শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

জনপ্রতিনিধি হয়ে শেখ পরিবারের সদস্যদের বিপুল সম্পদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, সেখানে মোট বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ২৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। ১৫ বছরে আয় বাড়ে সাড়ে তিনগুণ। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, স্থাবর ও অস্তাবর সম্পত্তি না বাড়লেও তিনি পূর্বাচলে একটি প্লট নেন। শেখ পরিবারের সদস্য, যারা সংসদে গিয়েছেন […]

নিউজ ডেস্ক

২০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮:২৮

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন, সেখানে মোট বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ২৯ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। ১৫ বছরে আয় বাড়ে সাড়ে তিনগুণ। নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী, স্থাবর ও অস্তাবর সম্পত্তি না বাড়লেও তিনি পূর্বাচলে একটি প্লট নেন। শেখ পরিবারের সদস্য, যারা সংসদে গিয়েছেন তাদের সম্পদ বেড়েছে বহুগুণ।

গোপালগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করীম সেলিম। শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই। ২০০৮ সালের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী দেখা যায়, তার কোন আয় ছিল না। কিন্তু ১৫ বছরের ব্যবধানে আয় বেড়েছে। এখন তার বার্ষিক আয় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। ১৫ বছরে বেড়েছে নগদ টাকার পরিমাণ ১৩ গুণ। ব্যাংকে জমা টাকার পরিমাণ ২০৭ গুণ। অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। শেয়ার বাজারে বিনোয়োগ ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। সম্পদ বেড়েছে তার স্ত্রীরও।

শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই, শেখ হেলাল উদ্দিন। গত সংসদ নির্বাচনের সময় জমা দেওয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, শেখ হেলাল ব্যবসা থেকে বছরে আয় দেখান ৫০ লাখ টাকা। সংসদ সদস্য হিসেবে ভাতা পেয়েছেন ২৪ লাখ টাকা। ব্যবসা থেকে বছরে তাঁর স্ত্রী শেখ রূপার আয় সাড়ে ২৯ লাখ টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নিজের নামে তিনটি গাড়ি, নগদ টাকা, ব্যাংকে জমা, ইলেকট্রনিক সামগ্রী, আসবাবসহ সব মিলিয়ে প্রায় ৮ কোটি ৮২ লাখ টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৯ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে পূর্বাচল নতুন শহরে ১০ কাঠা জমি, নরসিংদীর পলাশে রয়েছে কৃষি-অকৃষি জমি। গুলশান বারিধারা আবাসিক এলাকায় ৫ কাঠা জমির ওপর সাততলা আবাসিক ভবনের মূল্য ১০ কোটি ১৭ লাখ টাকা। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় সাড়ে ১৪ শতক জমি। স্ত্রীর নামে নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার কাজৈর মৌজায় ১ হাজার ৩২২ শতক জমির মূল্য দেখিয়েছেন ১ কোটি ৯ লাখ টাকা।

শেখ হেলালের ছেলে শেখ তন্ময়। তিনি বাগেরহাট-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন দুইবার। তাঁর বাবার অফিস যে ভবনে, সেই ভবনে ‘শেখ লজিস্টিকস’ নামে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসাসহ অন্যান্য খাত থেকে বছরে তাঁর আয় ৮৬ লাখ টাকা। তাঁর কাছে ২ কোটি টাকা মূল্যের তিনটি গাড়ি। ব্যবসায় পুঁজি আছে ৪ কোটি ২৮ লাখ টাকা। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা জমি রয়েছে তাঁর। যার মূল্য দেখিয়েছেন ৩০ লাখ টাকা। একাদশ দশম সংসদ নির্বাচনের আগে তার জমা দেওয়া হলফনামায় বার্ষিক আয় সাড়ে ৭৭ লাখ টাকা দেখানো হয়েছে। অর্থাৎ দশ বছরে তার আয় বেড়ে আড়াই গুণের বেশি হয়েছে।

শেখ হেলালের ভাই শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল। খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তার বার্ষিক আয় ৭ কোটি ২৯ লাখ টাকা। বাড়ি ভাড়া, কার্গো জাহাজের ব্যবসা, শেয়ার, ব্যাংকের মুনাফাসহ বিভিন্ন খাত থেকে তিনি এই আয় দেখিয়েছেন। তাঁর ব্যাংকে জমা ১৩ কোটি ৬৫ লাখ টাকা, ১ কোটি টাকার এফডিআর, তিনটি কোম্পানির শেয়ার আছে ২১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা, ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৮৫ লাখ টাকা মূল্যের জিপ গাড়ি। স্ত্রী শম্পা ইয়াসমিনের নামে ব্যাংকে ১৪ কোটি টাকা, ২৩ কোটি ২৬ লাখ টাকার শেয়ার, ২৫ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ১ কোটি টাকা মূল্যের জিপ গাড়ি, ১৩ লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার।তাঁর স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর পূর্বাচল নিউ টাউনে ১০ কাঠা জমি। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও খুলনার দিঘলিয়ায় তাঁর ৪ দশমিক ৪১ একর জমি রয়েছে। রাজধানীর গুলশান নিটল মডেল টাউন, মোহাম্মদপুর ও তেজগাঁওয়ে রয়েছে তিনটি ফ্ল্যাট। স্ত্রীর নামে কক্সবাজারের ইনানীর দুটি স্থানে রয়েছে ১ দশমিক ৪৮ একর জমি। যার মূল্য দেখিয়েছেন ৩ কোটি টাকা। ঢাকায় ড. কুদরত ই খুদা রোডে রয়েছে ছয়তলা বাড়ি। গুলশানে আছে ফ্ল্যাট।

