বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসমন্বয়ক ও গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি বলেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, কোনোভাবে যদি আবার আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের চিন্তা করে থাকেন তাহলে এদেশে জুলাইয়ের পুনরাবৃত্তি হবে।
যদি আওয়ামী লীগকে কোনোভাবে রাজনীতিতে আসতে দেন, তাহলে আমাদের লাশের উপর দিয়ে আসতে হবে।আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই। মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু।
৫ আগস্টে ২০০০ শহীদের রক্তের বিনিময়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়ে গেছে এখন শুধুমাত্র অফিসিয়াল ঘোষণা আসা বাকি।
আমরা এখনো সেই অপেক্ষায় কিন্তু যদি কোন ভাবেই সেই ঘোষণাটা দেওয়ার বিলম্ব করা হয় তাহলে আবারো জুলাইয়ের পুনরাবৃত্তি হবে। বাংলাদেশ কিভাবে চলবে তা ইন্ডিয়ার প্রেসক্রিপশনে হবে না, বাংলাদেশে কোন সিদ্ধান্ত কচুক্ষেত থেকে হবেনা।
বাংলাদেশের প্রতিটি সিদ্ধান্ত হবে বাংলাদেশের রাজপথ থেকে, বাংলাদেশের প্রতিটি সিদ্ধান্ত দিবে ছাত্র জনতা। আমরা পরিষ্কারভাবে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে বলতে চাই আপনারা আওয়ামী লীগের ব্যাপারে আপনাদের সিদ্ধান্ত পরিষ্কার ভাবে ঘোষণা করতে হবে। এবং এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জনতাকে জানাতে হবে।
৫ ই আগস্ট লাখো বিপ্লবীদের আন্দোলনের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে আর চায়না। বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব চায়না আওয়ামী লীগের রাজনীতি চায়না।
আওয়ামী লীগকে ব্যান করতে হবে, হাজারও শহীদদের দায় নিয়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে আমরা অ্যাকশন দেখতে চাই।
অন্তর্বর্তীকালে সরকারকে বলতে চাই হাজারো রক্তের উপর দিয়ে আপনারা দাঁড়িয়ে আছেন কোন তালবাহানা মেনে নেওয়া হবে না। আমরা আপনাকে উপদেষ্টা বানিয়েছি কোন সুশীলতা দেখাতে নয়। আপনারা আওয়ামী লীগের বিচারের চেয়ে পুনর্বাসনে তাড়াতাড়ি করছেন।
আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের জন্য আপনাদেরকে বসানো হয় নাই। আওয়ামী লীগের বিচার নিশ্চিত করে আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধ করার জন্য এদেরকে বসানো হয়েছে। আমরা আমৃত্যু লড়ে যাব।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?