শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

আমাদের সামনে দুটি রাস্তা- হয় বিজয় নয়তো শাহা’দাত : শিবির সেক্রেটারি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামাজিক মাধ্যমের পোস্টকে ঘিরে তুমুল সমালোচনা চলছে। নেটিজেনরা আওয়ামী লীগ ও ভারতের নীতির তীব্র সমালোচনায় মুখর। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন তথা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের আলোকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন শিবির সেক্রেটারি। পাঠকদের […]

নিউজ ডেস্ক

২২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫:২২

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সামাজিক মাধ্যমের পোস্টকে ঘিরে তুমুল সমালোচনা চলছে। নেটিজেনরা আওয়ামী লীগ ও ভারতের নীতির তীব্র সমালোচনায় মুখর। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে নিজের অবস্থান তুলে ধরেছেন তথা ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের আলোকে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।

সোমবার সন্ধ্যায় নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন শিবির সেক্রেটারি। পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো-
‘চূড়ান্ত বিজয় অথবা শাহাদাত’

১৭৫৭- স্বদেশীয় মীর্জাফর ও বিশ্বাসঘাতকদের কারণে ১৯০ বছরের জন্য এ ভূখণ্ড থেকে স্বাধীনতা হারিয়ে যায়। সাম্রাজ্যবাদী ইং’রে’জ’রা কলোনির নামে আমাদের ভূমি দখল করে সম্পদ লুটপাট করেছে। তারাই আবার বিশ্বরাজনীতিতে সভ্যতার লেবাসে আমাদেরকে সবক দেয় (সেলুকাস)।

১৯৪৭- হাজী শরিয়াতুল্লাহ, তিতুমীর, আহমেদ বেরলভি ও তাদের উত্তর প্রজন্মের ধারাবাহিক লড়াই সংগ্রাম অ’স’ভ্য ব্রি’টি’শ কলোনি থেকে মুক্তির দেখা মিললো। কিন্তু তারা রেখে গেলেন ইন্টেলেকচুয়াল কলোনি পলিসি। সাথে কিছু হাই কোয়ালিটি সমৃদ্ধ ট্রেনিং প্রাপ্ত দালাল। যার ফলাফল হিন্দু মুসলিম তিক্ততা।

সমাধান নিয়ে হাজির হলেন, তথাকথিত ভারতীয় মুসলিমের ত্রাণকর্তা মি. জিন্নাহ। থিওরি দিলেন “আসো ভাগ হয়ে যাই”। পাকিস্তান ও ইন্ডিয়া ভাগেই নাকি সব সমাধান!!

১৯৪৭-১৯৭১- পূর্ব পাকিস্তান বা বর্তমান বাংলাদেশ নামক ভূখণ্ডের সাথে ইন্ডিয়া ও পশ্চিম পাকিস্তান কেউই ইনসাফ করতে পারলেন না। বৈষম্য চাপিয়ে দিলেন। মাথামোটা কিছু রাজনীতিবীদের অদূরদর্শী ও অপরিপক্ব সিদ্ধান্তের কারণে আবার ভাগের প্রশ্ন। তৈরি হলো প্লট-৭১।

১৯৭১- এ’ন্ডি’য়া দাবি করলো এ’ন্ডি বনাম পা’কি যুদ্ধ হইছে। জিতছে এ’ন্ডি। এখান থেকেই নাকি বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম!! ভালো কথা তাহলে এই রাষ্ট্র কার? রাষ্ট্র পরিচালনা কে করবে? এন্ডি ১৬ ডিসেম্বরের পর নিজেরাই চালাতে চেয়েছিল। কিন্তু পাবলিক সেন্টিমেন্ট মাথায় রেখে তারা এং’রে’জদের পলিসি নিল। ইজারা দিল একটি পরিবার ও একটি দলের কাছে।

১৯৭৫- প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের চেতনাকে গলা টিপে এক দেশ, এক দল, বাকশাল কায়েম করলেন। প্রকৃত সমর যোদ্ধারা এতে নড়েচড়ে বসলেন। এজন্যতো যুদ্ধ করিনি। যার ফলশ্রুতিতে ১৫ আগষ্ট।

১৯৭৫ পরবর্তীতে এদেশ একটি গোলকধাঁধার মধ্য দিয়েই গিয়েছে। কখনো ত্রাণকর্তা, কখনো সেই ত্রাণকর্তাই আবার লুটেরা কিংবা স্বৈরাচার চরিত্রে পরিণত হওয়া। এই ধারার মধ্যে সৎ ও দেশপ্রেমিক ছিল খুবই নগণ্য কিছু সংখ্যা। তারা আবার দালালগোষ্ঠীর কাছে ছিল মাইনোরিটি বা ইনিফেরিয়র।

১৯৯৬- স্বজন হারানোর বেদনা নিয়ে হাজির হলেন খু’নি হাসিনা। পরিবার হারানোর বেদনা নাকি উনি ছাড়া আর কেউ বুঝে না। তাই তিনি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় সাক্ষাৎকারে বলেই দিলেন, “আমার রাজনীতি করার খুব একটা ইচ্ছা ছিল না। আমি আসছি আমার পিতার হত্যার প্রতিশোধ নিতে”।

