বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, তাদের সংস্কার তো আমরা প্রত্যাখ্যান করি নাই। আমরা শুধু কোন কোন জায়গায় একমত নই তা জানিয়ে দিয়েছি। এখন একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকে যদি অস্বীকার করা হয় সেটা তো মানবো না।
একটি পক্ষ স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে চিল্লাচ্ছে। গ্রামে গ্রামে, মহল্লায় মহল্লায় যেসব মরিয়া আওয়ামী লীগে আছে, জানের ভয়ে পালিয়ে আছে, ইউপি নির্বাচন করা মানে গ্রামে মহল্লায় ভাগাভাগি, মারামারি, তার মধ্যে আওয়ামী লীগ ঢুকে পড়বে।
সমাবেশে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, অন্তর্বর্ন্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা নয়। তাদের কাজ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা। স্থানীয় নির্বাচনের অর্থ আবার আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনা। আর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন করতে লাগবে দুই বছর।
সেই সুযোগে অন্তর্বর্ন্তীকালীন সরকার অনির্দিষ্টকালের জন্য থেকে যাবে। এটি হবে না। তাই আগে জাতীয় নির্বাচন তারপরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করতে হবে।
প্রতিবেশী দেশ ভারতকে উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আপনি বড় প্রতিবেশী তা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু আপনি যদি বড় প্রতিবেশী হয়ে সবসময় আমাদের সঙ্গে মোড়লগিরি করতে চান তাহলে বাংলাদেশর মানুষ আপনাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করবে না। এই বাস্তবতা আপনি মেনে নেয়ার চেষ্টা করুন।
ভারতকে উদ্দেশ্য করে টুকু আরও বলেন, আপনি যে ভাল প্রতিবেশী তার প্রমাণ দিতে পারছেন না। তাই বাংলাদেশের আপামর জনতা আজ ভারত বিরোধী হয়ে গেছে। এই বাস্তবতা বুঝুন, বুঝে পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করুন, আমাদের দিকে হাত পাতান। আমরা হাত বাড়িয়ে দেব।
কিন্তু অন্যায়কারীদের প্রশ্রয় দিবেন, ফেলানীকে ঝুলিয়ে রাখবেন, আমার ন্যায্য হিস্যা দিবেন না। তারপরও যদি আমাদের কাছে সুপ্রতিবেশী সুলভ ব্যবহার চান, তাহলে তো পাবেন না। আপনি যত বড়লোকই হন না কেন, যত ক্ষমতাধরই হন না কেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারি অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল
বিশ্বাস, বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত খালেদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাসপ্রাপ্ত ঈশ্বরদীর বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টু, আক্তারুজ্জামান আক্তার প্রমুখ।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?