রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির টাকায় টিউলিপ সিদ্দিকের লন্ডনের ফ্ল্যাটটি কেনা

বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি উঠে এসেছে একটি নতুন বিতর্ক, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এই প্রকল্পের দুর্নীতির টাকায় বিদেশে ফ্ল্যাট কেনার একটি চক্র সক্রিয় ছিল। অভিযোগ উঠেছে, রূপপুর প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করে সেই টাকা ব্যবহার করে লন্ডনে ফ্ল্যাট কিনেছেন। এই ফ্ল্যাটটি টিউলিপ সিদ্দিকের নামে রেজিস্টার করা হয়েছে, যিনি […]

নিউজ ডেস্ক

০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৫:৫৩

বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে সম্প্রতি উঠে এসেছে একটি নতুন বিতর্ক, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে, এই প্রকল্পের দুর্নীতির টাকায় বিদেশে ফ্ল্যাট কেনার একটি চক্র সক্রিয় ছিল। অভিযোগ উঠেছে, রূপপুর প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করে সেই টাকা ব্যবহার করে লন্ডনে ফ্ল্যাট কিনেছেন।

এই ফ্ল্যাটটি টিউলিপ সিদ্দিকের নামে রেজিস্টার করা হয়েছে, যিনি একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা এবং ব্রিটেনের পার্লামেন্ট সদস্য।

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প বাংলাদেশে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প, যেখানে রাশিয়ার সহায়তায় পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। তবে প্রকল্পের কাজের বিভিন্ন পর্যায়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বিশেষভাবে, প্রকল্পের বিভিন্ন অংশে অস্বাভাবিক খরচ, অনুমোদনের বাইরে অর্থ প্রদান এবং অবৈধ লেনদেনের তথ্য প্রকাশ পায়।

এই দুর্নীতি সম্পর্কিত একাধিক তদন্তের পর উঠে আসে একটি নাম—টিউলিপ সিদ্দিক। অভিযোগ করা হয়, রূপপুর প্রকল্পে ঘুষ ও অবৈধ লেনদেনের মাধ্যমে যে টাকার লেনদেন হয়েছিল, তার একটি বড় অংশ ব্যবহার করা হয়েছে লন্ডনে ফ্ল্যাট কেনার জন্য।

টিউলিপ সিদ্দিক ব্রিটেনে একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি লন্ডনের হ্যামস্টেড এবং কিলবার্ন নির্বাচনী এলাকা থেকে পর পর কয়েকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। কিছু দিন আগে তার বিরুদ্ধে রূপপুর প্রকল্পের দুর্নীতির টাকায় লন্ডনের ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ উঠেছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্কের সৃষ্টি করেছে।

তবে, সিদ্দিক এখনও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং বলেছেন, এই ধরনের কোনও অবৈধ লেনদেনের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি দাবি করেছেন যে, তার সম্পত্তি আইনগতভাবে কেনা এবং তার সবকিছু স্বচ্ছ।

এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজনৈতিক মহলে এবং সাধারণ জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই মনে করছেন, দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত টাকার লেনদেনের ঘটনা জাতির জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, রূপপুর প্রকল্পের মতো বড় মাপের প্রকল্পে দুর্নীতি হওয়া দেশটির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করে এবং দেশের ইমেজকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে। তারা সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করে দায়ীদের শাস্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

ব্রিটিশ এমপি ও শেখ রেহানার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকের মালিকানাধীন ৭ লাখ পাউন্ডের লন্ডনের একটি ফ্ল্যাটের উৎস নিয়ে তদন্ত চলছে। ধারণা করা হচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে পাচার করা টাকার একটি অংশ দিয়ে সেটি কেনা হয়েছে। কিন্তু দুর্নীতি ঢাকতে সেটি উপহার পাওয়ার নাটক সাজায় শেখ পরিবার।

বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এ তদন্ত করছে। দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্পগুলোর একটির সাথে যুক্ত তহবিল ব্যবহার করে টিউলিপ লন্ডনের সম্পত্তি কিনেছিলেন কি না, সে প্রমাণ সংগ্রহের চেষ্টা করছে দুদক। দ্য টেলিগ্রাফ এমন তথ্য জানায়।

তদন্তের এক আপডেটে দুদক বলেছে, তারা অভিযোগ পেয়েছে যে টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে ৭০০,০০০ পাউন্ডের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট পেয়েছেন। ফ্ল্যাটটি বাংলাদেশের ১২.৬৫ বিলিয়ন ডলারের (১০.১ বিলিয়ন পাউন্ড) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আত্মসাৎ করা অর্থের একটি অংশ দিয়ে কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

