বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ভাঙচুরের ঘটনায় ভারতের ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এই অভিযোগ করেন।
তিনি বলেন,
“বাংলাদেশে গণহত্যার দায়ে অভিযুক্ত এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত শেখ হাসিনা এখন ভারতে বসে উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়াচ্ছেন। এতে দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।”
আজাদ মজুমদার আরও জানান,
“শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর বাংলাদেশ সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতকে নোট ভার্বাল পাঠিয়েছে। কিন্তু ভারত এখনো এ বিষয়ে কোনো জবাব দেয়নি। ফলে তার উসকানিমূলক বক্তব্য দেশের পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করছে।”
সাম্প্রতিক ভাঙচুর ও আন্দোলনের বিষয়ে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট জানিয়ে উপপ্রেস সচিব বলেন,
“সরকার একাধিক বিবৃতির মাধ্যমে তার অবস্থান পরিষ্কার করেছে।”
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতে অবস্থান নিয়ে শেখ হাসিনার বক্তব্য এবং তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে দিল্লির নীরবতা কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠতে পারে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টার দাভোস সফরে তিনি অনেকগুলো বৈঠক করেছেন। চট্টগ্রাম বন্দরকে কেন্দ্র আরও বিদেশি বিনিয়োগের বিষয়ে তিনি আহ্বান জানিয়েছেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আজাদ মজুমদার বলেন, পণ্য আমদানির বিভিন্ন ধাপসহ কোথায় কোথায় সঙ্গতি আছে, তা চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা প্রতিবেদন করার মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরতে পারেন।
সরকারের প্রেস উইং গুজব ও অপতথ্যের বিরুদ্ধে কাজ করছে জানিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব খ্যাতনামা সংবাদমাধ্যমও বাংলাদেশের বিষয়ে অপতথ্য ছড়িয়েছিল। প্রেস উইং এটি শক্তভাবে মোকাবিলা করেছে। সেই সংবাদমাধ্যম পরে ভুল তথ্য সরিয়ে নিয়েছে।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈমের সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সদস্য সচিব জাহিদুর রহমান কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি কাজী আবুল মনসুর প্রমুখ।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?