নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন গণ-অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া নাহিদ ইসলাম। নাগরিক কমিটির সূত্রও বলছে, চলতি সপ্তাহে তথ্য উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করবেন নাহিদ। এ প্রসঙ্গে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম সময় সংবাদকে বলেন,
‘রাজনৈতিক দলে নাহিদ ইসলামকে আমরা প্রত্যাশা করছি। তারও মৌন সম্মতি রয়েছে। তবে পদত্যাগ করা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।’
নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সূত্র বলছে, নাহিদ ইসলামকে আহ্বায়ক হিসেবে রেখে সদস্য সচিবের খোঁজ চলছে। সেক্ষেত্রে আলোচনায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন। নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেন রয়েছেন মূল আলোচনায়।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পক্ষে বিপক্ষে মতামত জানাচ্ছেন নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিভিন্ন স্তরের নেতারা। সদস্য সচিব পদে এছাড়াও নাম শোনা যাচ্ছে,
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিবিরের সাবেক সভাপতি ও নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের।
নাগরিক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব সময় সংবাদকে বলেন, ‘নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করলে তিনিই হবেন আহ্বায়ক। সদস্য সচিব পদে কয়েকজন ক্যান্ডিডেট রয়েছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটি এবং অন্যান্য অংশীজনদের পরামর্শ নিয়েই সদস্য সচিব ঠিক করা হবে।’
একাধিক পদপ্রত্যাশী থাকায় নেতকর্মীদের মধ্যে বিভাজন তৈরি হচ্ছে কি- না এমন প্রশ্নের জবাবে আদীব বলেন, ‘কোনো বিভাজনের সুযোগ নেই। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সদস্য সচিব নির্বাচিত হবে।’
নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ঘোষণা দিয়ে গেল বছরের ৮ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি। তার আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানও সংগঠিত হয় সংগঠনটির নেতৃত্বে।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?