তদন্তকারীরা দাবি করেছেন, হাসিনার ঘনিষ্ঠ মহলের সদস্যদের জন্য উচ্চমূল্যের সম্পত্তি অর্জনের আগে মালয়েশিয়ার অফশোর ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ পাচার করা হয়। এরপর সেটি বিভিন্ন চ্যানেল ঘুরে লন্ডনে পাঠানো হয়।

দুদকের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, আমাদের গোপন তদন্তে এই অভিযোগগুলো নিশ্চিত হওয়ার পর, আমরা এটির একটি প্রকাশ্য তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি (টিউলিপ) দুর্নীতি এবং আর্থিক অসদাচরণের অভিযোগে জড়িত। আমরা অভিযোগ পেয়েছি, তিনি বাংলাদেশে তার পরিবারের সদস্যদের সাথে যুক্ত অর্থ পাচার এবং অবৈধ আর্থিক লেনদেনের সাথে জড়িত ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মাধ্যমে টিউলিপ ও তার পরিবারের সদস্যরা ৩ দশমিক ৯ বিলিয়ন পাউন্ড আত্মসাৎ করেছেন। এ প্রকল্পের ৯০ শতাংশ ঋণ এসেছে ক্রেমলিন থেকে, আর দায়িত্বে আছে রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম।

এর সূত্র ধরে টিউলিপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লন্ডনে বিনামূল্যে ফ্ল্যাট পেয়েছেন কি না সেটিই এখন তদন্তে গুরুত্ব পাচ্ছে।

৩০ অক্টোবর ২০২৫
poll_title
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রশ্নে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ১১৮৭১

রাজনীতি

বিএনপি নেত্রী নিলুফার মনিকে ক্ষমা চাইতে হবে, না হলে ব্যবস্থা নেবে ছাত্রশিবির

য়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন

নিউজ ডেস্ক

২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮:৪৩

বিএনপি নেত্রী নিলুফার চৌধুরী মনির বক্তব্যকে ভিত্তিহীন, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও ঘৃণ্য অপপ্রচার আখ্যা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম বলেছেন, আদালতের রায়ে প্রমাণিত সত্য হলো—বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে ২০১৯ সালে হত্যা করেছে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা। অথচ নিলুফার মনি ক্ষমতাসীনদের অপরাধ আড়াল করতে নির্জলা মিথ্যাচার ছড়াচ্ছেন। তিনি আসলে আওয়ামী লীগ–ছাত্রলীগের সীমাহীন খুন, গুম, চাঁদাবাজি ও ধর্ষণের দায় এড়াতে শিবিরকে বলির পাঁঠা বানানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছেন। এতে জনগণের মনে প্রশ্ন জেগেছে, তিনি কি পতিত ফ্যাসিস্টদের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন?

শিবিরের নেতারা আরও বলেন, গত ১৬ বছরে সংগঠনের ১০১ জন কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, ২০ হাজারেরও বেশি মামলায় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হয়েছে, সাতজন এখনো গুম রয়েছে। এই সময়ে ছাত্রলীগই ক্যাম্পাসগুলোতে দাপটের সঙ্গে খুন, ধর্ষণ, টেন্ডারবাজি ও চাঁদাবাজি চালিয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বী বিশ্বজিতকেও শিবির সন্দেহে পিটিয়ে হত্যার ভয়াবহ নজির সৃষ্টি করেছে ছাত্রলীগ। অথচ এই সব অপরাধ অস্বীকার করে নিলুফার মনি আজ শিবিরকে দোষারোপ করছেন। এটি নিছক মিথ্যাচার নয়, বরং দেশের ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকে দুর্বল করার নগ্ন ষড়যন্ত্র।

তারা স্পষ্ট হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, অবিলম্বে এই অসত্য বক্তব্য প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। অন্যথায় ছাত্রশিবির আইনিভাবে কঠোর জবাব দেবে। দেশের মানুষ এখন খুব ভালো করেই জানে কারা আবরার ফাহাদকে হত্যা করেছে এবং কারা দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শিক্ষাঙ্গনকে সন্ত্রাসের আখড়ায় পরিণত করেছে।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৩২৭

রাজনীতি

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের। এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।” […]

হামলার আগে সেনাপ্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুরকে ফোনে হুমকি দেয় : জাহের

ছবি সংগৃহীত

নিউজ ডেস্ক

৩০ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১২

“হামলা আগে সেনা প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর কে ফোনে হুমকি দেয়”- এমন অভিযোগ করেন গণঅধিকার উচ্চতর পরিষদ সদস্য আব্দুর জাহের।