শেখ হাসিনার ফুফাতো বোনের ছেলে মাদারীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন। ২০০৮ সালে তার সম্পদ ছিল ৬২ লাখ ৭০ হাজার ৪৭৩ টাকা। যা ২০২৪ সালে এসে দাঁড়িয়েছে ৬০ কোটি ৭৯ লাখ ৯৭ হাজার ৯৫ টাকায়। সেই হিসেবে সম্পদ বাড়ার হার ৯৫৯৬ শতাংশ। তার স্ত্রী বছরে ৫১ লাখ টাকার বেশি আয় করেন। বিগত ১৫ বছরে তার অস্থাবর সম্পদ বেড়েছে ১৭২ গুণ। টাকার অঙ্কে তা ৪৩ কোটি টাকার বেশি। তার স্ত্রীর সম্পদ বেড়েছে ৪২ গুণ। টাকার অঙ্কে তা ১২ কোটি ৭২ লাখ টাকা। নিজ নামে উত্তরা, আদাবর ও পূর্বাচলে আছে প্লট। নিজ এলাকা শিবচরে রয়েছে কৃষি-অকৃষি জমি।শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই হাসানাত আব্দুল্লাহ। বরিশাল-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহরও সম্পদ বেড়েছে ব্যাপক। যেখানে ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাঁর কাছে নগদ টাকার পরিমাণ ছিল ১৩ লাখ ৭১ হাজার ৭৪ টাকা, সেখানে এবারের সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তাঁর নগদ অর্থের পরিমাণই এক কোটি ৪৭ লাখ ১৯ হাজার ৫০৯ টাকা। আর ফরিদপুর ভাঙ্গার নিক্সনের কথা তো সবাই জানে। সম্পর্কে শেখ হাসিনার ভাইপো।

২০১৮ সালের নির্বাচনে আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর হলফনামায় দেখা যায়, কৃষি খাত থেকে তাঁর বাৎসরিক আয় দুই লাখ ৮৬ হাজার টাকা, বাড়িভাড়া বাবদ আয় সাত লাখ ৬৩ হাজার ১৯৬ টাকা, ব্যবসা থেকে বাৎসরিক আয় দুই কোটি ২৯ লাখ টাকা, নগদ অর্থ ১৩ লাখ টাকা। এছাড়া ব্যাংকে জমা দুই কোটি ৭৯ লাখ ২২ হাজার ৫৮৯ টাকা, শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকৃত অর্থের পরিমাণ এক লাখ ৮০ হাজার টাকা, একটি প্রাইভেট কার ও একটি জিপ ৭৯ লাখ টাকা, ১০০ ভরি স্বর্ণ, কৃষিজমি ২০ একর, অকৃষি জমি ৪০ একর।

এক কোটি ৮১ লাখ টাকা মূল্যের একটি দালান রয়েছে নিজ নামে।এ ছাড়া স্ত্রীর নামে নগদ অর্থ রয়েছে এক কোটি ৯৯ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমা এক কোটি দুই লাখ টাকা, শেয়ার আট লাখ টাকা, ১৮ লাখ টাকার একটি কার, স্বর্ণ ৬০ তোলা, এক লাখ টাকার আসবাবপত্র ও অকৃষি জমি ৫২ শতাংশ।

