নবগঠিত রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আগামী জাতীয় নির্বাচনে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোটে যাবে না বলে জানিয়েছে দলটির নেতারা। তাদের দাবি, ৩০০ আসনেই নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে এবং তারা সম্পূর্ণ এককভাবে নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন। দলীয় নিবন্ধন পাওয়ার জন্য ঈদের পর নির্বাচন কমিশনে আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন নেতারা।
বুধবার (৫ মার্চ) এক বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে এনসিপির শীর্ষ নেতারা এসব তথ্য তুলে ধরেন। দলীয় নিবন্ধন প্রসঙ্গে তারা বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য সব নিয়ম মেনে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া এগিয়ে নেওয়া হবে এবং ঈদের পর নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিক আবেদন করা হবে।
এনসিপির নেতারা আরও জানান, এখনো দলীয় প্রতীক চূড়ান্ত করা হয়নি। এ বিষয়ে দলের ভেতরে আলোচনা চলছে, সবার মতামত নিয়েই প্রতীক নির্ধারণ করা হবে।
জোট গঠনের বিষয়ে এনসিপি স্পষ্ট করেছে যে তারা অন্য কোনো বড় দলের সঙ্গে জোটে যাবে না। তবে ছোট রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য এনসিপির সঙ্গে জোট গঠনের সুযোগ থাকবে বলে জানান দলটির নেতারা। তাদের মতে, তরুণদের নেতৃত্বে গঠিত এই নতুন দলটি স্বতন্ত্রভাবেই রাজনীতিতে নিজের অবস্থান তৈরি করতে চায়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার জানান, “আমরা ঈদের পর নিবন্ধনের জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করব। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম ইতোমধ্যে বিস্তৃত করা হয়েছে এবং নির্বাচনের আগে তা আরও জোরদার করা হবে।”
দলের আরেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন বলেন, “এনসিপির শক্তিশালী সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে এবং দলটি আগামী জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার সক্ষমতা রাখে। আমরা সারাদেশে আমাদের কার্যক্রম বাড়াচ্ছি এবং নির্বাচন সামনে রেখে সাংগঠনিক ভিত্তি আরও শক্তিশালী করছি।”
এনসিপির নেতারা মনে করেন, তরুণ নেতৃত্বের এই দলটি আগামী নির্বাচনে বড় চমক তৈরি করবে। বর্তমানে দলটি দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করছে এবং সদস্য সংগ্রহ ও নীতিগত কাঠামো আরও সুসংহত করার কাজ চলছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন এই দলটি তরুণদের মাঝে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এবং আগামী দিনে এটি জাতীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?