বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫

পরীক্ষামূলক সংস্করণ

রাজনীতি

রাজনীতির মূলমন্ত্র আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করতো না: পার্থ

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেছেন, আওয়ামী লীগের মতো দল মাস শেষ হয়ে গেল, একটা নেতাকর্মী অফিস তো দূরের কথা, একটা মুরগিরও ক্ষোভ পেল না। আওয়ামী লীগের রাজনীতিটাই শত্রু আর ষরযন্ত্র। আমরা যখনই যা কিছু করতা তা ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হতো। রাজনতির যে মূলমন্ত্র সেগুলো আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করতো না। একটি বেসরকারি […]

নিউজ ডেস্ক

০৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:১৪

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেছেন, আওয়ামী লীগের মতো দল মাস শেষ হয়ে গেল, একটা নেতাকর্মী অফিস তো দূরের কথা, একটা মুরগিরও ক্ষোভ পেল না। আওয়ামী লীগের রাজনীতিটাই শত্রু আর ষরযন্ত্র। আমরা যখনই যা কিছু করতা তা ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হতো। রাজনতির যে মূলমন্ত্র সেগুলো আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করতো না।

একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন আন্দালিভ রহমান পার্থ।

তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে ফেরা খুবই ডিফিকাল্ট ফর আওয়ামী লীগ, পলিটিকালি ভাবনায়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কোনও কমিটমেন্ট নেই, কমিটমেন্ট ছিল পাওয়ারের উপরের, কমিটমেন্ট ছিল শুধুমাত্র অর্থের উপরই। আওয়ামী লীগের যে সাম দাম দণ্ড রাজনীতি বন্ধ করে সেগুলো বিশ্বাস করত না।

সলিমুল্লাহ স্যার বলেছেন যে আওয়ামী লীগ কোনও দিন ফিরে না আসলে, উনার লেখা পড়াই বৃথা। নানক সাহেব রহমান, দীপু মনি যারা আছেন তাদের কারোই গ্রহণযোগ্যতা জনগণের কাছে নাই।

অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতির ভবিষ্যৎ কি, তাদের ফিরে আসার সম্ভাবনা কতটুকু আর ফিরে আসলেও নেতৃত্বে কারা থাকতে পারেন? এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি আওয়ামী পরিবারের সদস্য না। আওয়ামী লীগ আমার আত্মীয়, আমার পরিবার, আমার, আমার ফ্যামিলি আমার বাবার সাইট আলাদা। কারণ, ভবিষ্যদ্বাণী তো আমরা করতে পারি না।

আমরা পলিটিশিয়ান আমরা এনালাইসিস করতে পারি। আমাদের এক্সপেরিয়েন্স থেকে আমরা ক্যালকুলেশন করতে পারি। ভবিষ্যৎ তো আল্লাহর হাতে, এটা আমরা জানি না। আমি মনে করি এই প্রশ্নটা আজকে আওয়ামী লীগের যতো লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মী বা তাদের যারা ভোটার আছেন প্রতিদিনই তারাই চিন্তা করেন এবং নিজেদের মধ্যে তারা আলাপ করেন।

আন্দালিভ রহমান পার্থ বলেন, ‘কিছু কম্পারেটিভ স্টাডিতে দেখুন, আপনার বাড়ির পাশে মাঠ থাকলে কিন্তু আপনি ম্যারাডোনা হবে না। আপনার এখানে অনুশীলনের ব্যাপার আছে। রাজনীতি মাত্র প্র্যাক্টিস। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী যখন ৭৫ এর পরে ৮১ সালে দেশে ফিরে আসে, তখন কিন্তু একটা সিকান্দরের অ্যাকসেপটেবল পলিটিশিয়ান ছিল। রাজ্জাক সাহেব ছিলেন, আমির হোসেন আমু সাহেব ছিলেন, তোফায়েল আহমেদ ছিলেন, আব্দুস ছামাদ আজাদ ছিলেন, জিল্লুর রহমান ছিলেন, তাজউদ্দীন সহ আরও অনেকে ছিলেন। একটা বড় টিম ছিল, যে যার কারণে উনি ফিরে আসার পর উনাকে পলিটিকাল গাইডলাইন পলিটিকাল গাইড্যান্স এই জিনিসগুলি দেওয়া সম্ভব ছিল এবং যার কারণে একটা বড়ভাবে এত বড় একটা ক্রাইসিস ৭৫ এর ১৫ অগস্টের পরে উনারা কিন্তু কামব্যাক করেছেন রাজনীতিতে এবং ভালোভাবে কামব্যাক করেছেন।

