তির বিপরীতে শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তোলা। গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার ও মানবাধিকারের পক্ষে সব শক্তিকে একত্রিত করে নতুন বিপ্লবের সূচনা করতে হবে। এই দেশপ্রেমিক আন্দোলনে দেশের সকল নাগরিকের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।”
এছাড়াও, আসিফ মাহমুদ তাঁর বক্তব্যে আন্তর্জাতিক মহলকেও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে চলমান মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ফ্যাসিবাদী শক্তির দমনমূলক নীতির বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সোচ্চার হতে হবে। আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহ্বান জানাই, তারা যেন আওয়ামী লীগের এই স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী অবস্থান গ্রহণ করে এবং বাংলাদেশের জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবিকে সমর্থন জানায়।”
তিনি তাঁর বক্তব্যের শেষে বলেন, “এই মাফিয়া চক্রকে রাজনীতির মঞ্চ থেকে চিরতরে উৎখাত না করা পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে। দেশকে স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্ত করে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে এনসিপি ও অন্যান্য গণতান্ত্রিক শক্তি সব সময় অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?