স্বাধীনতা পরবর্তীকালে আমাদের একটা সৃজনশীল সময় গিয়েছে। বর্তমান সময়ে আমাদের রাজনীতিবিদদের এখানেই ব্যার্থতা রয়েছে। দীর্ঘ ৫৩ বছরে আমরা সুখি শান্তিময় প্রেমময় বাংলাদেশ গড়তে পারিনি। রাজনীতি নিয়ে আমরা সংকীর্ণাতায় ভুগি। নৈতিকতার সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে গেছি। জাতি হিসাবে গর্বিত জাতি বলার কথা সে কথা বলতে পারিনি গত কিছুদিন আগেও। এখন আবার সেই আশা জেগে উঠেছে আমাদের মাঝে । আমরা আবার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছি, সেই স্বপ্নটি হচ্ছে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ জিয়ার সুখি সুন্দর সমৃদ্ধ প্রেমময় বাংলাদেশ গড়ার। সেই সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার চেষ্টা করেছি আমরা।
৭১ এর পর গণতান্ত্রিক যুদ্ধে ছিলাম। সেই গণতান্ত্রিক যুদ্ধ শেষ হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত ঐক্যের যুদ্ধ- সকলে মিলে একসাথে মিলে দেশ গঠন করে দেশটাকে বিনির্মাণ করবো নতুনভাবে পথরেখা দেখাবো এই জায়গায় আমরা ব্যার্থ হয়েছি বলে এই বয়সে এসে আমার মনে হচ্ছে। এখন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে । আজ দুপুরে দিনাজপুর সরকারী কলেজ মাঠে কলেজের অর্থনীতি বিভাগের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সুবর্ণ জয়ন্তি ও গুণীজন সংবর্ধনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কলেজের ও বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উল্লেখিত বক্তব্য রাখেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ছেলেরা ও রাজনীতিক কর্মীরা জীবন দিয়েছে দীর্ঘ দিন নির্যাতন সহ্য করেছে ৭/৮শ জন গুম হয়েছে- ৬০ লক্ষের অধিক নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বিনা বিচারে হাজার হাজার নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। এই অবস্থা পার হয়েছে নুতন সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে কিন্তু কেন জানি আমরা সংকির্নতার উর্ধে উঠে আসতে পারছি না। আমি আশা করবো সকলের কাছে অনুরোধ করবে এর উর্ধে উঠে আশার। যাতে আমরা একটি সুষ্ঠ সুন্দর পথরেখা তৈরী করতে পারি দেশটাকে নুতনভাবে গড়ার।
উল্লেখ্য মির্জা ফকরুল দিনাজপুর সরকারী কলেজে ১৯৭২ থেকে ১৯৭৮ পর্যন্ত শিক্ষকতা করেন। তিনি সে সময়ের স্মৃতিচারণ করেন।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?