ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ভারতে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী। নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান জানান দিয়ে বুধবার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না, কিংবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পূজা-অর্চনার স্থান টিকে […]
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ভারতে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান জানান দিয়ে বুধবার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না, কিংবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পূজা-অর্চনার স্থান টিকে থাকবে কি না- এ সিদ্ধান্ত একমাত্র দেশের জনগণের।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তবে আমার প্রশ্ন, অগণিত ছাত্র-জনতার রক্ত যাদের হাতে, সেই নরপিশাচরা ও তাদের নেত্রী এত স্পর্ধা দেখায় কীভাবে? এই সাহস আসে কোথা থেকে? যারা এমন অপরাধ করেছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি হলেও ক্ষতিপূরণ হবার নয়, তাদের প্রতি কি কোনো সহানুভূতি প্রদর্শনের সুযোগ থাকতে পারে?
শুধু ইট-বালু-পাথরের কংক্রিটই ফ্যাসিবাদের চিহ্ন? রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বাঁকে বাঁকে এবং সুশীল সমাজের আবরণে হাসিনা সরকারের দোসরদের ঘাপটি মারা অবস্থান কি ফ্যাসিবাদের চিহ্ন নয়? প্রসঙ্গত যে, স্ট্যাটাসটি একান্ত ব্যক্তিগত মত হিসেবে উল্লেখ করেন এই রাষ্ট্রদূত।
দেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না, এ সিদ্ধান্ত জনগণের
Published on: 06 February, 2025
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ভারতে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান জানান দিয়ে বুধবার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না, কিংবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পূজা-অর্চনার স্থান টিকে থাকবে কি না- এ সিদ্ধান্ত একমাত্র দেশের জনগণের।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তবে আমার প্রশ্ন, অগণিত ছাত্র-জনতার রক্ত যাদের হাতে, সেই নরপিশাচরা ও তাদের নেত্রী এত স্পর্ধা দেখায় কীভাবে? এই সাহস আসে কোথা থেকে? যারা এমন অপরাধ করেছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি হলেও ক্ষতিপূরণ হবার নয়, তাদের প্রতি কি কোনো সহানুভূতি প্রদর্শনের সুযোগ থাকতে পারে?
শুধু ইট-বালু-পাথরের কংক্রিটই ফ্যাসিবাদের চিহ্ন? রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বাঁকে বাঁকে এবং সুশীল সমাজের আবরণে হাসিনা সরকারের দোসরদের ঘাপটি মারা অবস্থান কি ফ্যাসিবাদের চিহ্ন নয়? প্রসঙ্গত যে, স্ট্যাটাসটি একান্ত ব্যক্তিগত মত হিসেবে উল্লেখ করেন এই রাষ্ট্রদূত।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের […]
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পর চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা চাকরি ফিরে পাওয়াসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডে নিহত এক মেজরের স্ত্রী বলেন, “আমার হাসবেন্ডের সাথে যখন সর্বশেষ কথা হয় সেই সময় আমার হাসবেন্ড আমাকে চারটা শব্দ বলেছিল। প্রথমে বলেছিল, ভিতরে লীগের নেতারা আছে। বিডিআরের পোশাকে লীগের নেতারা আছে দরবার হলের ভিতরে।
দ্বিতীয়ত সে আমাকে বলেছিল, কিছু বিডিআর জওয়ান সে দেখছে যাদের বয়স বিডিআরের চাকরি করে যারা তাদের থেকে বেশি। তিন নাম্বার সে বলেছিল, এনএসডি। আমি এখন পর্যন্ত মিডিয়াতে এই কথাটা বলিনি। আমার হাসবেন্ড দুইবার আমাকে এই শব্দটা বলেছে, আমি তখনও বুঝিনি।
আমি জিজ্ঞেস করায় আমার হাসবেন্ড বলেছিল ইন্ডিয়ানস (ভারতীয়)। ও কথাটা বলে শেষ করতে পারেনি, আমাকে গলা ধরে বের করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, যে লোকগুলো রুম থেকে বের করে নিয়ে যায় আমাকে, যাওয়ার পরে আমি শুনতে পাই তারা হিন্দিতে কথা বলছে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?
দেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না, এ সিদ্ধান্ত জনগণের
Published on: 06 February, 2025
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ভারতে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান জানান দিয়ে বুধবার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না, কিংবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পূজা-অর্চনার স্থান টিকে থাকবে কি না- এ সিদ্ধান্ত একমাত্র দেশের জনগণের।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তবে আমার প্রশ্ন, অগণিত ছাত্র-জনতার রক্ত যাদের হাতে, সেই নরপিশাচরা ও তাদের নেত্রী এত স্পর্ধা দেখায় কীভাবে? এই সাহস আসে কোথা থেকে? যারা এমন অপরাধ করেছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি হলেও ক্ষতিপূরণ হবার নয়, তাদের প্রতি কি কোনো সহানুভূতি প্রদর্শনের সুযোগ থাকতে পারে?
