গত ৩০ নভেম্বর নিজ স্ত্রীর চিকিৎসাসহ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে দেখা করতে লন্ডনে যান মির্জা ফখরুল।
প্রায় দুই সপ্তাহের লন্ডন সফর শেষে আজ দেশে ফিরছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) লন্ডন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে রওনা দেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে গণমাধ্যমে জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী জানান, দেশে ফিরে বিকেল ৩টায় নয়াপল্টনে দলের যৌথ সভায় যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বিএনপি মহাসচিবের।
সফরকালে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বৈঠক করার পাশাপাশি যুক্তরাজ্য বিএনপির আলোচনা সভা, মিট দ্য প্রেসসহ একাধিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন মির্জা ফখরুল।
বাংলাদেশ ও লন্ডনের সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবরে জানা যায়, এসময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান পরিবর্তিত রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দলকে আরও শক্তিশালী করা, দলের চেইন অব কমান্ড বজায় রাখা, ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আদায় করাসহ বিভিন্ন জটিল ও কঠিন বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবকে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতন ও রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর এবারই প্রথম সরাসরি লন্ডনে যান মির্জা ফখরুল। মূলত বিএনপির শীর্ষ দুই নেতার আগ্রহে দলীয় এবং রাজনৈতিক কাজে লন্ডন সফর করলেন তিনি।
মির্জা ফখরুল লন্ডন পৌঁছালে যুক্তরাজ্য বিএনপির হাজারো নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীর ভালোবাসায় সিক্ত হন তিনি।
জানা যায়, মির্জা ফখরুল লন্ডনে পৌঁছানোর পর ৩ ডিসেম্বর যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত রয়েল রিজেন্সিতে এক আলোচনা সভায় অংশ নেন। এরপর তিনি যুক্তরাজ্যের সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠানেও বক্তব্য দেন।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন মির্জা ফখরুল। লন্ডনের সারে এলাকার গিলফোর্ড হারবার হোটেলে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরকারের তরফে বলা হচ্ছে, প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার শেষে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করা হবে। অবশ্য বিএনপিসহ সব দল দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নির্বাচনের জন্য দলগতভাবে একক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি।
একই সঙ্গে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছরের শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে যে সব দল ও জোট তাদের সঙ্গে ছিল, সেই মিত্রদেরও নির্বাচনে পাশে রাখতে চায় দলটি।
এ ছাড়া জামায়াতসহ ইসলামী দলগুলোর অবস্থান কী হয়, এর ওপর নজর রেখেছে তারা। এসব বিষয়ে সরাসরি কথা বলতেই যুক্তরাজ্য যান মির্জা ফখরুল। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির কয়েকজন সদস্য লন্ডন সফর করেছেন বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রব্যবস্থা ও কাঠামোর পরিবর্তনের জন্য আমরা ৩১ দফা দিয়েছি। এই ৩১ দফা একটা ম্যাগনাকার্টা। এটা হচ্ছে নতুন সৃষ্টি নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের একটা রোডম্যাপ। সবার কাছে এই ৩১ দফা তুলে ধরার আহ্বান জানাচ্ছি।