বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কর্মসূচি ও পরিকল্পনা রয়েছে। তবে একটি বিষয় নিয়ে সবাই একমত—দেশে একটি নির্বাচন প্রয়োজন। কিন্তু সেই নির্বাচন কোনো একটি দলকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য নয়; বরং এটি গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাওয়ার একটি সুযোগ এবং একটি নতুন দিক উন্মোচন।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে শহীদ আসাদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, “বর্তমানে নির্বাচন নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। তাহলে কি আমরা ৪-৫ বছর ধরে অপেক্ষা করব? নাকি যতদিন সংস্কার শেষ না হয়, ততদিন জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত থাকবে? জনগণকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, একটি গ্রহণযোগ্য ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করাই দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য একমাত্র সঠিক পথ। আলোচনা সভায় তিনি দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট ও সমাধানের দিক নিয়ে বক্তব্য দেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন,‘‘ আমরা এখনো দেখছি, আমাদের আমলাতন্ত্র আগের যে ব্যবস্থা ছিলো সেই ব্যবস্থায় তারা এখনো সচিবালয় থেকে শুরু করে সমস্ত প্রশাসনে তারা একইভাবে তাদের ভূমিকা পালন করছে। কোনো রদবদল হয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে লেখাপড়া প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে, স্কুল-কলেজগুলোতে সেই ধরনের লেখাপড়া হয় না, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়েছে। এটা অতীত থেকেই এসেছে এবং সেই পরিবর্তন এতো অল্প সময়ের সম্ভবও নয় কিন্তু আমরা সেই পরিবর্তনগুলো চাই।
তিনি আরো বলেন, সেই কারণে আমরা বলেছি যে, নির্বাচনটা দ্রুত হওয়া দরকার। নির্বাচন দ্রুত হলে যে দল ক্ষমতায় আসবে তার যে রাজনৈতিক কমিটমেন্ট টু পিপলস থাকবে সেই কমিটমেন্টগুলো পালন করার জন্য অবশ্যই তারা দায়বদ্ধ থাকবে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?