অবশেষে প্রতিবেদক ও বিশিষ্ট সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন সম্প্রতি দেশে ফিরে আসার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিদেশে অবস্থান করছিলেন, কিন্তু সম্প্রতি তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, দেশে ফিরে নিজের সাংবাদিকতার পথযাত্রা চালিয়ে যাবেন এবং দেশের উন্নয়ন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পক্ষে কাজ করবেন।
ইলিয়াস তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে ২০১৩-১৪ সাল প্রসঙ্গে লিখেন, সারাদেশে এমন এক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে বিএনপি জামায়াত নিষিদ্ধ দলের পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। যৌথ অভিযানের নামে সারাদেশে চিরুনি অভিযান চালিয়ে পাখির মত গুলি করে মারা হতো ছাত্রদল-ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদের। পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছিল তাদেরকে মারলে যেন কোনো বিচার নেই।
ইলিয়াস হোসাইন জানান, বিদেশে থাকা অবস্থায় তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সাথে কাজ করেছেন এবং বিশ্বের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে বিশ্লেষণ করেছেন। এ সময় তিনি একাধিক সম্মেলন ও সেমিনারে অংশ নেন, যা তাকে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে আরও পরিচিত করে তোলে। তবে দেশের প্রতি তার অঙ্গীকার তাকে বিদেশে থাকার সময়েও বারবার তাড়িত করেছে
তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরু থেকেই আমি দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। এখন দেশে ফিরে সেই দায়িত্ব পালন করতে চাই।”
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হরতাল বা অবরোধে কেমন পরিস্থিতি হতো তার বর্ণনা দিয়ে ইলিয়াস লিখেন, হরতাল অবরোধের ডাক দেওয়া হলেই সড়কের মোড়ে মোড়ে সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র মহড়া চলতো, মাঝেমধ্যে ছাত্রলীগ যুবলীগের সন্ত্রাসীদের কর্তৃক পিকেটারদের পিটিয়ে মারা হতো।
ইলিয়াস লিখেন, সে পরিস্থিতিতেও বিএনপি জামায়াতের সমর্থনে ঝটিকা মিছিল হত পিকেটিং হত আর আওয়ামী লীগের নেতারা পুলিশি পাহারায় হুমকি দিতো, খেলা হবে। ধানমন্ডির ৩২ এর বাড়ি সাধারণ মানুষ মাটিতে মিশিয়ে দিলেও আওয়ামী লীগ বা এর অঙ্গ সংগঠন ছোট মিছিল করতেও সাহস করেনি উল্লেখ করে ইলিয়াস লিখেন, পুলিশ এখন গুলি করে না,
বিজিবি টহল নেই তারপরেও তাদের আব্বার বাড়ি মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হলো অথচ গোটা শহরে একটা ছোট মিছিল করার সাহস করতে পারল না আওয়ামী লীগের কোন পর্যায়ের অঙ্গ সংগঠন। তারাই আবার তাদের সাহসিকা দেখাতে আসে।
আওয়ামী নেতাদের ইঙ্গিত করে ইলিয়াস হোসাইন লিখেন, দেশের বাইরে থেকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাদের তালিকা করা হচ্ছে তালিকা করতে থাকুক। তবে বাংলাদেশে হাসিনা অধ্যায় শেষ।
তিনি লিখেন, হুমকি-ধামকি দিলে বিপদে পড়বে আগামী নেতারা, হুমকি দিলে অপারেশন টুঙ্গিপাড়া চালানো হবে। সর্বশেষ তিনি খেলতে চাইলে দেশে আসার আহ্বান জানান এবং জানান তারা সবাই দেশে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে কে কে আসছেন তা উল্লেখ করেননি ইলিয়াস হোসাইন। ধারণা করা হচ্ছে ইলিয়াস হোসাইন পিনাকি ভট্টাচার্যরা শীঘ্রই দেশে আসছেন।

জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?