আগে পুলিশের ভয়ে এলাকায় যেতে পারতাম না, এখন লোকদের অভিযোগের ভয়ে যেতে পারি না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের টকশোতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমি করছি না চাঁদাবাজি, বিএনপি করছে না চাঁদাবাজি, তাহলে চাঁদাবাজি তো হচ্ছে। আমি আমার এলাকায় এখন একটা কমন কথা বলি আর কি যে আগে পুলিশের ভয়ে যেতে পারতাম না, এখন লোকদের অভিযোগের ভয়ে যেতে পারি না।
এত অভিযোগ এবং প্রিন্স ভাই এলাকাতে আছেন, আমিও আজকে বরগুনাতে গিয়েছিলাম। আমাদের আমিরে জামায়াতের সেখানে সফর ছিল। এই যে এলাকাগুলোতে আমরা যাচ্ছি বিস্তর অভিযোগ এবং এটা বলা উচিত এই কারণে বলছি যে, আমার কাছে এটা শুনে বলছি আমি নিজে শুনে বলছি যে মাসুদ ভাই আগে ৩০ টাকা দিলে হতো এখন ৫০ টাকা দিতে হয় আগে একজনকে দিলে হতো এখন তিনজনকে দিতে হয়। হু আর দেম?
তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাব তো এখন আমরা যদি বলি যে এখনো ফেসিস্টরা আছে তাদের দোসররা এগুলো করছে। এই জবাব দিয়ে কি আসলে আমি প্রিন্স ভাই আপনারা আমরা কি পার পাওয়াটা কি আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে?
এটুকু বলেই কি আমরা জনগণের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আসলে মুক্ত হতে পারছি? কিন্তু এই চাঁদাবাজের জায়গাটা থেকে তো জনগণকে মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে।
সেই জায়গা তো খুব শক্ত কথা বলা উচিত আমাদের। সেই সত্য কথাটাকি আমরা আসলে বলতে পারছি এবং খুব আমি ১৮০০ জনকে বহিষ্কার করছি বা আমাদের থেকে আমরা দুইজনকে বহিষ্কার করছি করি নাই।
এই প্রসঙ্গটা আমার কাছে যত না বড় তার চেয়ে রাজনৈতিক দল হিসেবে যেহেতু এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সেই জায়গায় রাজনৈতিক দল হিসেবে তো আমাদের একটা দায়বদ্ধতা তৈরি হওয়া উচিত।
শফিকুল ইসলাম বলেন, পাবলিক পারসেপশনে ২০২৪ এর জুলাই আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের পরে যে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রসঙ্গ উঠেছে সেখানে আমরা কি জনগণকে সেই নিশ্চয়তাটুকু দিতে পারছি বরং উল্টোটা হয়ে যাচ্ছে কিনা কোন কোন ক্ষেত্রে সেটা ভাবা উচিত বলে আমি মনে করি।
সে জায়গাটা আমরা ধারণ করি এবং পরিষ্কার করে বলছি যে যখন এই কথাটা আমরা বলি তখন আবার এটাতে আমরা তো কেউ কেউ কষ্ট পেয়ে যাচ্ছি যে জামায়াত ইসলামী এটা বলছে কেন? কেন চাঁদাবাজের ব্যাপারে এই প্রসঙ্গটা তুললো।
তা আমরা তো বলছি যে এক চাঁদাবাজ থেকে আরেক চাঁদাবাজে যাওয়ার প্রসঙ্গটা তোলা হয়েছে। চাঁদাবাজের হাত বদল হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি শুধু দল থেকে বহিষ্কার করা বা কতজনকে করলাম আমি করলাম উনারা করল এটা সলিউশন না। সলিউশন হচ্ছে এই ব্যাপারে আমাদের রাজনৈতিক ঐক্যমত প্রয়োজন এবং সে ক্ষেত্রে আমি যদি কথা বলি সেটা বিএনপির এপ্রিশিয়েট করা উচিত এবং বিএনপি যদি স্ট্রংলি স্ট্যান্ড নেয় সেটা আমার এপ্রিশিয়েট করা উচিত।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?