মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের আটকের পর থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আলোচিত উপজেলা যুবদলের বহিস্কৃত নেতা তরিকুল ইসলামকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার রাতে গ্রেফতারের পর রবিবার বিকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আদালতে শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দুরদানা রহমান তরিকুল সহ বাকিদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। মারামারির ঘটনার মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি এ.কে.এম নাসিরুজ্জামান খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বাদী উপস্থিতেই শুনানি করা হয়। এসময় জামিন না মঞ্জুর করে কারগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়ে। থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। যথাযথ বিচারের দাবিতে পরবর্তীতে আমরা বিচার চাইবো।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মারামারির মামলার এজহার ভুক্ত আসামী শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের সদস্য তরিকুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। রাত ১০টার দিকে থানায় প্রবেশ ও হট্টগোল করে আটককৃতকে ছিনিয়ে নেয় বিএনপি নেতাকর্মী। এঘটনায় ঘিরে তৈরি হয় আলোচনা-সমালোচনা ঝড়। শনিবার এঘটনার বিচারের দাবিতে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের ব্লকেড করে ৩ঘন্টার আল্টিমেটাম দেয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকারীরা। পরে বিকালে দায়ের শ্রীনগর থানার এস আই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। এতে এজহার নামী ৩১জন নামীয় সহ ১৭০জনকে অজ্ঞাত আসামী করে মামলা দায়ের করে। শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তরিকুলকে। এদিকে এঘটনার পর তাকে সদস্য পদ সহ সংগঠন থেকে বহিস্কার করেছে যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, এ বছরের শেষ দিকে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। এ বছরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব বলে কি আপনিও মনে করেন?