বিচার ও সংস্কারের আগে কেউ নির্বাচন চাইলে রাজপথে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জুলাই আন্দোলনে গণহত্যাকারী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের বিচারের দাবিতে আয়োজিত এক নারী সমাবেশে জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা এ হুঁশিয়ারি দেন।
তারা বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যা চালানো শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের প্রথমে বিচার করতে হবে। তারপর সংস্কার করতে হবে, তারপর নির্বাচন দিতে হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, দেশে জুলাই-আগস্টে যারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে, হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, তাদের যদি সঠিকভাবে বিচারের আওতায় না আনা যায়, তাহলে দেশের নারী-পুরুষ কারোরই আর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।
দেশের বিচার ব্যবস্থাকে একটি উজ্জ্বলতম ন্যায় বিচারের ভিত্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার যে সংগ্রাম, যদি আওয়ামী লীগের বিচার না হয়, শেখ হাসিনার বিচার না হয়, তাহলে যেই বিচার ব্যবস্থাকে আমরা নিরপেক্ষ ও ন্যায় বিচারের কাণ্ডারি হিসেবে দেখতে চাই, তা করা সম্ভব নয়। অতএব দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে, জুলাই-আগস্টে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশে যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে, হাসিনার মতো কোনো ফ্যাসিস্ট যেনো জন্ম নিতে না পারে সে রকম উদাহরণ তৈরি করতে হলে, অবশ্যই অবশ্যই বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করতে হবে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, আমরা যে সুন্দর একটি বাংলাদেশ দেখতে চাই, সেখানে নারীদের বড় একটি অংশগ্রহণ রয়েছে। নতুন রাষ্ট্র ব্যবস্থায় নারীদের অবস্থান কেমন হবে, নারীদের জীবন যাত্রার মান কেমন হবে সেই বিষয়গুলো আমাদের যে দলটি আসবে সেটার এজেন্ডাতে নিয়ে আসবো।
তিনি বলেন, আমাদের সামনে এখনো তীব্র লড়াই বাকি রয়ে গেছে। আমরা বলছি, নির্বাচন যেমন হবে, তেমন আমাদের একটি নতুন সংবিধান প্রয়োজন। এ নতুন সংবিধানে নারীদের তাদের হিস্যা বুঝে নিতে হবে। সামনে যে স্থানীয় নির্বাচন আসছে, সেখানে নারীদের অনেক বেশি অংশগ্রহণ করতে হবে।
আমরা শুধু নারীদের অংশগ্রহণ চাই না। আমরা নারীদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় চাই, গণপরিষদে চাই, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নারীদের সংসদে চাই।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, দেশে বর্তমানে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমরা দেখতে পারছি, এখানে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল খেলার টেবিল নির্বাচনের দিকে ঘুরিয়ে দিতে চাচ্ছে। বিভিন্ন সমাবেশ থেকে বারংবার দাবি উঠেছে, বিচার এবং সংস্কারের।
আমরা দেখেছি, কিছু অপশক্তি বিচার এবং সংস্কারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে চায় নির্বাচনকে। আমরা বলেছি, নির্বাচনের বিপক্ষে আমরা নই। আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি, কিন্তু সেই বিষয়ে কারো কোনো বক্তব্য পাইনি।
আমরা বলেছি, গণপরিষদ নির্বাচন একমাত্র যৌক্তিক নির্বাচন এই বাংলাদেশে। কারণ, ৩ আগস্ট ও ৫ আগস্ট দেশের মানুষ জানিয়ে দিয়েছিল, সংবিধান বাতিল। এ সংবিধান আর কার্যকর নয়

সচিবালয়ে আগুনের ঘটনা পরিকল্পিত বলে সন্দেহ করছেন অনেকে। আপনি কী মনে করেন?