ক্রেডিট নিয়ে রাজনীতি জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদ-গাজীদের অসম্মান করার শামিল, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, এই আন্দোলনে একক কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিল না। অনেকের মত ও পরামর্শ একসাথে করেই পলিসি নির্ধারণ করা হয়েছে, সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যারা আপামর সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে একমাত্র নিজেদের বলে উপস্থাপন করে, অন্যদের ইগনোর করে, […]
ক্রেডিট নিয়ে রাজনীতি জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদ-গাজীদের অসম্মান করার শামিল, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, এই আন্দোলনে একক কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিল না। অনেকের মত ও পরামর্শ একসাথে করেই পলিসি নির্ধারণ করা হয়েছে, সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যারা আপামর সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে একমাত্র নিজেদের বলে উপস্থাপন করে, অন্যদের ইগনোর করে, তারা বোকা ছাড়া কিছুই না। জুলাই ছিল জালেমের বিপক্ষে সকল মাজলুমের সম্মিলিত প্রয়াস।
তিনি বলেন, সত্য ইতিহাস জানা জরুরি। তবে যারা ক্রেডিট ভাগাভাগি নিয়ে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করার চেষ্টা করছেন, তৃতীয় পক্ষকে সুযোগ করে দিচ্ছেন, ভবিষ্যত প্রজন্ম আপনাদের ক্ষমা করবে না।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, শহীদের রক্তমাখা নিথর দেহ কিংবা আহতদের নির্মম দৃশ্য এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে কীভাবে হয়। ক্ষমতায় আছেন কিংবা যাবেন সমস্যা নেই, কিন্তু ক্রেডিটের রাজনীতি বন্ধ করুন। শহীদ পরিবারের মানসিক অবস্থা উপলব্ধি করুন।
ক্ষমতার দাপটে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করুন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করুন। রাষ্ট্রের সমস্যা আইডেন্টিফাই করে প্রায়োরিটি বেইজড সমাধানের উদ্যোগ নিন। জুলাই স্পিরিটকে ধারন করুন।
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগ রাজনীতির হাতিয়ার নয়, সম্মানের : ছাত্রশিবির
Published on: 18 February, 2025
ক্রেডিট নিয়ে রাজনীতি জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদ-গাজীদের অসম্মান করার শামিল, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, এই আন্দোলনে একক কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিল না। অনেকের মত ও পরামর্শ একসাথে করেই পলিসি নির্ধারণ করা হয়েছে, সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যারা আপামর সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে একমাত্র নিজেদের বলে উপস্থাপন করে, অন্যদের ইগনোর করে, তারা বোকা ছাড়া কিছুই না। জুলাই ছিল জালেমের বিপক্ষে সকল মাজলুমের সম্মিলিত প্রয়াস।
তিনি বলেন, সত্য ইতিহাস জানা জরুরি। তবে যারা ক্রেডিট ভাগাভাগি নিয়ে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করার চেষ্টা করছেন, তৃতীয় পক্ষকে সুযোগ করে দিচ্ছেন, ভবিষ্যত প্রজন্ম আপনাদের ক্ষমা করবে না।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, শহীদের রক্তমাখা নিথর দেহ কিংবা আহতদের নির্মম দৃশ্য এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে কীভাবে হয়। ক্ষমতায় আছেন কিংবা যাবেন সমস্যা নেই, কিন্তু ক্রেডিটের রাজনীতি বন্ধ করুন। শহীদ পরিবারের মানসিক অবস্থা উপলব্ধি করুন।
ক্ষমতার দাপটে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করুন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করুন। রাষ্ট্রের সমস্যা আইডেন্টিফাই করে প্রায়োরিটি বেইজড সমাধানের উদ্যোগ নিন। জুলাই স্পিরিটকে ধারন করুন।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।
দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।
আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগ রাজনীতির হাতিয়ার নয়, সম্মানের : ছাত্রশিবির
Published on: 18 February, 2025
ক্রেডিট নিয়ে রাজনীতি জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদ-গাজীদের অসম্মান করার শামিল, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, এই আন্দোলনে একক কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিল না। অনেকের মত ও পরামর্শ একসাথে করেই পলিসি নির্ধারণ করা হয়েছে, সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যারা আপামর সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে একমাত্র নিজেদের বলে উপস্থাপন করে, অন্যদের ইগনোর করে, তারা বোকা ছাড়া কিছুই না। জুলাই ছিল জালেমের বিপক্ষে সকল মাজলুমের সম্মিলিত প্রয়াস।
তিনি বলেন, সত্য ইতিহাস জানা জরুরি। তবে যারা ক্রেডিট ভাগাভাগি নিয়ে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করার চেষ্টা করছেন, তৃতীয় পক্ষকে সুযোগ করে দিচ্ছেন, ভবিষ্যত প্রজন্ম আপনাদের ক্ষমা করবে না।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, শহীদের রক্তমাখা নিথর দেহ কিংবা আহতদের নির্মম দৃশ্য এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে কীভাবে হয়। ক্ষমতায় আছেন কিংবা যাবেন সমস্যা নেই, কিন্তু ক্রেডিটের রাজনীতি বন্ধ করুন। শহীদ পরিবারের মানসিক অবস্থা উপলব্ধি করুন।
