জাতীয়তাবাদী কৃষক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জন্য বড়ই করুণা হয়। দুই দিন আগেও তাদের নেত্রী বড় গলায় চিৎকার করে বলেছেন, হাসিনা পালায় না। অথচ দুই দিন পরেই সব নেতাকর্মীকে এতিম করে দিয়ে নিজ বোনকে নিয়ে পালিয়ে গেলেন। এবারই প্রথম পালাননি।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পরিবারসহ পালিয়ে গেছিলেন।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা ও ফ্যাসিবাদী দোসরদের গ্রেপ্তারের দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ফরিদপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, শেখ হাসিনা ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবের হত্যাকাণ্ডের সময় ছয় বছর দিল্লিতে পালিয়েছিলেন। তিনি দেশের আসার ১৫ দিন পর জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
তখন শেখ হাসিনা বোরকা পরে ভারতে পালানোর সময় বিজিবির হাতে ধরা খেয়ে গ্রেপ্তার হন। শেখ হাসিনা মোট তিনবার দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। আপনাদের পালানো ইতিহাস আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব, মানুষে বলে কাউয়া কাদের।
তিনি বড় গলায় বলতেন, ফখরুল সাহেব কোথায়? পুলিশ দিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করিয়ে এমন হুংকার দিয়েছিলেন। এখন পালিয়ে গেছেন। আর আমরা এমন পালানো নেতার দল করি না। আমাদের নেতা পালান না। মুক্তিযুদ্ধের সময় পালাননি। মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ করেছেন। জীবনের বিনিময়ও কোনো আপস করেননি।
ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদারেছ আলী ইছার সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. আসাদুজ্জামান রিপন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব জহুরুল হক শাহাজাদা মিয়া, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক খন্দকার শাশুকুর রহমান মাশুক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, কৃষকদলের সাধারন সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল, মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নায়াব ইউসুফ প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?