শুধু ইট-বালু-পাথরের কংক্রিটই ফ্যাসিবাদের চিহ্ন? রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বাঁকে বাঁকে এবং সুশীল সমাজের আবরণে হাসিনা সরকারের দোসরদের ঘাপটি মারা অবস্থান কি ফ্যাসিবাদের চিহ্ন নয়? প্রসঙ্গত যে, স্ট্যাটাসটি একান্ত ব্যক্তিগত মত হিসেবে উল্লেখ করেন এই রাষ্ট্রদূত।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে। এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী […]
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের উদ্যোগে চলতি মাসেই
নতুন দল আত্মপ্রকাশ করতে পারে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও তরুণদের একাংশ যুক্ত হবে বলে জানা গেছে।
এ লক্ষ্যে জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা তাদের এলাকায় যাচ্ছেন এবং স্থানীয় সামাজিক, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন।
নাগরিক কমিটির একাধিক সূত্র বলছে, সদস্যসচিব আখতার হোসেন রংপুর-৪ ও মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়-১ আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ কুমিল্লা-৪ আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন আব্দুল হান্নান মাসুদ নোয়াখালী-৬ আসন থেকে নির্বাচন করতে কাজ শুরু করেছেন।
এ ছাড়া জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মুহাম্মদ হাসান আলী চট্টগ্রামে, মো. আব্দুল আহাদ দিনাজপুরে, আশরাফ উদ্দিন মাহদি ও মো. আতাউল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়, অনিক রায় সুনামগঞ্জে, মনিরা
শারমিন নওগাঁয়, এস এম সাইফ মোস্তাফিজ সিরাজগঞ্জে, আতিক মুজাহিদ কুড়িগ্রামে, আবদুল্লাহ আল আমিন নারায়ণগঞ্জে, সারোয়ার তুষার নরসিংদীতে, মশিউর রহমান ঝালকাঠিতে, মো. নিজাম উদ্দিন নোয়াখালীতে এবং আলী আহসান জোনায়েদ ঢাকায় নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় সংগঠক মেসবাহ কামাল মুন্না খুলনায়, প্রীতম দাশ হবিগঞ্জে, আবু সাঈদ লিওন নীলফামারীতে এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির নারীবিষয়ক সেলের প্রধান সাদিয়া ফারজানা দীনা রংপুরে নির্বাচনের লক্ষ্যে তরুণ ও যুবসমাজকে সংগঠিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?
দেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না, এ সিদ্ধান্ত জনগণের
Published on: 06 February, 2025
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ভারতে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান জানান দিয়ে বুধবার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না, কিংবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পূজা-অর্চনার স্থান টিকে থাকবে কি না- এ সিদ্ধান্ত একমাত্র দেশের জনগণের।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তবে আমার প্রশ্ন, অগণিত ছাত্র-জনতার রক্ত যাদের হাতে, সেই নরপিশাচরা ও তাদের নেত্রী এত স্পর্ধা দেখায় কীভাবে? এই সাহস আসে কোথা থেকে? যারা এমন অপরাধ করেছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি হলেও ক্ষতিপূরণ হবার নয়, তাদের প্রতি কি কোনো সহানুভূতি প্রদর্শনের সুযোগ থাকতে পারে?
শুধু ইট-বালু-পাথরের কংক্রিটই ফ্যাসিবাদের চিহ্ন? রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বাঁকে বাঁকে এবং সুশীল সমাজের আবরণে হাসিনা সরকারের দোসরদের ঘাপটি মারা অবস্থান কি ফ্যাসিবাদের চিহ্ন নয়? প্রসঙ্গত যে, স্ট্যাটাসটি একান্ত ব্যক্তিগত মত হিসেবে উল্লেখ করেন এই রাষ্ট্রদূত।
শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন। এদিন তাকে কারাগার […]
শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে তার বড় ভাইয়ের মতো অবস্থা (ক্রসফায়ারে মারা) হতো’ বলে আদালতকে বলেছেন এক্সিম ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার। সবসময় প্রাণভয়ে থাকতেন তিনি।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এমএ আজহারুল ইসলামের আদালতে ধানমন্ডি থানা ও যাত্রাবাড়ী থানার রিমান্ড শুনানিতে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করে দুই মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। পরে আদালত ৫ দিন করে দুই মামলায় ১০ দিন রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।
রিমান্ড শুনানিতে ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, আন্দোলন যখন চলছিল সব ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা একটি মিটিং করেছিল। সেই মিটিংয়ে উনি বক্তব্য রেখেছিলেন। সেই বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধিতা করেছিলেন এবং শেখ হাসিনা বলেছিলেন আপনি চালিয়ে যান আমরা আপনার পাশে আছি। তার এই বক্তব্য সব মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা সব জায়গায় তার নিজস্ব লোক নিয়োগ করেছিল। যেমন ফুটবলে নিয়োগ করেছিলেন সালাউদ্দিনকে এবং সাংবাদিকদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নিয়োগ করেছিলেন শ্যামল দত্ত ও সুভাস সিংহ রায়ের মতো লোককে। ব্যবসায় এবং ব্যাংকারদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে লোককে হাসিনা নিয়োগ করেছিলেন সেই লোকটা নজরুল ইসলাম মজুমদার।
