মজনুর রহমান আকাশ, মেহেরপুর প্রতিনিধি:
বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানুল্লাহ আমান বলেছেন, সাবেক প্রধান মন্ত্রী বলেছিলেন শেখ হাসিনা পালায়না। অথচ গোষ্টিসহ পালিয়েছেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুথানে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। কিন্তু রক্ত দিতে হয়েছে হাজার হাজার জনতাকে।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে মেহেরপুর সরকারী কলেজ মাঠে বিএনপি আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি সঙ্কট মোকাবেলায় হাল ধরেছিলো বিএনপি। দেশের দুঃসময়ে ম্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে শেখ হাসিনা বেইমানী করে ৮৬ এর নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলো। খালেদা জীয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে ৯ বছর স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলনে এরশাদ সরকারকে পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র পুনরোদ্ধার করেছিলেন। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সর্বশেষ ছাত্র-জনতার অভ্যুথান ঘটেছে বলেও দাবি করেন তিনি।
অথচ এই আপোষহীন নেত্রীকে মিথ্যা মামলায় ৬ টি বছর অন্ধকার কারাগারে রাখা হয়েছিলো। এমনকি স্লোপয়জন দিয়ে হত্যার চেষ্টাও করা হয়েছিলো। চিকিৎসক বিদেশে চিকিৎসার কথা বার বার বললেও তার অনুমতি দেয়নি হাসিনা। অথচ আওয়ামী লীগের ছোট খাটো নেতারাও বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। আল্লাহ চাইলে খালেদা জীয়া সূস্থ্য হয়ে আবারও দলের হাল ধরবেন।
তিনি আরো বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র চালু করেছিলেন। বাকশাল গঠন করে শেখ মুজিবর রহমান চারটি পত্রিকা বাদে সব সংবাদ মাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে দেশের সব পত্রিকা চালু করেন। দেশে সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক জাভেদ মাসুদ মিল্টন। সঞ্চলনা করেন আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, বক্তব্য রাখেন যুগ্ম আহবায়ক ফয়েজ আহম্মেদ, মেহেরপুর-১ আসনের সাবকে সংসদ সদস্য ও আহবায়ক কমিটির সদস্য মাসুদ অরুণ, মেহেরপুর-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আমজাদ হোসেনসহ বিএনপির নেতৃবৃন্দ। হাজার হাজার বিএনপির নেতা-কর্মীরা সমাবেশে অংশ নেয়।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?