গাজীপুরে সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে গভীর রাতে মারধরের শিকার হয়েছেন বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের ওপর আওয়ামী দোসর এবং সাবেক মন্ত্রী ও সাবেক মেয়রের লোকজন হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
তবে কিছু কিছু মিডিয়াতে এই হামলাকে “স্থানীয়দের হামলা” বলায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম।
সারজিসের ভাষ্য, এই হামলা স্থানীয়রা করেনি, করেছে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা। আর মিডিয়াগুলো কৌশলে শব্দ দিয়ে পতিত আওয়ামী সরকারের দালালি করছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। এই ধরনের মিডিয়াগুলোকে শায়েস্তা না করা হলে ভবিষ্যতে তারা বিপ্লবীদের নাশকতাকারী হিসেবে চিহ্নিত করবে বলেও সতর্ক করেছেন সারজিস।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে গাজীপুরে চলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমাবেশের সরাসরি সম্প্রচারের ক্যাপশনের স্ক্রিনশট শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে শেয়ার করে একথা বলেন সারজিস।
সারজিস আলমের ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো-
“সময় টিভির ন্যারেটিভটা দেখেন !
গাজীপুরের ছাত্রদের উপর স্থানীয়দের হামলা !
ভাসুরের নাম মুখে নিতে এখনো এদের লজ্জা করে।
মোজাম্মেল সাবেক মন্ত্রী নয়, খুনি হাসিনা ও স্বৈরাচারের দোসর এবং ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা।
হামলাটা স্থানীয়রা করেনি, আওয়ামী সন্ত্রাসীরা করেছে।
এই মিডিয়াগুলোকে শায়েস্তা না করলে দশবছর পরে তারা আমাদের নাশকতাকারী হিসেবে চিহ্নিত করবে।
এরা এখনো দালালি করে, শব্দ দিয়ে দালালি করে।”
এদিকে, আরেকটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে দেওয়া একই ধরনের পোস্টের স্ক্রিনশট শেয়ার করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ক্যাপশনের তিনি লিখেছেন, “অথচ মিডিয়া নিয়ে কথা বলায় আমাকে ‘গ্যাং’ উপাধি দেওয়া হয়েছিল।”
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?