দ্বাদশ নির্বাচ‌‌নের হলফনামায় হাসানাত উল্লেখ করেছেন, কৃষি খাত থেকে তাঁর বাৎসরিক আয় তিন লাখ টাকা, ব্যবসা থেকে তিন কোটি ৩৬ লাখ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত ৬৫ লাখ টাকা, চাকরি থেকে আয় ১২ লাখ ৬০ হাজার টাকা, নগদ অর্থ রয়েছে এক কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২৫ কোটি ৯৪ লাখ টাকা, শেয়ার রয়েছে ৫১ লাখ ৮০ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্র তিন কোটি ৮১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এক কোটি ৭৪ লাখ টাকার দুটি জিপ, ৫০ ভরি স্বর্ণ, কৃষিজমি ১৭ একর, অকৃষি জমি ৪১ একর, ঢাকার কলাবাগানে একটি দালান, যার মূল্য ৮৯ লাখ ১১ হাজার ৫৭৫ টাকা। তাঁর জামানতবিহীন ঋণ রয়েছে পাঁচ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শেখ ফজলে নূর তাপসের ফুফু। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র। তার বার্ষিক আয় প্রায় ১০ কোটি টাকা। তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদও প্রায় সোয়া শ’কোটি টাকা। শেখ ফজলে নূর তাপস পেশায় আইনজীবী। তিনি ব্যারিস্টার-অ্যাট-ল ডিগ্রিধারী। তার বার্ষিক আয় ৯ কোটি ৮১ লাখ ৩৮ হাজার ৪৬ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে বছরে আয় ৩৫ হাজার টাকা। তাপসের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১২২ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ ১০৮ কোটি ৯০ লাখ ৮৯ হাজার ৬৯৩ টাকা। তার হাতে নগদ টাকা রয়েছে ২৬ কোটি ৩ লাখ ৩ হাজার ৫৫৭ টাকা। অন্যান্য খাতের মধ্যে ব্যাংকে জমা ১ কোটি ৫৩ লাখ ৭৭ হাজার ২০৭ টাকা, কোম্পানির শেয়ার ৪৩ কোটি ২৭ লাখ ৫৫ হাজার ৪০৪ টাকা, কৃষি জমি ১০ দশমিক ৫০ কাঠা, অকৃষি জমি ১০ কাঠা যার মূল্য ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ৫০ টাকা, ৮ কোটি ৩৭ লাখ ২০ হাজার ৩১৩ টাকা মূল্যের মতিঝিল, পূর্বাচল ও সাভারে তিনটি দালান রয়েছে। তার একটি বাড়ি রয়েছে যার মূল্য ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫০ হাজার ৮৯৪ টাকা। হলফনামায় শেখ ফজলে নূর তাপস তার স্ত্রীর আয় ও সম্পদেরও বিবরণ দিয়েছেন।

সবশেষ হলফনামার তথ্য অনুযায়ী তাপসের সম্পদ আছে ১২০ কোটি টাকার বেশি।

 

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪

রাজনীতি

প্রধান উপদেষ্টার সামনে নির্বাচনের সময় নিয়ে বৈঠকে ‘তর্কে’ জড়ালেন সালাহউদ্দিন ও নাহিদ

বিএনপির পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিএনপি ৩১ ডিসেম্বরের এক দিন পরেও জাতীয় নির্বাচন মেনে নেবে না। সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য সব সংস্কার এক মাসেই সম্ভব।”

নিউজ ডেস্ক

০৩ জুন ২০২৫, ১৮:১৭

রাষ্ট্রের বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সংস্কার প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় বসেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সোমবার (২ জুন) বিকেলে বাংলাদেশ ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এই আলোচনা শুরু হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিশনের প্রধান ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

আলোচনার শুরুতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি প্রতিদিন যেসব বৈঠক করি, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই আপনাদের সঙ্গে বসে দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে আলাপ করার সময়। এখানেই বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রচিত হচ্ছে।”

আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল প্রয়োজনীয় সংস্কার নির্ধারণ ও তা বাস্তবায়নের রোডম্যাপ ঠিক করা। তবে আলোচনা ঘুরে দাঁড়ায় নির্বাচন কবে হবে, সেই সময়সূচি নিয়ে বিতর্কে।

বিএনপির পক্ষ থেকে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিএনপি ৩১ ডিসেম্বরের এক দিন পরেও জাতীয় নির্বাচন মেনে নেবে না। সংবিধান সংশোধন ছাড়া অন্য সব সংস্কার এক মাসেই সম্ভব।”

এরপর জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ মন্তব্য করেন, “কিছু দল ভারতের সঙ্গে সুর মিলিয়ে ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায়।” এ বক্তব্যে তাৎক্ষণিক ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান সালাহউদ্দিন। তিনি বলেন, “ডিসেম্বরে নির্বাচন চাইলে সেটা যদি ভারতের সুর হয়, তাহলে যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারা কি যুক্তরাষ্ট্র বা চীনের সুরে কথা বলছে?”

এই বক্তব্যে বৈঠকে উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং এনসিপি ও বিএনপির প্রতিনিধিদের মধ্যে তীব্র বিতণ্ডা শুরু হয়।

বৈঠক শেষে সালাহউদ্দিন বলেন, “নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।” অন্যদিকে, এনসিপি নেতা নাহিদ বলেন, “জুলাই সনদ বাস্তবায়নের আগে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করলে সংস্কার প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে।”

আলোচনায় অংশ নেওয়া নেতাদের মতে, আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল সংস্কার, কিন্তু বাস্তবে বিতর্ক আবর্তিত হয়েছে নির্বাচন সময়সূচিকে ঘিরে।

০২ মে ২০২৫
poll_title
দুইজন ভারতীয়কে বাংলাদেশে ধরে নিয়ে আসার বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখছেন?

দুই বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেছে বিএসএফ, প্রতিবাদে দুই ভারতীয়কে ধরে এনেছে গ্রামবাসী। এব্যাপারে আপনার মতামত কি?

মোট ভোট: ১৪৭৪