ক্ষমতার দাপটে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করুন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করুন। রাষ্ট্রের সমস্যা আইডেন্টিফাই করে প্রায়োরিটি বেইজড সমাধানের উদ্যোগ নিন। জুলাই স্পিরিটকে ধারন করুন।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই
নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।
এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।
এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা
শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগ রাজনীতির হাতিয়ার নয়, সম্মানের : ছাত্রশিবির
Published on: 18 February, 2025
ক্রেডিট নিয়ে রাজনীতি জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদ-গাজীদের অসম্মান করার শামিল, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, এই আন্দোলনে একক কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিল না। অনেকের মত ও পরামর্শ একসাথে করেই পলিসি নির্ধারণ করা হয়েছে, সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যারা আপামর সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে একমাত্র নিজেদের বলে উপস্থাপন করে, অন্যদের ইগনোর করে, তারা বোকা ছাড়া কিছুই না। জুলাই ছিল জালেমের বিপক্ষে সকল মাজলুমের সম্মিলিত প্রয়াস।
তিনি বলেন, সত্য ইতিহাস জানা জরুরি। তবে যারা ক্রেডিট ভাগাভাগি নিয়ে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করার চেষ্টা করছেন, তৃতীয় পক্ষকে সুযোগ করে দিচ্ছেন, ভবিষ্যত প্রজন্ম আপনাদের ক্ষমা করবে না।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, শহীদের রক্তমাখা নিথর দেহ কিংবা আহতদের নির্মম দৃশ্য এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে কীভাবে হয়। ক্ষমতায় আছেন কিংবা যাবেন সমস্যা নেই, কিন্তু ক্রেডিটের রাজনীতি বন্ধ করুন। শহীদ পরিবারের মানসিক অবস্থা উপলব্ধি করুন।
ক্ষমতার দাপটে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করুন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করুন। রাষ্ট্রের সমস্যা আইডেন্টিফাই করে প্রায়োরিটি বেইজড সমাধানের উদ্যোগ নিন। জুলাই স্পিরিটকে ধারন করুন।
শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]
শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।
ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।
এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।
তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।
তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।
এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।
তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।
আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জুলাই অভ্যুত্থানের শহীদদের আত্মত্যাগ রাজনীতির হাতিয়ার নয়, সম্মানের : ছাত্রশিবির
Published on: 18 February, 2025
ক্রেডিট নিয়ে রাজনীতি জুলাই অভ্যূত্থানে শহীদ-গাজীদের অসম্মান করার শামিল, এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
ছাত্রশিবির সভাপতি বলেন, এই আন্দোলনে একক কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিল না। অনেকের মত ও পরামর্শ একসাথে করেই পলিসি নির্ধারণ করা হয়েছে, সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
যারা আপামর সাধারণ মানুষের আন্দোলনকে একমাত্র নিজেদের বলে উপস্থাপন করে, অন্যদের ইগনোর করে, তারা বোকা ছাড়া কিছুই না। জুলাই ছিল জালেমের বিপক্ষে সকল মাজলুমের সম্মিলিত প্রয়াস।
তিনি বলেন, সত্য ইতিহাস জানা জরুরি। তবে যারা ক্রেডিট ভাগাভাগি নিয়ে জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করার চেষ্টা করছেন, তৃতীয় পক্ষকে সুযোগ করে দিচ্ছেন, ভবিষ্যত প্রজন্ম আপনাদের ক্ষমা করবে না।
জাহিদুল ইসলাম বলেন, শহীদের রক্তমাখা নিথর দেহ কিংবা আহতদের নির্মম দৃশ্য এত তাড়াতাড়ি ভুলে গেলে কীভাবে হয়। ক্ষমতায় আছেন কিংবা যাবেন সমস্যা নেই, কিন্তু ক্রেডিটের রাজনীতি বন্ধ করুন। শহীদ পরিবারের মানসিক অবস্থা উপলব্ধি করুন।
ক্ষমতার দাপটে স্বজনপ্রীতি, দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ করুন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করুন। রাষ্ট্রের সমস্যা আইডেন্টিফাই করে প্রায়োরিটি বেইজড সমাধানের উদ্যোগ নিন। জুলাই স্পিরিটকে ধারন করুন।
বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাচন কমিশনসহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো এখনও পুরোপুরি কার্যকর হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সোমবার (৩ মার্চ) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে…
নতুন রাজনৈতিক দলে থাকছেন না আলোচনায় থাকা ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা আলী আহসান জোনায়েদ ও রাফে সালমান রিফাত। নতুন এই দলের আহবায়ক ও সদস্য সচিব হচ্ছেন নাহিদ ইসলাম ও আক্তার হোসেন।…
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনের সামনে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদ জানিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। আজ রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ প্রতিবাদ জানায় ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটি। এর আগে রবিবার…
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করার…