প্রভাষক জাহাঙ্গীর আলম, তারাকান্দা উপজেলা (ময়মনসিংহ) :
ময়মনসিংহের তারাকান্দায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র তারাকান্দার নতুন বাজার এলাকায় ময়মনসিংহ উঃজেলা বিএনপির মহা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নানান জল্পনা কল্পনা পর সমাবেশ সফল করতে পেরে মোতাহার হোসেন তালুকদার গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ আবারও জনমনে ভোট ব্যাংক হিসাবে জায়গায় দখল করতে পেরে নেতৃবৃন্দর মাঝে এক ধরণের জয়ের আনন্দের বাতাস বইছে।
এ সম্মেলনের মাধ্যমে নবাগত আহ্বায়ক কমিটির স্বীকৃতি মিলে বিপক্ষে থাকা তারাকান্দা উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতৃবৃন্দ লোকজনের কাছে। জোনায়েদ হোসেন শাকিল সমর্থীত লোকজনের উপস্থিতি তার বহিঃপ্রকাশ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের তারাকান্দায় উত্তর জেলা বিএনপির সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ময়মনসিংহ উঃজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ কালাম সঞ্চালনায় ছিলেন ময়মনসিংহ উঃজেলা বিএনপির একমাত্র যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদার।
পবিত্র কুরআন হতে তেলাওয়াতের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। কুরআন হতে তেলাওয়াত করেন মাওলানা আকবর আলী সাহেব।
প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ ওয়ারেস আলী মামুন ও আবু ওয়াহাব আকন্দ ওয়াহিদ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, বিগত ১৭ বছর বিএনপি ফ্যাসিস্ট বিরোধী আন্দোলনের ফাউন্ডেশন গড়ে তুলেছিল। তিনি ৫ আগস্টের পর থেকে বিগত ৭ মাস ধরে বিএনপির প্রতি অবিচার করা হচ্ছে এমন অভিযোগের কথাও বলেন । অথচ নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে দুই তৃতীয়াংশ মেজোরিটি পাবে বিএনপি। কিন্তু ইলেকশন যেন না হয় তা নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর উদ্দেশ্য তিনি বলেন, ইসলাম নিয়ে রাজনীতি করতে যাইয়েন না। নির্বাচনে ১০ পার্সেন্ট ভোট পেলে স্যালুট দেব। আপনারা ব্যাংক দখল করে বিএনপিকে বলেন চাঁদাবাজ। কিন্তু জনগণ কাকে ভালোবাসে প্রমাণ চাইলে নির্বাচন দিন।
তিনি গুরুত্ব সহকারে বলেন,স্থানীয় নির্বাচনের জন্য স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হয়নি, দেশের জনগণ অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচন চায়।
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পারিস্থিতির উন্নতি ও দ্রুত নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ সমাবেশের বক্তব্যরা বক্তব্য রাখেন।
এর আগে দুপুরের পর হেত জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়ন হতে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে এসে সমাবেশস্থলে জমায়েত হন। তবে বেশ কয়েকটি মিছিল নিয়ে জনমেন বড় ছোটর প্রশ্ন উঠে সরেজমিনে এমনটায় পাওয়া যায়।
খণ্ড খণ্ড মিছিলে মিছিলে জনসমুদ্র তৈরি হয় সমাবেশস্থল এলাকায়। পুরো উপজেলায় এর আগে এতো বড় সমাবেশ কখনো হয় নি লোকজন এমনটায় বলাবলি করতে দেখা যায়।
সমাবেশস্থলের কাছাকাছি অনাকাঙ্ক্ষিত সংঘর্ষের প্রমাণ পাওয়া যায়। তিন-চারজন আহতের প্রমাণ পাওয়া যায়।
তবে বিষয়টি কে সাধারণ লোকজন ভালো ভাবে নিচ্ছেন না।
সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন নয় – এমন বক্তব্য উঠে আসে বিশাল জনসম্মুখের মাঝে বক্তব্য রাখা বক্তাদের মাঝে।
এছাড়াও গর্জনশীল বক্তব্য রাখেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল হোসেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব রোকনুজ্জামান সরকারসহ জেলা উপজেলার হাইকমান্ডের সিনিয়র নেতৃবৃন্দর কাছ থেকে।
মহা সমাবেশের আয়োজক ছিলেন, ময়মনসিংহ উঃজেলা বিএনপি।

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?