এক ফেসবুক পোস্টে অভিযোগ করে জাহের বলেন,”নুরুল হক নুরের উপর হামলার আগে সেনাবাহিনী প্রধানের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস নুর ভাইকে ফোন দেয়, জাতীয় পার্টি এবং জিএম কাদেরের বিষয়ে কিছু না বলার জন্য বলে।”

“নুর ভাই স্পষ্ট করে বলে, জাতীয় পার্টি এবং ফ্যাসিবাদের দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান আগের মতই। তখন বিগ্রেডিয়ার শামস এটার ফল ভালো হবে না বলে নুর ভাইকে থ্রেট করে।”

এর কিছুক্ষণ পরেই আজকের হামলার মূল হোতা ক্যাপ্টেইন রাকিবের নেতৃত্বে আমাদের উপর হামলা শুরু হয়। নুর ভাই আমাদের কার্যালয়ের সামনে প্রেসব্রিফিংয়ে ছিল। সেনাবাহিনী এবং পুলিশ কোনপ্রকার কথা ছাড়াই নুর ভাইকে হ/ত্যা/র উদ্দেশ্যে হামলা করে।

আমাদের কার্যালয়ের ভিতরে আমাদের আসবাবপত্র ভাঙচুরের পাশাপাশি টয়লেট ভেঙ্গেও নেতাকর্মীদের উপর হা/ম/লা করে সেনাবাহিনী।

ওয়াকারের নিরাপত্তা অফিসার বিগ্রেডিয়ার শামস কার নির্দেশে আজ নুরুল হক নুরকে হুমকি দিয়েছে? জাতীয় পার্টির এবং জিএম কাদেরকে কার স্বার্থে প্রতিষ্ঠা করছে সেনাবাহিনী?

আজ নুরুল হক নুরের উপর আপাতত দৃষ্টিতে সেনাবাহিনীর হামলা করলেও মূলত পতিত সরকারই এই হামলার মাস্টার মাইন্ড।

লিখে রাখুন, আজ নুরুল হক নুর! কাল হাসনাত! পরশু আরেকজন।
এভাবেই পতিত সরকার ২৪এর প্রতিশোধ নিবে।

১৩ নভেম্বর ২০২৫
poll_title
আপনি কি জাতীয় নির্বাচনের দিনেই গণভোট আয়োজনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেন?

মোট ভোট: ৫৩২৭

রাজনীতি

রুদ্ধদ্বার বৈঠকে গোপন সিদ্ধান্ত বিএনপির, ১৫০ প্রার্থীকে সবুজ সংকেত

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে […]

নিউজ ডেস্ক

২৯ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৪

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দীর্ঘ এক বছরের যাচাই-বাছাই ও বিভাগীয় পর্যায়ের একাধিক বৈঠকের পরও সব আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে পারেনি বিএনপি। তবে দলটি এখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০ জন প্রার্থীকে মনোনয়নের সবুজ সংকেত দিয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বিএনপি এবার একটি বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট গঠনের উদ্যোগ নিয়েছে। দলটি ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬০ আসনে নিজেদের প্রার্থী দিতে এবং শরিকদের জন্য ৪০ আসন ছাড়ার পরিকল্পনা করছে। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) বিএনপির জোটে যুক্ত হলে তাদের জন্য ৮টি আসন রাখার বিষয়েও আলোচনা চলছে।

এক বছর আগে থেকেই সারাদেশে প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া শুরু করে বিএনপি। প্রথমে প্রায় ৯০০ সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করে তা লন্ডনে হাইকমান্ডে পাঠানো হয়। সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই প্রার্থীদের যোগ্যতা, জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক ভূমিকা যাচাই করেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়ার পর বিএনপি প্রার্থী চূড়ান্তের গতি বাড়ায়। গত ২৬ ও ২৭ অক্টোবর গুলশানে চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বিভাগভিত্তিক মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।

তারেক রহমান বৈঠকে বলেন, “এই নির্বাচন বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। যাকে যেখানে মনোনয়ন দেওয়া হবে, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তার পক্ষে কাজ করতে হবে। কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না।”

দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানান, প্রার্থী নির্ধারণের বিভাগীয় বৈঠক শেষ হয়েছে, এখন মূল লক্ষ্য দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য নিশ্চিত করা।

বর্তমানে বিএনপি প্রায় ৪০টি সমমনা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নির্বাচনী জোট গঠনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে। তবে ‘ধানের শীষ’ প্রতীকে শরিকদের প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এখনো অনিশ্চিত। ফলে, আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন তালিকা ও জোট গঠনের রূপরেখাই এখন রাজনৈতিক অঙ্গনের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়।

৩০ অক্টোবর ২০২৫
poll_title
জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট প্রশ্নে আপনার মতামত কী?

মোট ভোট: ১১৮৭১