এই ট্রেনিংটা জায়গাটা আজকে জিরো। গত ছয় সাত বছরে আওয়ামী লীগের দ্বি পলিটিসাইজড হওয়ার কারণে আওয়ামী লীগ পলিটিক্স বন্ধ করে দেওয়ার কারণে আওয়ামী লীগের ওই নেতা এক সেকেন্ডে কেউ আর জনগণের কাছে অ্যাকসেপ্টেড কেউ আসেনি। এখানে সব নেতাদের সভানেত্রী নিজে পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেছেন যে আমি ছাড়া সবাইকে কেনা যায়। তার মানে বেসিকালি সবাই চোর।

আর এখানে আওয়ামী লিগের একটা স্টাইল ছিল যে একজন ব্যক্তিকে আলোকিত করা হত। হঠাৎ রাজনীতিতে এ রকম হয়ে গেছে যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ছিলেন একটি সিটে। আর বাকি সব ঝাড় বাতি, ইলেকট্রিসিটি নেই কেউই নেই। এভাবে কোনওদিন একটা রাজনৈতিক দল কিন্তু চলতে পারে না।

তিনি আরো বলেন, ‘আপনি যদি সেকেন্ডের পলিটিশিয়ান হন। যেমন আজকে কি হচ্ছে, এরশাদ সাহেবের পতনের পরে তার কিছুদিনের মধ্যেই কিন্তু মিজান চৌধুরী অফিস খুলে বসেছিল। ওয়ান ইলেভেনের সময় খোন্দকার দেলোয়ার সেই ন্যাম ভবনে অফিস খুলে বসে এবং জিল্লুর রহমান সাহেব অফিস খুলে বসে। তো আজকে আওয়ামী লীগের মতো একটা দল সাড়ে চার মাস শেষ হয়ে গেল।

একটা নেতাকর্মী অফিস তো দূরের কথা, একটা মুরগির খোপ পেল না। যেখান থেকে দাঁড়িয়ে বলবে আসেন নেতাকর্মীরা ভালো থাকেন, এটা থাকেন ওটা থাকেন নাই। ওবায়দুল কাদেরের মতো মানুষ যারা আছেন এখন তো অনলাইন আছে অনেক কিছু করা যেতে পারে। মাঠ পর্যায়ে যারা নেতা আছেন উনারাও চিন্তা করে আমরা কার জন্য করব।’

পার্থ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের একটা ছেলে মনে করে আমরা করব, বেনিফিট পাবে শামীম ওসমান। কসবার কেউ চিন্তা করে আমরা করব বেনিফিট পাবেন নন পলিটিক্যাল আনিসুল হক। নওয়াবগঞ্জের কেউ চিন্তা করে আমরা করব বেনিফিট পাবে দরবেশ। তো আমর করে লাভ হবে কি?

আলটিমেটলি কেউ না কেউ উপর থেকে চলে আসবে হাইব্রিড এবং তারাই করবে। নিচের যারা কর্মীরা আছে তারা চিন্তা করে যে এই যে আজিজ খানের দায়দায়িত্ব, দরবেশের দায়দায়িত্ব, নজরুলের দায়দায়িত্ব লক্ষ কোটি টাকা করাপশন এই হত্যার দায়িত্ব আমরা নেব কেন? কার জন্য, কীসের জন্য নেব? সুতরাং বিশ্বাসের জায়গাটা নষ্ট হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘ভালো মানুষ যারা রাজনীতি করে বা করতো তারা চিন্তা করছে আমরা কার জন্য রাজনীতি করব। আওয়ামী লিগের সেকেন্ড বয় এবং সেকেন্ড ৩০ আর যারা আছে নানক সাহেব, রহমান সাহেব, দীপু মনি যারা আছেন তাদের কারোই গ্রহণযোগ্যতা জনগণের কাছে নাই। আপনি সূর্য হন, চাঁদ হন কিন্তু আপনার রাজনীতিতে ধারা রাখতে হবে আশেপাশে। না হলে কিন্তু আপনি টিকবেন না পলিটিক্সে।

