সাব্বির হোসেন, লালমনিরহাট
৩১তম ব্যাচের কর্মকর্তা মুকিব মিয়া। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের সরকারি জসমুদ্দিন কাজী আব্দুল গণি কলেজের ইংরেজি বিভাগের এ সহকারী অধ্যাপক গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লিফলেট বিতরণ করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ দাবিতে এই লিফলেট বিতরণের ঘটনা নিয়ে চর্চা তৈরি হয়েছে। তিনি নিজের ফেসবুকে এ বিষয়ে ছবি ও বিভিন্ন লেখা পোস্ট করেছেন, যা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯-এর বিভিন্ন ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে তদন্তের দিকে পরিণত হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে। বিধিমালার ৩(খ) ধারা অনুযায়ী তাঁকে ১০ দিনের মধ্যে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তবে মুকিব মিয়া দাবি করেছেন, তিনি চাকরিবিধি লঙ্ঘন করেননি। তাঁর মতে, ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করছে, এর প্রতিবাদ করার অধিকার তাঁর আছে।
মুকিব মিয়া আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য হিসেবে গত বছরগুলোতেও দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। তবে সরকারি কর্মচারী হিসেবে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়া নিয়মের বহিভূত। তিনি বর্তমানে অসুস্থতাজনিত ছুটিতে আছেন বলে দাবি করলেও কোনো চিকিৎসা প্রমাণ জমা দেননি।
এই ঘটনায় শিক্ষক সমাজের মধ্যে তীব্র আলোচনা শুরু হয়েছে। কেউ কেউ মনে করছেন, এটি সরকারি চাকরিজীবীদের রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা নীতির প্রশ্ন তুলে ধরতে পারে।
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, সময় কোনো বিষয় নয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনই আসল কথা। তাঁর এই বক্তব্যে আপনার সমর্থন আছে কি?