ঢাকার সাতটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সাম্প্রতিক অস্থিরতার পুরো দায় শেখ হাসিনা ও তার ঘনিষ্ঠ আরেফিন সিদ্দিকের ওপর আরোপ করেছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
এক ফেসবুক পোস্টে নাছির অভিযোগ করেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আরেফিন সিদ্দিক এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হারুন অর রশিদের মধ্যে ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের ফলেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।” তিনি আরও বলেন, “এই সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যতের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলেছে।”
নাছিরের মতে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধিভুক্ত সাত কলেজের মধ্যে চলমান সংঘাতের জন্য পুরোপুরি বিগত “ফ্যাসিস্ট সরকার” এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দায়ী। তিনি আরও দাবি করেন, “এই সরকার সংকট সৃষ্টি করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিভাজন ঘটানোর কৌশল নিয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ উসকে দিয়েছে এবং শিক্ষাজীবনকে অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দিয়েছে।”

নাছির উদ্দীন নাছিরের এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছে এবং সরকারের শিক্ষানীতি ও প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উত্থাপন করেছে। তার বক্তব্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সমস্যাগুলো আরও স্পষ্ট করে তুলে ধরা হয়েছে।।
বিবৃতিতে সকল পক্ষকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, “শিক্ষার্থীরা যেন কোনোভাবেই সহিংসতায় জড়িয়ে না পড়ে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের সুযোগ নেওয়ার পথ বন্ধ করতে হবে।”
সমস্যা সমাধানে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয়েছে, “উভয় পক্ষের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে একটি গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছাতে হবে। সহিংসতা সমাধানের পথ নয়। সব ধরনের উসকানি এড়িয়ে চলতে হবে।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, “ফ্যাসিস্ট সরকারের তৈরি করা এই সংকট দ্রুত নিরসন করুন এবং শিক্ষার্থীদের স্বার্থে একটি টেকসই সমাধান নিয়ে আসুন।”

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?