ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকার পতন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার পাশাপাশি ৫ আগস্টের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য ও মানবিক কার্যক্রম হৃদয় স্পর্শ করেছে মানুষের।
বিশেষ করে জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলনে হতাহত ও মেডিকেলে চান্স পেয়েও অর্থাভাবে ভর্তি হতে না পারা মেধাবীদের পাশে দাঁড়ানোয় দারুণ প্রশংসিত হচ্ছেন তিনি। নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়েও নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন তিনি। রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা তুলে ধরছেন মানুষের কাছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারেক রহমান শুধু একজন নেতা নন, বরং তিনি একজন মানবিক ব্যক্তিত্বও, যিনি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।
দেশ ও জাতির অগ্রগতির জন্য শিক্ষার গুরুত্ব তিনি গভীরভাবে অনুধাবন করেছেন এবং তাই সুবিধাবঞ্চিত মেধাবীদের সহায়তায় নিয়েছেন নানাবিধ উদ্যোগ।
তারেক রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশে বহু মেধাবী শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে, যারা অর্থের অভাবে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শিক্ষাবৃত্তি বিতরণ করা হয়েছে, যাতে তারা অর্থনৈতিক সংকটের কারণে পড়াশোনা বন্ধ না করে।
শুধু সাধারণ শিক্ষায় নয়, তারেক রহমান কারিগরি ও পেশাগত শিক্ষাকেও গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি চান, দেশের যুবসমাজ দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী হোক।
এজন্য তিনি বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি চালু করার আহ্বান জানিয়েছেন এবং অনেক জায়গায় তা বাস্তবায়িতও হয়েছে।
তারেক রহমান শুধু শিক্ষা নয়, দারিদ্র্য বিমোচনের জন্যও কাজ করে যাচ্ছেন। অনেক পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, চিকিৎসা খরচ বহন, বন্যা ও অন্যান্য দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানো এসব কাজের মাধ্যমে তিনি দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের কাছে আশার আলো হয়ে উঠেছেন।
তারেক রহমানের লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে এমন একটি সমাজ গঠন করা, যেখানে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থী শুধুমাত্র অর্থের অভাবে পিছিয়ে থাকবে না। তিনি আরও বৃহৎ পরিসরে দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর পরিকল্পনা করছেন, যাতে তারা সঠিক দিকনির্দেশনা ও সহায়তা পেয়ে দেশের অগ্রগতিতে অবদান রাখতে পারে।
তারেক রহমানের এসব মানবিক উদ্যোগ প্রমাণ করে, তিনি শুধু রাজনীতিবিদ নন, বরং একজন দূরদর্শী নেতা, যিনি মানুষের কল্যাণে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ। দরিদ্র ও মেধাবীদের প্রতি তার এই উদারতা ও সহযোগিতা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?