ইসলামী ঐক্য জোটের তৎকালীন চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী বলেছিলেন, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার চোখে যেভাবে অশ্রু দেখেছি ভবিষ্যতে যে কোন সময় বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও আমরা কাঁদতে দেখব।
খালেদা জিয়াকে যেভাবে অপমানিত, অপদস্থ ও লাঞ্ছিত করে সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়েছে তা খুবই দুঃখজন।
২০১০ সালের ১৩ নভেম্বর, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে ঢাকা সেনানিবাসের শহীদ মইনুল রোডের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়।
সরকারি সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সেনানিবাস কর্তৃপক্ষ উচ্ছেদ প্রক্রিয়া শুরু করে, যা নিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়।
বিএনপি ও সমর্থকরা এই উচ্ছেদকে অবমাননাকর ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক পদক্ষেপ হিসেবে অভিহিত করেন। তারা অভিযোগ করেন, আদালতের মামলা বিচারাধীন থাকা সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে তার স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করা হয়েছে, যা আদালত অবমাননার শামিল।
জানিয়ে অনেকের মত মুফতি আমিনিও মন্তব্য করেছিলেন।
সাম্প্রতিক সময়ে, বিএনপি নেতারা খালেদা জিয়ার সেই বাড়ি ফেরত দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
তারা উল্লেখ করেন, খালেদা জিয়াকে তার স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা অন্যায় ছিল এবং এই পদক্ষেপের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এই ঘটনাটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি বিতর্কিত অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয় এবং এখনও বিভিন্ন মহলে আলোচনা ও সমালোচনার বিষয়বস্তু।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?