হাসিনা সরকারের পতনের পর, তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি নিয়ে গোপন তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
সম্প্রতি, শেখ হাসিনার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস হয়েছে। জানা গেছে, জয় তার ব্যক্তিগত জীবনের এক দিক উন্মোচন করেছেন, যা এতদিন ধামাচাপা ছিল।
তিনি তার ফেসবুক পেজে ঘোষণা করেছেন যে, তার স্ত্রীর সঙ্গে তিন বছর আগে সম্পর্কের ইতি ঘটে এবং তাদের একমত হয়ে ডিভোর্স হয়েছে। এ ছাড়া, তিনি ক্রিস্টিনকে দুই হাজার মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ প্রদান করেছেন।
এদিকে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (FBI) একটি প্রতিবেদনে তার সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য উল্লেখ করেছে। প্রতিবেদনটি ভুল প্রমাণ করতে গিয়ে জয় তার ব্যক্তিগত জীবনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ফাঁস করেন।
অপরদিকে, শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের ডিভোর্স নিয়েও নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, পুতুলের স্বামী বিদেশে টাকা পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়লে তাদের সম্পর্কের ইতি ঘটে।
তবে সবচেয়ে আলোচিত বিষয় হল, শেখ হাসিনার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে রুপপূর পারমাণবিক থেকে ৫ মিলিয়ন ডলার আত্মসাতের অভিযোগ। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে, এবং এতে সজীব ওয়াজেদ
জয়, পদত্যাগী টিউলিপ এবং অন্যান্যদের নাম জড়িত বলে জানা গেছে।
শেখ হাসিনার পতনের পর, দেশে একের পর এক নতুন বিতর্ক সৃষ্টি হচ্ছে। এর মধ্যে তার পরিবারের সদস্যদের অনিয়ম এবং দুর্নীতি নিয়ে আরও তথ্য সামনে আসছে, যা দেশ ও বিদেশে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?