শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

লন্ডনেই ঈদ করবেন খালেদা জিয়া, রোজায় ভোটের প্রচারে থাকবে বিএনপি

বরাবরই রোজার মাসকে সাংগঠনিকভাবে কাজে লাগায় বিএনপি। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। এবার ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে স্বাভাবিক রাজনীতি ও ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকবে দলটি। আসছে মার্চে শুরু হতে যাওয়া রমজানে কেন্দ্রীয়ভাবে কয়েকটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে বিএনপি। এরই মধ্যে চারটি ইফতার মাহফিলের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশেই তৃণমূল পর্যায়েও ইফতার মাহফিল ঘিরে ভোটের […]

লন্ডনেই ঈদ করবেন খালেদা জিয়া, রোজায় ভোটের প্রচারে থাকবে বিএনপি

ছবি : সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১:৪০

বরাবরই রোজার মাসকে সাংগঠনিকভাবে কাজে লাগায় বিএনপি। এবারও এর ব্যতিক্রম হবে না। এবার ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে স্বাভাবিক রাজনীতি ও ভোটের প্রচারে ব্যস্ত থাকবে দলটি। আসছে মার্চে শুরু হতে যাওয়া রমজানে কেন্দ্রীয়ভাবে কয়েকটি ইফতার মাহফিলের আয়োজন করবে বিএনপি। এরই মধ্যে চারটি ইফতার মাহফিলের সূচি চূড়ান্ত হয়েছে। পাশাপাশি সারা দেশেই তৃণমূল পর্যায়েও ইফতার মাহফিল ঘিরে ভোটের রাজনীতি চাঙ্গা থাকবে বলে দলটির নেতাকর্মীরা জানান।

সূচি অনুযায়ী প্রথম রোজায় এতিম ও আলেমদের সম্মানে, ৬ মার্চ কূটনীতিক এবং ৯ মার্চ রাজনীতিবিদদের সম্মানে পৃথকভাবে ইফতার মাহফিল হবে। পাশাপাশি আরও একটি ইফতার হবে কেন্দ্রীয়ভাবে (দিন চূড়ান্ত হয়নি)। এবার জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হলে তাদেরও স্বাগত এবং আমন্ত্রণ জানাবে দলটি। অন্যদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া লন্ডনে তার বড় ছেলের সঙ্গে এবারের ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এখনো বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথে সক্রিয় বিএনপি। পাশাপাশি দেশের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য, যুগ্ম মহাসচিব, সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সম্প্রতি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক কয়েকটি দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও ভার্চুয়ালি মতবিনিময় করেছেন তিনি। এ ছাড়া গত ১২ ফেব্রুয়ারি থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির দাবি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি এবং রাষ্ট্রে পতিত ফ্যাসিবাদের নানা চক্রান্তের অপচেষ্টা মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে বিএনপির উদ্যোগে সারা দেশে জেলা ও মহানগরে পর্যায়ক্রমে সভা-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যা রমজান শুরু হওয়ার আগ পর্যন্ত চলবে।

সূত্র জানায়, মার্চের শুরুতে রোজার মাস হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনো নির্বাচনের রূপরেখা স্পষ্ট করেনি। এ পরিস্থিতিতে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয় এবং উজ্জীবিত রাখার লক্ষ্যে ভিন্ন কিছু কর্মসূচি নেওয়াটাই সমীচীন। সেজন্য আসন্ন রমজান মাস হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এই মাসে সারা দেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ইফতার মাহফিলের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে নেতাকর্মীদের আরও সক্রিয় ও সংঘবদ্ধ রাখতে পবিত্র রোজার মাসে সারা দেশে ইফতার মাহফিল আয়োজন করবেন সংশ্লিষ্টরা। গত বছরও সারা দেশে তৃণমূলে ইউনিয়ন, এমনকি ওয়ার্ড পর্যায়েও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছিলেন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। সবমিলিয়ে প্রায় ১ হাজারের বেশি ইফতার মাহফিল করা হয়েছিল।

জানতে চাইলে বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, প্রতি বছরই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠন এবং সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগে ইফতার মাহফিল হয়। এবারও বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে চারটি ইফতার মাহফিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জেনেছি।

বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নেতাকর্মীদের সক্রিয় ও ঐক্যবদ্ধ রাখা বিএনপির অন্যতম টার্গেট। সেইসঙ্গে বরাবরের মতো এবারও গুম-খুনের শিকার নেতাকর্মীদের পরিবারে ঈদ উপহারসামগ্রী পাঠানো হবে। এ ক্ষেত্রে জুলাই অভ্যুত্থানের কিছু শহীদ পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকেও সহযোগিতা করার পরিকল্পনা আছে বিএনপির। এ বিষয়ে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’-এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমন গতকাল বলেন, আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে সহযোগিতার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছি। বিষয়টি আলোচনা সাপেক্ষে সিদ্ধান্ত হবে।

জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ বলেন, রোজার মাসে সাধারণত মানুষ ধর্মকর্ম নিয়েই ব্যস্ত থাকেন। প্রায় প্রতি বছরই আমাদের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কয়েকটি ইফতার মাহফিল করে থাকেন। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর পরিস্থিতি অনেকটাই ভিন্ন। অতীতের ধারাবাহিকতায় অন্যান্য বছরের মতো এ বছরও আমাদের ইফতার মাহফিলের আয়োজন থাকবে। সেটি কেন্দ্র থেকে তৃণমূলেও হবে। এ ক্ষেত্রে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবেন।

এদিকে কাউন্সিলের আদলে দীর্ঘদিন পর ঢাকায় বর্ধিত সভা ডেকেছে বিএনপি। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দলের এ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০১৮ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর লা মেরিডিয়েন হোটেলে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভা ডেকেছিলেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর তিন দিন পর ৮ ফেব্রুয়ারি তিনি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজা নিয়ে কারাগারে যান। ওই বছরের ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে অংশ নিয়েছিল বিএনপি। কিন্তু পরে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানায় তারা।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে বর্ধিত সভার তারিখ ঘোষণা করে বলেন, ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে যারা দলের প্রার্থী ছিলেন এবং দলের টিকিট অর্থাৎ প্রার্থী নন; কিন্তু মনোনয়নের জন্য ‘সেকেন্ডারি’ কাগজ পেয়েছিলেন, তারাও বর্ধিত সভায় থাকবেন। এ ছাড়া বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি, জাতীয় নির্বাহী কমিটি এবং চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য এবং জেলা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক অথবা আহ্বায়ক, সদস্য সচিব, থানা-উপজেলা-পৌর কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবরা অংশ নেবেন বর্ধিত সভায়। বিএনপি ছাড়া ১১টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরাও থাকবেন সেখানে।

এদিকে যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঈদুল ফিতরের পর দেশে ফিরবেন। দেশে ফেরার দিনক্ষণ এখনো সুনির্দিষ্ট নয়। লন্ডন ক্লিনিকের চিকিৎসকরা বাসায় গিয়ে খালেদা জিয়ার নিয়মিত ফলোআপ করছেন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সফরসঙ্গী ও উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী এমন তথ্য জানিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। লন্ডনের বিশেষায়িত হাসপাতাল লন্ডন ক্লিনিকের লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে। চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড যেদিন বলবে, সেদিনই তিনি দেশে ফিরবেন। খালেদা জিয়ার ১৫ সফরসঙ্গীর মধ্যে এরই মধ্যে আটজন দেশে ফিরেছেন। বাকিরা তার সঙ্গে ফিরবেন।

০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
poll_title
ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনীতি

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৬৯০

রাজনীতি

আমার স্বামী’ র শেষ কথা ছিল,বিডিআরের পোশাকে ভারতীয়রা : নি হ ত মেজরের স্ত্রী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।

দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর‌্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।

আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।

০৭ ডিসেম্বর ২০২৪
poll_title
ফ্যাসিবাদী শক্তির রাজনীতি

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৬৯০

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়বেন, হাসনাত-সারজিসসহ অন্যরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই

নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা

শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

মোট ভোট: ৪০২

রাজনীতি

হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ‘ক্রসফায়ার’দেওয়া হতো : নজরুল ইসলাম

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৬

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।

এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।

তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।

তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।

আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

২৮ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?

মোট ভোট: ১৩৮১