পদত্যাগ করে আবারও গণঅধিকার পরিষদে ফিরেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবু হানিফ। বৃহস্পতিবার (০৬ মার্চ) এনসিপির আহ্বায়ক/সদস্য সচিব বরাবর পদত্যাগপত্র দিয়েছেন তিনি।
পদত্যাগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘আমি জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক পদ থেকে ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করছি।’
হানিফের পদত্যাগ ও গণঅধিকারে ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করে দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও দপ্তর সম্পাদক শাকিলউজ্জামান শাকিল বলেন, জাতীয় নাগরিক পার্টিতে আবু হানিফের যোগদানের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল। ছেলে ঘরে ফিরে আসছে। আবু হানিফের ফিরে আসার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই।’
তিনি বলেন, ‘বাকি যারা গেছে তারাও গণঅধিকার পরিষদের ফিরে আসবে। গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দল। শেখ হাসিনাই গণঅধিকার পরিষদকে ভাঙতে পারে নাই। অন্য কেউ গণঅধিকার পরিষদকে ভাঙতে পারবে না।’
এদিকে গণ অধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে বলেন, ‘গণ অধিকার পরিষদ যার হৃদয়ে, তারা কখনোই গণ অধিকার পরিষদ ছাড়া অন্য কোথাও থাকতে পারবে না।’
প্রসঙ্গত, আবু হানিফ গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে এনসিপির আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ হয়। এরপর হানিফসহ নুরুল হকের গণ অধিকার পরিষদের অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী এনসিপিতে যোগ দেন।
হানিফ ছাড়াও উচ্চতর পরিষদের সদস্য হানিফ খান সজীব, আব্দুজ জাহের ও আরিফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মো. রাসেল আহমেদ, পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন, ছাত্র অধিকার পরিষদের আরিফুল ইসলাম আদীব, আকরাম হুসেইন প্রমুখ এনসিপিতে যোগ দিয়েছেন।
এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ সম্প্রতি এক টকশোতে দাবি করেন, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর তার দল বিলুপ্ত করে এনসিপিতে যোগ দিতে চান।
তবে এই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করে নুরুল হক নুর গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিনি এনসিপিতে যোগ দিতে চাননি; বরং এনসিপির নেতাদেরকেই তিনি গণ অধিকার পরিষদে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?