ফারুকী বলেন, ব্যাংক থেকে টাকা-পয়সা লুটপাট করে নিয়ে শেখ পরিবারকে সহযোগিতা করার জন্য সবকিছু করেছিলেন তিনি। এই মজুমদার তাদের সাথে বসে আন্দোলনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিলেন। সেই হিসেবে সে এই অপকর্মের সাথে জড়িত।
এই আন্দোলনে যারা গুলি চালিয়েছে এবং যাদের নির্দেশে চালানো হয়েছে তা থেকে তারা কোনোভাবেই বাঁচতে পারবে না।
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা শুনানিতে বলেন, তিনি এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান। বাংলাদেশের অনেক বড় শিল্প উদ্যোক্তা। তার অধীনে ৫ লাখ লোক কাজ করে। সে এখন জেলে। কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেলে এসব লোক বেকার হয়ে যাবে।
তার বিরুদ্ধে মামলায় কোনো অভিযোগ নেই। সে কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্য না। সে একজন ব্যবসায়ী মানুষ। সরকার আসে, সরকার যায়। তারা ব্যবসায়ীরা তাদের সুবিধার জন্য যা করা দরকার করে। জেলহাজতে থাকাকালীন তার হার্টে রিং পরানো হয়েছে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে।
তাকে একাধিক মামলায় আগে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। কোথাও কোনো কিছু পায়নি। তার শারীরিক যে অবস্থা রিমান্ডে নেওয়ার মতো কোনো সুযোগ নেই। রিমান্ড বাতিল করে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হোক।
এরপর নজরুল ইসলাম নিজেই কিছু বলতে চান বলে আদালতকে বলেন। এরপর আদালত অনুমতি দেন।
তখন তিনি বলেন, ‘আমি হার্টের রোগী। অনেক কষ্ট হচ্ছে। ওই সময় শেখ হাসিনার পাশে না থাকলে, আমার বড় ভাই ৫ বছর এমপি ছিল। সেই বড় ভাইকে ক্রসফায়ারে মারা হয়েছে।
আমারও সে অবস্থা হতো। আমার রিমান্ড বাতিল করে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ। এটা আমার একটা সাবমিশন।’ পরে আদালত তার রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
দেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না, এ সিদ্ধান্ত জনগণের
Published on: 06 February, 2025
ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ভারতে পলাতক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাড়িসহ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্থাপনা বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মেক্সিকোতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী।
নিজের ব্যক্তিগত অবস্থান জানান দিয়ে বুধবার রাতে ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের মাটিতে ফ্যাসিবাদের চিহ্ন থাকবে কি না, কিংবা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পূজা-অর্চনার স্থান টিকে থাকবে কি না- এ সিদ্ধান্ত একমাত্র দেশের জনগণের।
তিনি আরও লিখেছেন, ‘তবে আমার প্রশ্ন, অগণিত ছাত্র-জনতার রক্ত যাদের হাতে, সেই নরপিশাচরা ও তাদের নেত্রী এত স্পর্ধা দেখায় কীভাবে? এই সাহস আসে কোথা থেকে? যারা এমন অপরাধ করেছে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি হলেও ক্ষতিপূরণ হবার নয়, তাদের প্রতি কি কোনো সহানুভূতি প্রদর্শনের সুযোগ থাকতে পারে?
শুধু ইট-বালু-পাথরের কংক্রিটই ফ্যাসিবাদের চিহ্ন? রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনার বাঁকে বাঁকে এবং সুশীল সমাজের আবরণে হাসিনা সরকারের দোসরদের ঘাপটি মারা অবস্থান কি ফ্যাসিবাদের চিহ্ন নয়? প্রসঙ্গত যে, স্ট্যাটাসটি একান্ত ব্যক্তিগত মত হিসেবে উল্লেখ করেন এই রাষ্ট্রদূত।
মৌলিক সংস্কারগুলো অন্তর্বর্তী সরকারকেই করতে হবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। সংস্কার ছাড়া নির্বাচন কোনো কাজে দেবে না বলেও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মন্তব্য…
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস সতর্ক করে বলেছেন, এই দেশ জনগণের। সুতরাং কথাবার্তা বলার সময়ে হিসেব করে বলবেন। যাতে আমাদেরকে বে-হিসাবি কথা বলতে না হয়। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে…
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বিচার ও সংস্কারের প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোকে একমত হতে হবে। তিনি বলেন, “আপনারা বিচার ও সংস্কার পেছানোর রাজনীতি করবেন না। এর প্রতি ঐকমত্য…
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক ভাগ্য কেবল তার জনগণই নির্ধারণ করবে।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গণতন্ত্র, জবাবদিহিতা, আইনের শাসন, সুশাসন, ন্যায়বিচার এবং…