হত্যার রাজনীতি আবারও চাঙ্গা করলেন তিনি। বাকশালের নয়া রুপ ফ্যাসিবাদ জীবন্ত করলেন। কিন্তু ২০০১ সালে এসে ফ্যাসিবাদের ষোলকলা পূর্ণ করতে পারলেন না। এ জন্য ৫ বছর অপেক্ষা করতে হলো।

২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর- লগী বৈঠার তাণ্ডবের মাধ্যমে অপেক্ষায় প্রহর শেষ হতে লাগলো। ভিনদেশী স্ক্রিপটেড নাটক পালটা নাটকের মাধ্যমে তিনি আবারও ক্ষমতায় আসলেন। এসেই উনার ফ্যাসিবাদের বাধা হিসেবে সকল শক্তির তালিকা করলেন। প্রথমেই দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার দিয়ে হত্যার উৎসব শুরু করলেন।

এরপর বিরোধী নেতৃবৃন্দ, আলেম-উলামা, যারাই ফ্যাসিবাদের পথের কাটা তাদেরকে হত্যা ও গুম অব্যাহত রাখলেন। ৭১ লেগেচি বহন করে একটি অঘোষিত কলোনি ও ফ্যাসিবাদের কায়েমে তিনি সফলতার শীর্ষে অবস্থান করলেন।

চেতনার কার্ডই এখানে প্রধানতম হাতিয়ার। হয়ে উঠলেন মাদার অফ ফ্যাসিস্ট। ৭১-এর মিথ্যা বয়ানের চেতনাই ফ্যাসিবাদ কায়েমে প্রধানতম ভূমিকা পালন করেছিল।

২০২৪- ফেরাউন, নমরুদরা পতনের আগ পর্যন্ত ভাবতেই পারেনি, সব কিছুর একটা শেষ আছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনাও তার ব্যাতিক্রম নয়। নির্মম গণহত্যা চালিয়েও তার শেষ রক্ষা হয়নি।

হলফ করে বলছি, ২৪-এর ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থান একটি অর্গানিক ও ন্যাচারাল মুভমেন্ট ছিল। কোনো সাম্রাজ্যবাদ ও আধিপত্যবাদের প্ল্যানে হয়নি। দালাল সম্প্রদায়ের কোনো ভূমিকাই এখানে ছিল না। পরিস্থিতিই ধাপেধাপে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিতে বাধ্য করেছিল। এখানেই মূলত ৫৭, ৪৭, ৫২, ৭১ আর ২৪-এর পার্থক্য।

শহীদ ও গাজীদের ন্যাচারাল চেতনাই আগামীর বাংলাদেশ গড়ে দিবে। এখানে কোনো শক্তির সাথেই আপোষ করার সূযোগ নেই। প্রজন্ম ২৪ এখন সংকীর্ণ চিন্তার উর্ধ্বে উঠে বিশ্বায়নের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হতে চায়। তারা যেকোনো আধিপত্যবাদ মোড়লদের চোখে চোখ রেখে কথা বলার প্রতিযোগিতা করতে চায়। শহিদি প্রজন্ম বাংলাদেশকে আর পথ হারাতে দিবে না ইনশাআল্লাহ।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১২৬৫

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১২৬৫

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১২৬৫

রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার সামনে নির্বাচনের সময় নিয়ে বৈঠকে ‘তর্কে’ জড়ালেন সালাহউদ্দিন ও নাহিদ

বিএনপির পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিএনপি ৩১ ডিসেম্বরের এক দিন পরেও জাতীয় নির্বাচন মেনে নেবে না। সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য সব সংস্কার এক মাসেই সম্ভব।”

নিউজ ডেস্ক

০৩ জুন ২০২৫, ১৮:১৭

রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সোমবার (২ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এই আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আলোচনার শুরুতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি প্রতিদিন যেসব বৈঠক করি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই আপনাদের সঙ্গে বসে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ করার সময়। এখানেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রচিত হচ্ছে।”

আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনীয় সংস্কার নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ঠিক করা। তবে আলোচনা ঘুরে দাঁড়ায় নির্বাচন কবে হবে, সেই সময়সূচি নিয়ে বিতর্কে।

বিএনপির পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিএনপি ৩১ ডিসেম্বরের এক দিন পরেও জাতীয় নির্বাচন মেনে নেবে না। সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য সব সংস্কার এক মাসেই সম্ভব।”

এরপর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ মন্তব্য করেন, “কিছু দল ভারতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়।” এ বক্তব্যে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইলে সেটা যদি ভারতের সুর হয়, তাহলে যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারা কি যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের সুরে কথা বলছে?”

এই বক্তব্যে বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এনসিপি ও বিএনপির প্রতিনিধিদের মধ্যে তীব্র বিতণ্ডা শুরু হয়।

বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন বলেন, “নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।” অন্যদিকে, এনসিপি নেতা নাহিদ বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।”

আলোচনায় অংশ নেওয়া নেতাদের মতে, আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল সংস্কার, কিন্তু বাস্তবে বিতর্ক আবর্তিত হয়েছে নির্বাচন সময়সূচিকে ঘিরে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১২৬৫