শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

পালানোর সময় হাসিনা বলছিলেন আগরতলা কতদূর: রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা যেটা শুনেছি ৫ আগস্ট গণহত্যা চালিয়ে শেখ হাসিনা যখন হেলিকপ্টারে করে পালাচ্ছিলেন হেলিকপ্টারের পাইলটকে মনে হয় বলেছেন আগরতলা কতদূর, আগরতলা কতদূর। তার মনে এতটাই সংশয় ছিল জনগণ মনে হয় এবার তাকে আর ছাড় দেবে না। সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জাতীয়তাবাদী […]

নিউজ ডেস্ক

২০ আগস্ট ২০২৪, ০২:২৪

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আমরা যেটা শুনেছি ৫ আগস্ট গণহত্যা চালিয়ে শেখ হাসিনা যখন হেলিকপ্টারে করে পালাচ্ছিলেন হেলিকপ্টারের পাইলটকে মনে হয় বলেছেন আগরতলা কতদূর, আগরতলা কতদূর।

তার মনে এতটাই সংশয় ছিল জনগণ মনে হয় এবার তাকে আর ছাড় দেবে না। সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচ তলায় জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৫ আগস্ট সারা ঢাকা শহরে বিস্তার লাভ করেছিল শুধু মানুষের কাফেলা, মানুষের মিছিল। বাংলাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত, এক মহানগর থেকে আরেক মহানগর, জেলা সদর প্রত্যেকটি জায়গায় শুধু মানুষ আর মানুষ।

একেবারে শ্রাবণের বর্ষণের মত অবিরামভাবে ঝরছে বিভিন্ন এলাকায় শেখ হাসিনা ওই হেলিকপ্টারেই বুঝতে পেরেছেন আমি জনগণের অভ্যন্তরীণ শক্তিকে বুঝতে পারিনি। তাই তিনি আকুপাকু করছিলেন কখন আগরতলা যাবো, কখন নিরাপদে নামবো।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, শেখ হাসিনার আমলে দেশকে নির্যাতনের মধ্যে পতিত হতে হয়েছিল যার যে কাজ সেই কাজ তারা করতে পারেনি। তখন ধরেন একজন ভালো ডাক্তার তার মামার শ্বশুর যদি বিএনপি করতো তাহলে তাকে হাসপাতাল থেকে বিদায় করে দেয়া হতো।

কোন একজন ভাল প্রশাসনিক কর্মকর্তা অত্যন্ত স্মার্ট এবং যোগ্যতা সম্পন্ন তাকে একটা ভালো জায়গা দিলে সরকারেরই লাভ হত কিন্তু তার শালা যদি ছাত্রদল করে থাকে অথবা যদি বিএনপির কোন অঙ্গ সংগঠন করে থাকে তাহলে তার ঠিকানা হয়েছে হয় খাগড়াছড়ি না হয় ওএসডি।

এইভাবে প্রত্যেকটি জায়গায় এমন এক বন্য একদলীয় কর্তব্যবাদী শাসন শেখ হাসিনা কায়েম করেছিলেন সেখানে উপযুক্তদের যে কাজ সেই কাজ তারা করতে পারেনি বা সে কাজটি করার তাদেরকে সুযোগ দেয়া হয়নি। প্রত্যেকটিতে শেখ হাসিনা খুঁজে বেরিয়েছেন তার দলের লোক কারা আছে। তাদেরকেই উচ্চপদে বসিয়ে তাদেরকে দিয়ে সমস্ত অন্যায় করিয়েছেন।

তিনি বলেন, তাদেরকে দিয়ে আয়না ঘর করিয়েছেন, তাদেরকে দিয়ে গুম করিয়েছেন, তাদেরকে দিয়ে ক্রসফায়ার দিয়েছেন। একটা ভয় তাকে সব সময় তাড়া করত বিরোধীদলের অস্তিত্ব থাকা মানেই শেখ হাসিনার পতন কোন না কোন সময় অত্যাসন্ন হয়ে উঠবে। এই ভয় থেকেই বিরোধীদল শূন্য বিএনপি শুন্য একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রাণবন্ত চেষ্টা করেছে শেখ হাসিনা। চেষ্টা করার পর উজার করে দিয়েছেন গ্রামের পর গ্রাম, নগরের পর নগর, জনপদের পর জনপদ।

কেউ তার নিজের এলাকায়, নিজের বাড়িতে থাকতে পারতো না। বছরের পর বছর কেউ ঢাকায় সিএনজি চালিয়েছে, রিকশা চালিয়েছে, কেউ ঢাকায় বাসের কন্টাক্টার হয়েছে। অর্থাৎ নিজের দেশের লোককেই বন্দি করে রেখেছিল শেখ হাসিনা, শুধুমাত্র তার নিজের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার জন্য। এটা একটা ভয়ংকর ধরনের মানসিক অসুস্থতা থেকে শেখ হাসিনা এই কাজগুলো করেছেন।

রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা চেয়েছে বিচার প্রাঙ্গণে যুবলীগ-ছাত্রলীগের বিচারপতি থাকতে হবে। যারা ছাত্রলীগের ক্যাডার ছিল তাদেরকে তিনি পুলিশে ঢুকিয়েছেন তাদেরকে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়েছেন। তারা শেখ হাসিনার ইচ্ছা পূরণ করার জন্য বিএনপির বড় বড় নেতাদেরকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে শারীরিকভাবে টর্চার করা হয়েছে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যে গণতান্ত্রিক প্রত্যয়ের জন্য আমরা লড়াই করেছি, আমাদের এত লোক শহীদ হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে কচি বাচ্চারা যে অকাতরে জীবন দিয়েছে, সুচিন্তিতভাবে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। আমরা কোন মিডিয়া ভাঙতে চাই না, কোন মিডিয়া যেন আমাদের দ্বারা আতঙ্কিত না হয়।

মানুষ যেন আমাদের উপরে নির্ভয়ে আস্থা রাখতে পারে। বাংলাদেশে যারা জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে যারা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, দেশনায়ক তারেক রহমানকে বিশ্বাস করে মান্য করে তাদের নীতি আদর্শকে অনুসরণ করে তারা হবে জনগণের একটা নিরাপত্তার বেষ্টনী।

জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জেলানীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসানের সঞ্চালনায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কর্মসূচিতে বিএনপি’র যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, সহ-স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”