বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সরকারকে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি ও তামাশার নাটক করার অভিযোগ এনে বলেছেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে বলে নিশ্চিত করার পর এখন গড়িমসি চলছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “কদিন আগেই তো বললেন ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে। এখন আবার শুনছি জুনেও হতে পারে! স্বল্প মেয়াদি সংস্কার চাইলে ডিসেম্বরে, দীর্ঘ মেয়াদি সংস্কার চাইলে জুনে—এই কথাগুলো বলে জনগণের সঙ্গে তামাশা করা হচ্ছে।”
তিনি আরও বলেন, “সংস্কারের আবার স্বল্প মেয়াদি আর দীর্ঘ মেয়াদি কী? সংস্কার তো চলমান প্রক্রিয়া। আজ যা সংস্কার হচ্ছে, ৫০ বছর পর সেটার আবার সংস্কার হতে পারে। তাহলে এই ‘স্বল্প মেয়াদি বনাম দীর্ঘ মেয়াদি সংস্কার’ নাটক কেন? জনগণ স্পষ্ট দেখছে, নির্বাচন নিয়ে একটা পরিকল্পিত ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে, যাতে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যায়।”
রিজভীর এই বক্তব্য সরাসরি সরকারের সদিচ্ছা নিয়ে প্রশ্ন তোলে এবং এটিকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে তুলে ধরেন। তার ভাষায়, সরকার নির্বাচনের নামে নতুন কৌশল খুঁজছে, যাতে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য সময় ক্ষেপণ করা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপি এখন এই ইস্যুতে আরও আগ্রাসী কৌশল নিচ্ছে, সরকারকে চাপে ফেলতে চাইছে এবং নির্বাচনকালীন সময়ে নির্দিষ্টতা নিশ্চিত করতে চাইছে।
অন্যদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি, তবে রাজনৈতিক অঙ্গনে এ নিয়ে বিতর্ক তীব্রতর হচ্ছে। বিএনপি এই ইস্যুকে জনগণের ভোটাধিকার সংকুচিত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে এবং তারা মনে করছে সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচনী অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।
এই প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে নির্বাচনকালীন সময়ে এ ধরনের বিতর্ক বারবার সামনে এসেছে, এবং প্রতিবারই এটি রাজনৈতিক উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে।
বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযোগ সামনে আসায় রাজনীতির মাঠ আরও উত্তপ্ত হতে পারে এবং সরকার ও বিরোধী দলগুলোর মধ্যে নতুন রাজনৈতিক সংঘাতের ইঙ্গিতও মিলছে।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?