বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
৮ মাঘ, ১৪৩১

পরিক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

দিল্লির সঙ্গে ‘দূরত্ব, ইসলামাবাদের সঙ্গে ‘সখ্যতা’

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশঃ ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:৩৭

দিল্লির সঙ্গে ‘দূরত্ব, ইসলামাবাদের সঙ্গে ‘সখ্যতা’

চলতি বছরের মাঝামাঝিতে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে ‘সোনালি অধ্যায়’ হিসেবে তুলে ধরত ভারত। গত ৫ আগস্ট পটপরিবর্তনের পর থেকে দুই প্রতিবেশীর রাজনৈতিক সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না। অন্যদিকে, পাকিস্তানের সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে, দৃশ্যমান হচ্ছে সখ্যতা।

ঢাকার কূটনৈতিক অঙ্গন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেপ্টেম্বরে নিউইয়র্কে গিয়ে বাজিমাত করেছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (২০২৫ সালের জানুয়ারি মাসে ক্ষমতা ছাড়বেন) ড. ইউনূসকে কাছে পেয়ে বুকে টেনে নেন।

হাতে হাত রেখে বলেন, বাংলাদেশে সংস্কারের যে লক্ষ্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ঠিক করেছেন, তাকে বাস্তবে রূপ দিতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে হোয়াইট হাউস।

তবে, বর্তমান প্রেক্ষাপট ভিন্ন। হোয়াইট হাউসের ক্ষমতার রদবদল হয়েছে। ডেমোক্রেটদের কাছ থেকে ক্ষমতা চলে গেছে রিপাবলিকানদের হাতে। গত ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। মসনদে আসীন হওয়ার পর চার বছর হোয়াইট হাউসের দেখভাল করবেন তিনি।

ট্রাম্পের বিজয়ের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, সেটি এখন বড় প্রশ্ন। সংশ্লিষ্ট বোদ্ধামহল মনে করছে, ট্রাম্পের প্রেসিডেন্সিতে ঢাকা-ওয়াশিংটনের সম্পর্কের কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন আসার পাশাপাশি কাজ করার ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে। তবে, বাংলাদেশ ইস্যুতে মোটাদাগে আমূল পরিবর্তন আনবে না মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

৫ আগস্টের পর দিল্লির সঙ্গে টানাপোড়েন নিরসনের প্রথম উদ্যোগ হিসেবে ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি ইতিবাচক দিক।

ওই বৈঠকের সুফল আসবে কি না, সেটি বোঝা যাবে আরও পরে। কোনো কারণে যদি ইতিবাচক কিছু নাও হয়, অন্তত দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য চলবে; হয়ত রাজনৈতিক দূরত্ব থাকবেপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা

এ ছাড়া, অন্তর্বর্তী সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘ধীর চলো’ নীতিতে সামনে এগোচ্ছে। সেজন্য বেইজিং বাংলাদেশে রাজনৈতিক সরকার গঠনের দিকে তাকিয়ে আছে। দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত কূটনীতিকরা বিএনপি-জামায়েতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে যাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ৫ আগস্টের পর ভারতের সঙ্গে টানাপোড়েন কমাতে চলতি মাসে ঢাকায় বৈঠকে বসেছিলেন দুই দেশের পররাষ্ট্রসচিবরা।

টানাপোড়েন আর আস্থার সংকট কাটাতে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ও ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দুই প্রতিবেশীর সম্পর্ক এগিয়ে নিতে ঐকমত্য হয়েছেন। তবে, বিজয় দিবসের দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিতর্কিত পোস্ট ভালোভাবে নেয়নি ঢাকা। এটি ঢাকা-দিল্লির রাজনৈতিক সম্পর্কের জোড়া লাগানোর ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের বার্তা দিচ্ছে।

এ সম্পর্কিত আরো খবর