রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

নারী নিয়ে এক রুমে ভাগাভাগি করে থাকতেন : পলক-মুরাদ

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সময় সময় নানা বিতর্কিত ঘটনা উঠে আসে, যা জনগণের মনে প্রশ্ন তৈরি করে। সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে, যেখানে বলা হচ্ছে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবং বর্তমান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তারা একসঙ্গে এক রুমে থেকে নারীদের নিয়ে সময় কাটাতেন। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে […]

নিউজ ডেস্ক

২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১:০৬

বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে সময় সময় নানা বিতর্কিত ঘটনা উঠে আসে, যা জনগণের মনে প্রশ্ন তৈরি করে। সম্প্রতি একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে,

যেখানে বলা হচ্ছে, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান এবং বর্তমান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তারা একসঙ্গে এক রুমে থেকে নারীদের নিয়ে সময় কাটাতেন।

বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক মহলে এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চললেও এখনো স্পষ্ট কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, অতীতেও ক্ষমতাসীন দলের কিছু নেতা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়েছেন, যা পরবর্তীতে জনসম্মুখে উঠে এসেছে।

একজন রাজনৈতিক নেতার নৈতিকতা এবং ব্যক্তিগত জীবন জনসাধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, বিশেষ করে যখন তারা জনসেবায় নিয়োজিত থাকেন। জনগণের টাকায় পরিচালিত রাষ্ট্রীয় সুবিধা ভোগ করে যদি কোনো জনপ্রতিনিধি অনৈতিক কাজে লিপ্ত হন, তবে তা অবশ্যই তদন্তের দাবি রাখে।

বাংলাদেশ সরকারের প্রতিমন্ত্রীরা নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে কাজ করেন এবং তারা দেশের জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য। যদি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য হয়, তবে এটি তাদের দায়িত্বশীল অবস্থানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

গেল ৫ আগস্ট ছাত্রজনতার প্রবল গণ আন্দোলনের মুখে পতন হয় আওয়ামী লীগ সরকারের।তারপর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীরা রয়েছেন বিচারের মুখোমুখি আবার অনেকে আছেন পলাতক।

সম্প্রতি স্যোশাল মিডিয়া ইনিস্টাগ্রামে মনোয়ার ইসলামের এক পোস্টকে ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া।যেখানে বেশিরভার নেটিজেনরা মনোয়ার এর বক্তব্যকে সমর্থন করছেন।

গেল ২০ ফেব্রুয়ারি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকাতে মোট পাঁচটা প্রেসিডেনশিয়াল সুইটস আছে। লীগের আমলে সারাবছর জুড়ে পাঁচটা সুইটস অলিখিতভাবে বুকড থাকতো। লীগের শেষ ১০ বছরের বিভিন্ন সময়ে তৎকালীন সর্বোচ্চ ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের নামেই এসব সুইটস বুকড থাকতো।

২০১৯-২১ সাল, এই সময়ে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের পাঁচটা প্রেসিডেনশিয়াল সুইটস এর মধ্যে চারটা সুইটস বরাদ্দ ছিলো যথাক্রমে ওবায়দুল কাদের, সালমান এফ রহমান, বেনজির আহমেদ, জিয়াউল আহসানের নামে।

তবে পাঁচ নাম্বার প্রেসিডেনশিয়াল সুইটটা বরাদ্দ ছিলো ভিন্ন ভিন্ন দুইজন ব্যক্তির নামে। অর্থাৎ একটা সুইট দুইজন আলাদা ব্যক্তি শেয়ার করতো। মাঝে মাঝে এমনও হইছে সেই দুইজন ব্যক্তি একই সময়ে হোটেলে হাজির হয়ে গেছে।

যদিও প্রেসিডেনশিয়াল সুইটে দুইটা রুম আছে। তবু প্রাইভেসির একটা ব্যাপার স্যাপার তো আছে! কিন্তু এই দুইজন ব্যক্তি যেহেতু পূর্বপরিচিত, তাই তাদের লজ্জা-শরমের বালাই ছিলো না।

আবার মাঝেমাঝে এমনও হইছে যে, রুমে একই সাথে তিনজন ব্যক্তিকে এন্ট্রি করা লাগছে। কারণ একজন তার লুডো খেলার সঙ্গী পাইছে। অন্যদিকে অপরজনের লুডো খেলার সঙ্গী ডায়রিয়া হইছে। তখন সঙ্গিবিহীন ব্যক্তি লুডো খেলা বাদ দিয়ে ঘুমাইতো, নাকি তিনজন একসাথে লুডো খেলতো সেইটা খোদা মাবুদ ভালো জানে!

যাইহোক। এই দুইজন ব্যক্তির একজন ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডাক্তার মুরাদ হাসান, অপরজন ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক

তিনি আরো জানান, এত কথা বললাম। কারণ ভাগাভাগি করে খাওয়ার বিষয়টা আসলে পলকের পুরানা অভ্যাস। সে জেলে বইসা ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে কলা-রুটি ভাগ করে খায়। আর জেলের বাইরে ইন্টারকন্টিনেন্টালে ডা. মুরাদের সঙ্গে শুয়ে শুয়ে ভাগ করে খাইতো।

আরেকটা ইন্টারেস্টিং ব্যাপার হইতাছে, ডা. মুরাদ তেমন ক্ষমতাবান কোনো ব্যক্তি না হয়েও ইন্টারকন্টিনেন্টালে একটা প্রেসিডেনশিয়াল সুইট বাগায় নিছিলো। কারণ নারীলিপ্সু মুরাদ তথ্য প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পর মিডিয়া জগতে অপকর্মের অবাধ বিচরণ শুরু করে।

সেই সুবাধে আরেক নারীলিপ্সু ওবায়দুল কাদেরের প্রধান সাপ্লায়ার হিসাবে ডা. মুরাদ নিয়মিত সেবা প্রদান করতো। ওবায়দুল কাদেরকে নিয়মিত খেদমত করার জন্য গিফট হিসাবে ড. মুরাদকে দেওয়া হয় একটি প্রেসিডেনশিয়াল সুইট!

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

মোট ভোট: ৪৩৬

রাজনীতি

আমার স্বামী’ র শেষ কথা ছিল,বিডিআরের পোশাকে ভারতীয়রা : নি হ ত মেজরের স্ত্রী

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৫০

পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।

দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর‌্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।

আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।

০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
poll_title
এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?

মোট ভোট: ১৪৪১

রাজনীতি

ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে যে আসন থেকে লড়বেন, হাসনাত-সারজিসসহ অন্যরা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৪:৪৬

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই

নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।

এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।

নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।

এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা

শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, সাময়িক মজুতদারির কারণে চালের বাজার অস্থিতিশীল। আপনিও কি তা-ই মনে করেন?

মোট ভোট: ৪৩৬

রাজনীতি

হাসিনার পাশে না থাকলে ভাইয়ের মতো আমাকেও ‘ক্রসফায়ার’দেওয়া হতো : নজরুল ইসলাম

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]

নিউজ ডেস্ক

১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৬:১৬

শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।

তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।

ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।

এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।

তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।

তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।

এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।

তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।

আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

১০ জানুয়ারী ২০২৫
poll_title
সচিবালয়ে আগুন

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?

মোট ভোট: ১২৭১