আমার মনে হয় এই কারণে সলিমুল্লাহ স্যার যেভাবে বলেছেন যে আওয়ামী লীগ কোনওদিন ফিরে আসলে ওনার লেখাপড়ায় বৃথা, আমি অত কড়াভাবে বলব না। কিন্তু আমি আমার জায়গা থেকে দেখি এটা খুবই ডিফিকাল্ট ফর আওয়ামী লীগ। রাজনৈতিক সময় লাগবে এবং যখন আওয়ামী লীগ অনুশোচনা করে আবার শুরু করবে অথবা নেতৃত্ব পরিবর্তনের চিন্তা করবে, না ঠিক আছে যা হয়েছে হয়েছে, আমরা এভাবে করি, আমরা করি।

আমার কথা হল আওয়ামী লীগ যদি এখনই সরকারকে চ্যালেঞ্জ করে, গণ অভ্যুত্থানকে চ্যালেঞ্জ করে, প্রতিটা মানুষের আত্মত্যাগকে চ্যালেঞ্জ করে এবং বলে এগুলো ষরযন্ত্র, এগুলো শত্রু। আওয়ামী লীগের রাজনীতিটাই শত্রু আর ষরযন্ত্র। আমরা যখনই যা কিছু করতা তা ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখা হতো। রাজনতির যে মূলমন্ত্র সেগুলো আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করতো না।

রাজনীতি

ঢাকা বিমানবন্দর থেকে আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী এবং মেয়ে আটক

এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

নিউজ ডেস্ক

১৩ মে ২০২৫, ১৩:৫৮

বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিনের বিদেশযাত্রায় বাধা দেওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি থাইল্যান্ডগামী থাই এয়ারওয়েজের টিজি৩২২ ফ্লাইটে ওঠার প্রস্তুতি নিলেও ইমিগ্রেশন কাউন্টার থেকে তাকে থামিয়ে দেওয়া হয়। তিনি ফ্লাইটে উঠতে পারেননি।

বিমানবন্দর সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, দুপুর ১টা ৩৫ মিনিটে তিনি ফ্লাইটের জন্য চেক-ইন সম্পন্ন করলেও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ কোনো নির্দিষ্ট কারণ না জানিয়ে তাকে ফ্লাইটে ওঠার অনুমতি দেয়নি। তবে ইমিগ্রেশন বা কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।

শেখ শাইরা শারমিনের পারিবারিক পরিচিতি ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক বলয়ের সঙ্গে যুক্ত। তিনি শেখ মুজিবুর রহমানের ভাই শেখ আবু নাসেরের ছেলে শেখ হেলাল উদ্দীনের কন্যা এবং বাগেরহাট-২ আসনের আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়ের বড় বোন। অন্যদিকে, তার স্বামী আন্দালিব রহমান পার্থ একজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা এবং বিভিন্ন সময়ে সরকারের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সক্রিয় থেকেছেন।

এই প্রেক্ষাপটে একটি প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারের সদস্য হয়েও বিদেশযাত্রায় বাধার ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠছে—এটি কি নিয়মতান্ত্রিক কোনো প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো নির্দেশনা বা রাজনৈতিক বিবেচনা কাজ করেছে?

আইন ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা এবং ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের স্বচ্ছতা নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পর নানা ধরনের আলোচনা এবং ব্যাখ্যার সুযোগ তৈরি হয়। বিশেষ করে যখন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সরাসরি কোনো মামলার আসামি নন কিংবা তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্য কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, তখন এমন ঘটনায় জনমনে প্রশ্ন তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়।

বর্তমানে এই বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত হোক বা রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ডপ্রসূত কারণ—ঘটনাটির স্বচ্ছ ব্যাখ্যা প্রয়োজন, যাতে বিভ্রান্তি না ছড়ায় এবং নাগরিকদের অধিকার বিষয়ে আস্থার পরিবেশ অটুট থাকে।

