শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

হাসিনার মতো এমন পতন পৃথিবীর কোনো সরকারের হয়নি: ফজলুর রহমান

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের মতো এমন পতন পৃথিবীর কোনো সরকারের হয়নি। যে শাসক রক্তের সাগরে সিংহাসন স্থাপন করে রাজত্ব করতে চায়, তার সেই সিংহাসন রক্তের সাগরে ডুবে যায়। শেখ হাসিনাও তাই হয়েছে। বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা যখন হাজার হাজার মানুষকে […]

হাসিনার মতো এমন পতন পৃথিবীর কোনো সরকারের হয়নি: ফজলুর রহমান

অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান

নিউজ ডেস্ক

১৭ আগস্ট ২০২৪, ১৫:৪৫

কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. ফজলুর রহমান বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের মতো এমন পতন পৃথিবীর কোনো সরকারের হয়নি। যে শাসক রক্তের সাগরে সিংহাসন স্থাপন করে রাজত্ব করতে চায়, তার সেই সিংহাসন রক্তের সাগরে ডুবে যায়। শেখ হাসিনাও তাই হয়েছে।

বিএনপির এই প্রবীণ নেতা বলেন, শেখ হাসিনা যখন হাজার হাজার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করেছে। জেল-জুলুম দিয়েছে, তখন আমি বলেছিলাম, শেখ হাসিনা আপনার মত একজন মানুষ চলে যাবেন, মরে যাবেন এটা বড় কথা নয়; কিন্তু সবচেয়ে দুর্ভাগ্যের কথা হলো, আপনি আপনার মহান পিতা নিয়ে ডুববেন। ৭৫ বছরের পুরোনো দল আওয়ামী লীগকে ডোবাবেন।

ফজলুর রহমান বলেন, সেনাবাহিনীর প্রধানের কৃপায় কোনো রকমে সেদিন প্রাণ নিয়ে হেলিকপ্টার করে দিল্লিতে আশ্রয় নিয়েছেন শেখ হাসিনা। আমি ভেবেছিলাম এ ঘটনার পর আপনার হয়ত শেখ হাসিনার শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু সেটা হয়নি। এখন উনি দিল্লিতে বসে দেশকে ডুবানোর চেষ্টা করছেন। আবারও দিল্লির হাতে এদেশকে তুলে দিতে চাচ্ছেন। অথচ এই দিল্লি দীর্ঘদিন ধরে হাসিনা কাঁধে ভর করে বাংলাদেশকে একটি সাব-অর্ডিনেট কান্ট্রিতে পরিণত করে রেখেছে। আবার সেই দিল্লির ক্রীড়নক হয়ে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরা ক্ষমতায় বসার দুঃস্বপ্ন দেখছেন।

সাবেক এই এমপি বলেন, যে আন্তর্জাতিক আদালতে অন্যদের বিচার করা হয়েছিল, আজ সেই আদালতে গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিচার করা হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের দেশ, সেই মুক্তিযুদ্ধ যখন বৃথা হতে বসেছিল তখন এ দেশের সন্তানরা আবার দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ সংগঠিত করেছে। বুক চিতিয়ে গুলির সামনে দাঁড়িয়ে বুকের তাজা রক্ত দিয়ে এ বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। এই যুদ্ধে যারাই রক্ত দিয়েছে তারাই হলো প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা, যারা শহীদ হয়েছে তারা হলো এ জাতির বীরশ্রেষ্ঠ। এখনও অনেক বীর শ্রেষ্ঠ বেঁচে আছেন। তারা শেখ হাসিনা এ স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করবেন।

ভারতকে উদ্দেশে তিনি বলেন, মালদ্বীপের ৫ কোটি মানুষের দাবির মুখে ভারতীয় সেনারা ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। আর আমরা তো ১৮ কোটি। ইতিহাস থেকে শিক্ষা নিন; বাঙালি জাতি কখনই দিল্লির অধীনতা মানেনি। এখনও নেবে না।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বিনা অপরাধে যেন কাউকে সাজা দেওয়া না হয়। আবার যারা অপরাধ করেছে বলে ধরা পড়বে তাদেরকেও যেন আইনে বাহিরে বিচার না হয়।

দেশের মানুষের প্রতি আহ্বান রেখে ফজলুর রহমান বলেন, দেশ এখন নতুন দিকে যাত্রা শুরু করেছে। প্রশাসন, বিচার বিভাগসহ অন্যন্যা সক বিভাগ থেকে চোর, দুর্নীতিবাজ, দলদাসদের বের করে ফ্রেশ একটা অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ফ্রেশ একটা রাজনীতি আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। আপনার তার পক্ষে আসুন। আমাদের আর পেছনে ফিরে তাকানোর সময় নেই।

 

 

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”