বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের চেয়ারম্যান আবদুস সালামের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল করে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। এ মামলার অন্য দুই আসামি ছিলেন, সাংবাদিক মাহাথীর ফারুকী খান ও কনক সারওয়ার। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ১১ পৃষ্ঠার ওই রায় প্রকাশ করা হয়।
২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেওয়া বক্তব্য একুশে টিভি সরাসরি সম্প্রচার করে। পরদিন তারেক রহমান ও একুশে টেলিভিশনের মালিক আব্দুস সালামের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি চায় তেজগাঁও থানা পুলিশ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পাওয়ার পর তেজগাঁও থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন ওই বছরেরই ৮ জানুয়ারি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক এমদাদুল হক।
অভিযোগপত্রে তারেক ও সালামের সঙ্গে একুশে টেলিভিশনের প্রধান প্রতিবেদক মাহাথীর ফারুকী খান ও জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক কনক সারওয়ারের নাম যোগ করা হয়। পরে আদালত অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আব্দুস সালাম হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট ২০১৭ সালে রুল ও স্থগিতাদেশ দেন। সেই রুলের শুনানি শেষে গত ৩১ অক্টোবর রায় দেওয়া হয়।
আদালতে ওই সময় আবেদনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও শাহদীন মালিক, আইনজীবী কায়সার কামাল, এস এম শাহজাহান ও মো. তায়্যিব-উল-ইসলাম সৌরভ।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.জসিম সরকার ও রাসেল আহাম্মদ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল গিয়াস উদ্দিন রাজি, শামীমা আক্তার বানু, লাবণী আক্তার ও কাজী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান।
গত ৩১ অক্টোবর বিএনপিপন্থি আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন জানিয়েছিলেন, এ মামলার শুরুটাই বেআইনি। তাই তারেক রহমান ও আব্দুস সালামসহ সবার মামলা বাতিল করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?