দেশে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অরাজকতা সৃষ্টিকারীদের কঠোর হস্তে দমনের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ ও গণঅধিকার পরিষদের একাংশ।
মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সভায় দেশের বিরাজমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনাকালে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সংগঠন দুটির নেতারা।
সভায়, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয় এবং অর্থনীতি সচল করার জন্য ব্যবসায়ীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
মতবিনিময় সভা থেকে, দেশকে অর্থবহ, স্থিতিশীল ও উন্নয়নের জায়গায় নিতে দল-মত-নির্বিশেষে সবাইকে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি বৈষম্যহীন সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতির সমাজ প্রতিষ্ঠারও দাবি জানানো হয়।
সভায় বলা হয়, জাতির ইচ্ছার প্রতিফলন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে হওয়া উচিত। এজন্য সরকারকে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে হবে। উপদেষ্টাদের কর্মতৎপরতায় গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের সততা ও দেশপ্রেমের পরিচয় ফুটে উঠবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী সব মহলের সঙ্গে মতবিনিময় ও সংহতি অব্যাহত রাখতে হবে।
সভায় গণহত্যার নির্দেশদাতা, মদদদাতা ও তাদের পৃষ্ঠপোষক সশস্ত্র খুনি ক্যাডারদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারেরও দাবি জানানো হয়।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান, নায়েবে আমির ও সাবেক এমপি আ.ন.ম শামসুল ইসলাম, সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল রফিকুল ইসলাম খান, সাবেক এমপি এ.এইচ.এম হামিদুর রহমান আযাদ,, মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল এবং কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির জনাব মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
গণঅধিকার পরিষদ (একাংশ)-এর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান, সদস্য সচিব ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকারিয়া পলাশ, উচ্চতর পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমান তুহিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ওয়াজি উল্লাহ, ছাত্র অধিকার পরিষদের সেক্রেটারি মুনতাসির মাহমুদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তুহিন আহমেদ।

‘ছাত্র-জনতা হত্যার সম্পূর্ণ বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত পরাজিত ফ্যাসিবাদী শক্তিকে রাজনীতি করতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত’ আপনি কি সমর্থন করেন?