প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “আপনি আমি যদি একদিন আয়নাঘরে থাকি, তবে দ্বিতীয় দিনই পাগল হয়ে যাবো।”
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর আগারগাঁও, কচুক্ষেত ও উত্তরায় অবস্থিত তিনটি আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। আয়নাঘরের ভয়ংকর পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, “এই বন্দিশালাগুলো এতটাই ভয়াবহ যে সেখানে দিনের আলো পর্যন্ত পৌঁছায় না। কিছু আয়নাঘর এতটাই অন্ধকার যে কোনো কিছু দেখতে হলে বড় টর্চলাইটের প্রয়োজন হয়।”
আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে সরকারের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে শফিকুল আলম বলেন, “জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন বিশ্বে মানবাধিকার বিষয়ে সবচেয়ে সম্মানিত সংগঠন। তারা যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে কার নির্দেশে এসব খুন সংগঠিত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “খুনের ধরন দেখুন—চার বছরের শিশু, ছয় বছরের মেয়েকে হত্যা করে লাশ গুম করা হয়েছে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সুস্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে ৩০ শতাংশই শিশু ছিল। যারা এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, যাদের হাত রক্তে রঞ্জিত, তাদের সবার বিচার হবে। কেউ বাঁচতে পারবে না, এই অপরাধের দায় থেকে কেউ মুক্তি পাবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছি, কারণ এই হত্যাকাণ্ডগুলো তার নির্দেশেই হয়েছে। তার শাসনামলে আয়নাঘরগুলোর ভেতর কী ঘটেছে, আজ জাতিসংঘের প্রতিবেদনেই তা উঠে এসেছে।”
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভবিষ্যৎ কী হবে—এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এর সিদ্ধান্ত জনগণ নেবে। গত ১৫ বছরে তারা কী করেছে, তা দেশের মানুষ দেখেছে। উন্নয়নের গল্প শুনিয়েও তারা নিজেদের পরিণতি বদলাতে পারেনি। আমরা যা দেখেছি, তা কেবল অন্ধকার আর অন্ধকার।”
আবারও বলছি যারা যারা এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল, যাদের হাত রক্তে রঞ্জিত তাদের সবার বিচার হবে। কেউ বাঁচতে পারবে না, এ বিচার থেকে কারো মুক্তি নেই। এজন্যই আমরা শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছি। শেখ হাসিনার নির্দেশে এই খুনগুলো হয়েছে।
দল হিসেবে আওয়ামী লীগের কী হবে তা জনগণ সিদ্ধান্ত নেবে। গত ১৫ বছরে তারা কি করেছে জনগণতো দেখেছে। তারা শুধু উন্নয়নের গল্প শুনিয়েছে। আমরা গিয়ে দেখলাম শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার।

জয় ও নিঝুম মজুমদারের এই আহ্বানকে দেশবিরোধী বলে মনে করেন ?