‘এনাফ ইজ এনাফ। যথেষ্ট হয়েছে আমরা আর চুপচাপ থাকব না। গত ছয় মাসে গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের অল্প কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সংবাদ সম্মেলন করে আহতদের অবস্থা জানাতে হবে।
আহত ও নিহতদের ক্যাটাগরির ব্যাপারে যে বৈষম্য করা হয়েছে, তা সংশোধন করতে হবে। গত ছয় মাসে বিভিন্ন কমিউনিটির যৌক্তিক দাবি-দাওয়া আমলে নেওয়া হয়নি।
সংস্কারের কোনো বাস্তবায়ন দেখছি না। পুরনো ধারায়ই চলছে দেশ। এখন জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে এগিয়ে যাওয়া উচিত।’
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কাকরাইলের আইডিবি মিলনায়তনে গণঅধিকার পরিষদের বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
এসময় রাজনৈতিক ফায়দা নিতে কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে টিকিয়ে রাখতে চায় বলেও মন্তব্য করেন নুর।
নিজ দলের কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের ওপর হামলার বিষয়ে নুর বলেন, ক্ষমতায় আসার আগেই কোনো কোনো দলের উৎপাত আধিপত্য বেড়েছে। অন্য দলকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এমনকি রাজনৈতিক ফায়দা নিতে কেউ কেউ আওয়ামী লীগকে জিইয়ে রাখতে চায়।
আমরা (গণ-অভ্যুত্থানের) ইতিহাস বা কৃতিত্ব নিয়ে কাড়াকাড়ি করতে চাই না। পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি দেশ, সমাজ ও রাষ্ট্রের মধ্যে বিভক্তি তৈরি করেছে।
তিনি ছাত্র রাজনীতির কথা উল্লেখ করে বলেন, ছাত্র প্রতিনিধিরা যদি ছাত্র অবস্থায় ডিসি-এসপিদের সঙ্গে নিয়োগ নিয়ে ডিল করে, তাহলে একটা চাঁদাবাজ প্রজন্ম তৈরি হবে। গণঅধিকারের ব্যানার ব্যবহার করে কেউ অনৈতিক কোনো ফায়দা নিতে চাইলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচনের তাগিদ দিয়ে নুরুল হক নুর বলেন, জাতীয় নির্বাচনে ৩০০ আসনে লড়বে গণঅধিকার পরিষদ। এখন পর্যন্ত কোনো দলের সঙ্গে জোট করিনি, তবে ভবিষ্যতে করব কিনা- তা নিয়ে সভায় আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
গণ-অভ্যুত্থানের আগেই আমরা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের কথা বলেছিলাম। আগামী নির্বাচন আনুপাতিক হারে হতে হবে। এই দাবি নিয়ে প্রয়োজনে রাস্তায় নেমে দাবি আদায় করা হবে বলেও হুঁশিয়ার দেন তিনি।
অনুষ্ঠানে গণঅধিকার পরিষদের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তব্য দেন।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?