অন্তর্বর্তী সরকার এ বছরের মধ্যেই নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। শনিবার বিকেলে পঞ্চগড় জেলা শহরের সড়ক ও জনপদ মাঠে অনুষ্ঠিত এক জনসভায় এই মন্তব্য করেন তিনি।
নিত্যপণ্যের মূল্য সহনীয় রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতি, নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা, ফ্যাসিবাদী চক্রান্তের অপচেষ্টার মোকাবিলাসহ বিভিন্ন জনদাবিতে এই জনসভার আয়োজন করা হয়।
জনসভায় শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘মনের মধ্যে যতই কষ্ট থাক, যত বেদনা থাক, এই ১৭ বছর পর নির্বাচন হবে। আমি কথা দিয়ে যাচ্ছি, এ বছরেই নির্বাচন হবে। নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে, বিএনপির খেলা এখনো দেখে নাই। শুধুমাত্র কয়টা জনসভা শুরু হয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উদ্দেশ্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘ভাই আপনি ভালো লোক। জ্ঞানী গুণী মানুষ। দেশে-বিদেশে আপনার সুনাম আছে। এদের পাল্লায় পড়িয়েন না, বিএনপিকে রাস্তায় নামায়েন না। যদি একবার রাস্তায় নামে…। ফুলের মালা দিয়ে আপনাকে বরণ করেছি, ফুলের মালা দিয়েই বিদায় করতে চাই।’
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা ১৭ বছরে ৬০ লাখ মামলার আসামি হয়েছে। বিএনপি বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। পঞ্চগড়ের ছেলেটাই বাঁচার জন্য ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালিয়েছে। সে ছাত্রদলের, ছাত্রদলের, যুবদলের, শ্রমিক দলের, কৃষক দলের, সে বিএনপির।
আমার বোনটা, একা তার সন্তানকে রেখে গিয়েছিল, স্বামীর দেখা পায়নি, আপস করে নাই; স্বামীকে কখনো বকে নাই, কয়টা ছেলে নামলো, কয়টা, এতই যদি শক্তি, এতই যদি ক্ষমতা, তাহলে ইলেকশন করেন না কেন? বিরোধিতা করেন কেন।
পার্টি বানাবেন, ঘোষণা করবেন, সরকার সমর্থন দেবে, তারপর বুঝে দেখবেন ইলেকশন করবেন কি না। বিএনপিকে চিনেন নাই এখনও।’
পঞ্চগড় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ প্রধান বক্তা ছিলেন। এতে রংপুর বিভাগীয় বিএনপিরসহ সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক
সম্পাদক ব্যারিস্টার নওশাদ জমির, পঞ্চগড় সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রিনা পারভিন বিশেষ অতিথি ছিলেন। জনসভায় জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম, যুগ্ম
আহ্বায়ক ইউনুস শেখ, মির্জা নাজমুল ইসলাম কাজল, আদম সূফি, এম এ মজিদসহ বিভিন্ন উপজেলা বিএনপির সভাপতি জেলা বিএনপির নেতারাসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?