জামায়াতে ইসলামীর বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও বিশ্লেষক গোলাম মাওলা রনি বলেছেন, দলটির নেতাকর্মীরা এখন কোনো নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মতো অবস্থানে নেই।
সম্প্রতি একটি গণমাধ্যমের টকশোতে অংশগ্রহণকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ব্যবস্থা এবং জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা। যখন রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী দৃঢ়ভাবে কাজ করবে এবং রাজনৈতিক দলগুলো আইন মেনে চলবে, তখন জনগণও ভোট দিতে নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি যখন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে, তখন টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাবে।
গোলাম মাওলা রনি আরও বলেন, বর্তমান বাস্তবতা হলো, জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের এখন কোনো নির্বাচনী এলাকায় দাঁড়ানোর মতো পরিস্থিতি নেই। তিনি দাবি করেন, দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ পাবে না, আর সেজন্যই তারা এখন নির্বাচন চাইছে না। অন্যদিকে, বিএনপি যখন নির্বাচনী এলাকায় নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করবে, তখন প্রতিটি আসনে তাদের একাধিক প্রার্থী হয়ে যাবে, যা দলীয় মনোনয়ন প্রক্রিয়াকে আরও জটিল করে তুলবে।
মনোনয়ন প্রক্রিয়ার বিষয়ে তিনি আরও বলেন, একজন প্রার্থী মনোনয়ন পাওয়ার পর তার জন্য পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠতে পারে। মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তি সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেবেন, নাকি এ নিয়ে দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করবেন, সেটি তখন নির্ভর করবে রাজনৈতিক বাস্তবতার ওপর। তবে যদি আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে যারা মনোনয়নপত্র ইস্যু করবেন বা স্বাক্ষর করবেন, তাদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করেন তিনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?