সাইফুল ইসলাম, পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাভার উপজেলা আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়কের পদ পেযেছেন জয় বাংলা ক্লাবের সভাপতি রাকিব মুসুল্লি এমন অভিযোগ উঠেছে ।
তিনি পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী অধ্যক্ষ মহিবুর রহমানের সহধর্মিনী ও কলাপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ফাতেমা আক্তার রেখার ঘনিষ্ঠিজন হিসেবে পরিচজানা যায়, রাকিব মুসুল্লির বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি মহিপুর থানা শাখার ‘জয় বাংলা ক্লাব’-এর সভাপতি হিসেবে চাঁদাবাজি, দখলদারি ও বাস কাউন্টার দখলসহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠরাকিব মুসুল্লি ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় ‘ বাংলাদেশ ফেয়ার মাইন্ড সমাজ কল্যান সংস্থা ’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তুলেছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে জোরপূর্বক এই সংগঠনের নামে অর্থ দিতে বাধ্য করা হতো।
টাকা দিতে অস্বীকার করলেই বিভিন্নভাবে তাদের হয়রানির শিকার হতগত ৫ আগষ্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আঃলীগ ও অঙ্গসংগঠনের অনেক নেতা-কর্মীর মতো তিনিও এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। ৫ তারিখের পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান এবং পরে রাজধানীর সাভারে আশ্রয় নেনসাভারে গিয়ে রাকিব মুসুল্লি ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।গত ২২ ফেব্রুয়ারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাভার উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়। উক্ত কিমিটিতে যুগ্ম আহ্বায়ক পদে জায়গা করে নেনএই ঘটনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। তারা প্রশ্ন তুলছেন—দখলদারিত্ব, চাঁদাবাজি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে অভিযুক্ত ফ্যাসিস্টের দোসর কীভাবে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বস্থানীয় পদ পেতে পারেন? এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনেকেই এটিকে সংগঠনের বড় ধরনের ব্যর্থতা এবং আদর্শবিরোধী বলে উল্লেখ করএ বিষয়ে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বৃহত্তর উত্তরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা ওরবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান সমন্বয়ক আবু সালেহ অমি বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে আমরা ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে এ দেশটাকে ফ্যাসিস্ট মুক্ত করেছি। সেখানে একজন দোসর কীভাবে একটা উপজেলার দায়িত্ব পায়তিনি আরো বলেন, রাকিব মুসুল্লি নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য ভিন্ন সময় বিভিন্ন নামে সামাজিক সংগন তৈরি করেন, তেমনি তারপর ১৮ জানুয়ারী বাংলাদেশ বৈষম্য বিরোধী রাস্ট্র সংস্কার ফাউন্ডেশন নামে নতুন সংগঠন গঠন করে নিজে সংগঠন এর প্রধান হন। আমরা কেন্দ্রীয় সমন্বয়কদের ৩৬ ঘণ্টার সময় দিয়েছি। এর মধ্যে তাকে কমিটি থেকে অপসারণ করে শাস্তির আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিচ্ছি। যদি প্রমাণিত হয় যে তিনি ফ্যাসিস্টের দোসর, তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে সাভার উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়িত্বশীলরা এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে এবং তারা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনি মনে করেন?