রাজনীতি

ভারতে আশ্রয় নেওয়া সব আ:লীগ নেতাদের দেশে ফিরতে নির্দেশ দিলেন শেখ হাসিনা

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

নিউজ ডেস্ক

১৭ মে ২০২৫, ১৭:০৩

গণহত্যা, দমন-পীড়ন ও অন্যান্য গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগপন্থী বহু নেতা এখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে। ভারতের অভ্যন্তরে থাকা অবৈধ বিদেশিদের দ্রুত দেশত্যাগের নির্দেশ জারির পর দেশটিতে পালিয়ে থাকা এসব নেতাদের মধ্যে শুরু হয়েছে দেশ ছাড়ার হিড়িক।

আগস্ট মাস থেকে এ নির্দেশনা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করার কথা থাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে।

পুশব্যাক ও গ্রেফতারের আশঙ্কায় অনেক নেতা ভারতে অবস্থান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করছেন। ইতিমধ্যে ৫০ জনেরও বেশি নেতা ইউরোপ ও আমেরিকায় পালিয়ে গেছেন এবং অনেকে নতুন করে এসব দেশে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। তবে পালিয়ে বাঁচা যেন খুব সহজ হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।

দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতে থাকা নেতাদের স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী দুই মাসের মধ্যে সবাইকে দেশে ফিরতে হবে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যারা ফিরবেন না, তাদেরকে আটক করে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে এবং আইনের আওতায় আনা হবে।

এ লক্ষ্যে সরকার আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে বহুমুখী কূটনৈতিক ও আইনি উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

সরকারের একটি গোপন সূত্র জানিয়েছে, এই প্রক্রিয়ায় ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার বিষয়টিও বিবেচনায় আছে। সরকার চায়, এসব অপরাধের দ্রুত বিচার কার্যকর হোক এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।

এই প্রেক্ষাপটে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে গা-ঢাকা দিয়ে থাকা নেতাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। অনেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে আত্মগোপনে গেছেন, আবার কেউ কেউ দেশে ফেরার উপায় খুঁজছেন।

রাজনীতি

নাহিদ, সারজিসকে টার্গেট করে হামলা, উদ্দেশ্য ছিল সরাসরি হত্যা : অপু

হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।

নিউজ ডেস্ক

০৪ জুলাই ২০২৫, ২০:২৯

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) অভিযোগ করেছে, তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের বহনকারী গাড়িবহরে ঠাকুরগাঁওয়ের টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় কর্মসূচি শেষে পীরগঞ্জ যাওয়ার পথে এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কর্মসূচি শেষে ঠাকুরগাঁওয়ের আর্ট গ্যালারি মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করে গাড়িবহরটি পীরগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পথিমধ্যে টাঙ্গন ব্রিজ এলাকায় একটি আন্তঃজেলা বাস হঠাৎ বহরে ধাক্কা দেয়। এতে একটি গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এনসিপির নেতাকর্মীরা বিষয়টি জানতে বাসটির কাছে গেলে ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাদের ওপর হামলা চালায়। এতে গাড়ির চালকসহ একজন কর্মী আহত হন।

এনসিপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, হামলাটি কেবল তাৎক্ষণিক কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। দলের ভাষ্য অনুযায়ী, বাস দুর্ঘটনার আড়ালে মূল উদ্দেশ্য ছিল গাড়িবহরে থাকা শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে প্রাণঘাতী হামলা চালানো। যদিও তারা ভুল গাড়িতে আঘাত করে, পরে তৎপর হয়ে আবারও হামলার চেষ্টা করা হয়।

ঠাকুরগাঁও জেলা এনসিপির মুখপাত্র অপু জানান,

“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে যে, হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা নাহিদ বা সারজিস। গাড়িবহরে ঢুকে যে আচরণ তারা করেছে, তা দেখে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়। আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”

ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারওয়ার হোসেন বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এনসিপির পক্ষ থেকে ঘটনাটিকে হামলা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং তারা একটি ভিডিও ফুটেজও আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”