গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেছেন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম ও দলীয় নিবন্ধন আগামী সাত দিনের মধ্যে স্থগিত করতে হবে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় গণঅধিকার পরিষদের আয়োজিত এক গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রাশেদ খান বলেন, “গাজীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর আওয়ামী লীগ যেভাবে হামলা চালিয়েছে, তা নজিরবিহীন। এই দলটিকে যদি এখনই নিয়ন্ত্রণ করা না হয়, তাহলে কেউই নিরাপদ থাকবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ একটি অভিশপ্ত রাজনৈতিক দল। দলটিকে নিষিদ্ধ করা জরুরি। কিন্তু জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে তাদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। রাষ্ট্র সংস্কারের কথা বললে গ্রামে আসতে হবে, এসি রুমে বসে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব নয়।”
আওয়ামী লীগের উপস্থিতি এখনো প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “শেখ পরিবারের অনুসারীরা এখনো গ্রেপ্তার হয়নি। আওয়ামী লীগ সচিবালয়ে, পুলিশে, র্যাব ও বিজিবিতে শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পুলিশের ৮০ শতাংশ সদস্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সমর্থক। তাহলে বাকি ২০ শতাংশ পুলিশ নিয়ে কীভাবে রাষ্ট্র সংস্কার সম্ভব? এটা বাস্তবে সম্ভব নয়।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অন্তর্বতী সরকারের উদ্দেশে আরও বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের নামে আপনারা আজকে কিংস পার্টি গঠন করতে পায়তারা করছেন। রাষ্ট্র সংস্কারের নামে ভাঁওতাবাজি শুরু করেছেন। আপনারা কাজ করেন কিন্তু কাজের নামে কিংস পার্টি গঠন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, শতাধিক পণ্যের ওপরে ভ্যাট বৃদ্ধি রাষ্ট্র সংস্কার হতে পারে না।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?